বাবার সাথে প্রথম ঢাকা শহরে আসার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব-১

in hive-129948 •  2 months ago 

আসসালামুআলাইকুম/আদাব

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @alif111, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


আসলে বাবার সাথে প্রথমবার আমি ঢাকা গিয়েছিলাম, এর আগে আমি কখনোই ঢাকা যায়নি। তখন আমি ক্লাস ফাইভে পড়াশোনা করি। আসলে ঢাকা যাওয়া তখন অনেকটাই স্বপ্ন ছিল। কারণ ঢাকাতে অনেক রঙের লাল, নীল বাতি এবং অনেক ধরনের গাড়ি এবং বড় বড় বিল্ডিং রয়েছে, এইসব গল্প আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের কাছে শুনেছি এবং আমার ছোট মামার এসে আমার সাথে এইসব গল্প করত। কারণ তারা ঢাকা শহরে পড়াশোনা করেছে। যার কারণে তাদের সাথে অনেকবার আমি ঢাকা শহরে যাওয়ার জন্য বলেছি,কিন্তু বাবা আমাকে কখনোই ঢাকাতে যেতে দেয়নি,বাবা বলল যে আমি তোমাকে নিয়ে যাব এবং ঢাকা শহরে অনেক বড় চিড়িয়াখানা রয়েছে। সেখানে হাজারো পশুপাখি রয়েছে।


father-and-son-8828819_1280.jpg


আর আমি যখন ছুটি পাব তখন তোমাকে আমি ঢাকা শহরে নিয়ে যাব এবং চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করাবো। চিড়িয়াখানায় গিয়ে তুমি সকল ধরনের পশুপাখি নিজের চোখে দেখতে পারবা। তখন থেকে যেন ঢাকা যাওয়ার প্রতি আরো ইচ্ছা বেড়ে গেল। যার কারণে ডিসেম্বর মাসে বাবার ছুটি হলো,আর বাবার সাথে আমি আমার ছোট বোন এবং আমার আম্মা সবাই মিলে আমরা ঢাকা শহরে রওনা দিলাম। আসলে ঢাকাতে আমার খালাম্মার বাসা রয়েছে। আর এই খালাম্মার বাসাতেই যাবো।তাই আমার খুবই ভালো লাগলো, কারণ যখন আমরা যমুনা সেতু পার হচ্ছিলাম, তখন আমি অবাক দৃষ্টিতে যমুনা সেতুর দেখতেছিলাম।


আসলে আমি যখন প্রথমবার ঢাকাতে গিয়েছিলাম, তখন বাবা আমাদের ট্রেনে করে ঢাকা নিয়ে গিয়েছিল। আর ট্রেন ভ্রমণ ছিল আমার কাছে প্রথম। ঝকঝক ট্রেন চলেছে এই কবিতাটি আমি অনেকবার পড়েছি এবং কবিতাটি আমার খুবই ভালো লাগে। তখন থেকেই ট্রেনে চলার খুবি ইচ্ছা ছিলো। প্রথমবার ঢাকা আসছি তাও আবার আমার প্রিয় এই ট্রেন ভ্রমণ করে। যার কারণে ট্রেনে ভ্রমণের মুহূর্তগুলো অনেক বেশি ভালো লেগেছে। যখন সেতু পার হচ্ছিলাম, তখন ট্রেনের জানালা দিয়ে আমি যমুনা সেতুর বাইরের দৃশ্য গুলো দেখতে ছিলাম। এত বড় সেতু এই যমুনার নদীর উপর দিয়ে তৈরি করেছে। এটা ভাবতেই যেন অবাক লেগেছে। সৌন্দর্যময় এই সেতু পার হতে অনেক সময় লেগেছে।


বাবা যেন অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। আসলে ট্রেন ভ্রমণ এবং যমুনা সেতু পার হওয়ার সময় আমি অনেক বেশি আনন্দে ছিলাম। আর এত আনন্দ বাবা দেখে যেন সত্যি অবাক হয়ে গেল। আসলে যখন প্রথম কিছু দেখা যায় তখন যেন অনেক বেশি ভালো লাগে। যার কারণে এই যমুনা সেতুর উপর দিয়ে পার হতে অনেক বেশি সময় লেগেছিলো।আসলে ট্রেন অনেক আস্তে আস্তে এই নদী পার হয়। কারণ যমুনা ব্রিজের এক পাশ দিয়ে এই ট্রেনের রাস্তা ছিল। তারপরে আমি আস্তে আস্তে যখন ট্রেনের ভিতরে বাবার সাথে হাঁটে নামাজ খানায় আসলাম,তখন ভালো লাগতে ছিলো। ট্রেনের ভিতরে নামাজ পড়া সুন্দর একটি জায়গা রয়েছে। সেখানে এসে বাবা নামাজ পড়লো, আমি বসে থাকলাম।


ট্রেনের ভিতরে খাবার খাওয়া চা নাস্তা করার জন্য সুন্দর একটি ক্যান্টিন রয়েছে। সেখানে এসে বিস্কুট সবাই খায়। আমি বিস্কুট খেলাম, আর সকলের সাথে কথা বললাম। আসলে বাবা এই ট্রেনে অনেক যাতায়াত করেছে। যার কারণে সকলের সাথে পরিচয় ছিল। আমার সাথে কথা বলালো। তাদের সাথে কথা বলে খুবই ভালো লাগলো। তারপরে আস্তে আস্তে আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনে নামলাম। এটাই বাংলাদেশের সবচাইতে বড় রেলস্টেশন। এখানে নেমে যেন অনেক ভালো লাগলো, এতো বড় ইস্টিশন। তারপরে সেখান থেকে একটি রিকশায় করে আমরা চারজন মিলে আমার খালাম্মার বাসার দিকে রওনা দিলাম।তো বন্ধুরা আজকে এখানেই শেষ করছি পরবর্তী অংশ আপনাদের সাথে আগামী পর্বে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।

banner-abbVD-1.png

আমার পরিচয়

IMG-20240117-WA0007.jpg
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼

সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

কোন বিষয়ের প্রথম অনুভূতিগুলো খুবই আনন্দদায়ক হয়ে থাকে এবং নতুন অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি আপনি প্রথম ঢাকায় আসার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই অনুভূতির পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। একদিকে ঢাকায় আসা যেমন প্রথম আরেকদিকে ট্রেনে যাওয়াটা প্রথম ছিল সত্যিই একই সাথে দুইটা অভিজ্ঞতা।

আসলে জীবনের সর্বপ্রথম কোন কিছু দেখা বা কোন কিছু করার অনুভূতিগুলো অসাধারণ হয়ে থাকে। আপনি আপনার বাবার সাথে প্রথম ঢাকা গিয়েছিলেন তাও আবার ট্রেনে করে। আসলে ট্রেন ভ্রমণ আমারও খুবই ভালো লাগে। যাই হোক ঢাকায় গিয়ে চিড়িয়াখানায় যাওয়ার মুহূর্তের পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

ঢাকা সত্যিই এক আজব নগরী। আমিও যখন প্রথমবার ঢাকা গেলাম তখন অবাক দৃষ্টিতে সবকিছু দেখছিলাম। যদিও কলকাতা শহরে থাকি বলে ঢাকাতেও কিছুটা টুইন সিটি বলে মনে হল। কারণ দুই শহরই বাঙালির প্রাণের শহর। আপনার এই প্রতিবেদন পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এমন নস্টালজিক প্রতিবেদন পড়তে খুব ভালো লাগে।