বাবার সাথে বৈশাখী মেলার যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব-৩

in hive-129948 •  3 months ago 

আসসালামুআলাইকুম/আদাব

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @alif111, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


বাবার সাথে বৈশাখী মেলাতে গিয়েছিলাম, সেই স্মৃতিময় দিনের কথা আজ খুবই মনে পড়ে। কারণ বৈশাখী মেলাতে অনেক আনন্দের সাথে আমি সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছিলাম। আসলে ছোটবেলা বাবার সাথে আমি মেলাতে বা হাঁটে এবং অনেক জায়গায় ভ্রমণ করতে যেতাম। কারণ বাবার সাথে মেলাতে গিয়ে আমার খুবই ভালো লাগতো। যার কারণে এই বৈশাখী মেলাতে গিয়ে অনেক আনন্দের সাথে সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছি। ছোটবেলার দিনগুলো খুবই আনন্দের ছিল। এখন শুধু সেই দিনগুলোর কথায় মনে পড়ে। তাই স্মৃতির পাতায় থেকে বৈশাখী মেলা ভ্রমণের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পে শেষ করবো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করছি শেষ পর্ব জানতে পেরে আপনাদের ভালো লাগবে।


father-and-son-8828819_1280.jpg


বৈশাখী মেলাতে পান্তা খেয়েছিলাম ইলিশ মাছ দিয়ে, আর সেই ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা খাওয়ার মুহূর্তটা অনেক আনন্দের ছিল। তারপরে বাবার সাথে আমি সার্কাস দেখার জন্য টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম অনেক সুন্দর বসার ব্যবস্থা রয়েছে এবং সামনে বিশাল বড় মাঠ রয়েছে। এই মাঠের ভিতরে দুটি বড় বড় হাতি ছিল। এই হাতিগুলো ফুটবল খেলার দৃশ্য আমি দেখতে পেলাম। আসলে একটি ফুটবল দেওয়া হয়েছে আর হাতি খুবই সুন্দরভাবে সেই ফুটবলের শর্ট মেরে অন্য হাতির কাছে দিলো। এই দৃশ্যটি দেখে যেন আমার খুবই ভালো লাগলো। মানুষের মতো হাতিও ফুটবল খেলছে সত্যি অনেক আনন্দের সাথে আমি উপভোগ করেছি।


হাতিগুলো শুধু ফুটবল খেলেনি, এই হাতিগুলো আরো বিভিন্ন রকমের খেলা খেললো। তাদেরকে দুটি বড় বড় বালা দেওয়া হয়েছিলো,এই বালা সুর দিয়ে তারা খেলতে লাগলো। তারপরে এই হাতির পিঠে আরো সার্কাসের মানুষ এসে আনন্দের সাথে আমাদের মুহূর্তগুলো উপভোগ করালো। তারপরে দেখতে পেলাম সার্কাসে দুইজন মানুষ রয়েছে, একজন মেয়ে আরেকজন ছেলে, তারা দাঁত দিয়ে কাপড় টেনে উপরে উঠছে। আরও বিভিন্ন রকমের খেলা আমাদের দেখিয়েছিলো,আসলে এই খেলা গুলো এর আগে আমি কখনোই দেখিনি। যার কারণে সার্কাসের এই খেলা গুলো এখনো যেন চোখে সামনে ভাসে। সত্যিই বৈশাখী মেলার এটাই ছিল আমার কাছে সবচেয়ে বেশি আনন্দময় মুহূর্ত। কারণ সার্কাসের ভিতরে আমি বিভিন্ন রকমের খেলার সাথে আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম।


আমার সার্কাস এর ভেতর থেকে বের হয়ে আমি মেলার ভিতরে আসলাম। মেলার ভিতরে দেখতে পেলাম বৈশাখী মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন রকমের পিঠার উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যেকটা দোকানে বিভিন্ন রকমের পিঠা দেখতে পেলাম। আর এই পিঠাগুলো বিক্রি করছে, আসলে বৈশাখী মেলা উপলক্ষে আমাদের এলাকায় এই মেলা যেন ঐতিহ্যবাহী মেলা। এখনো হয়ে থাকে, তবে আগে আমি বেশি আনন্দ করেছিলাম। কারণ যখন ছোট ছিলাম তখন যেন এই মেলাতে বাবার সাথে এসে আমি সকল কিছুই ভালোভাবে প্রথম প্রথম দেখেছিলাম। বিভিন্ন রকমের পিঠা এবং গান বাজনা থেকে শুরু করে নাগরদোলার মুহূর্তগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিলো।


বৈশাখী মেলা আসলেই স্মৃতিময় সেই দিনের কথা খুবই মনে পড়ে। আসলে বাবার সাথে আমি বৈশাখী মেলাতে অনেক আনন্দ করেছিলাম। যার কারণে যখনই বৈশাখী মেলা আসে এই মেলাতে গিয়ে আমার ছোটবেলার সেই দিনের কথা মনে পড়ে। কারণ ছোটবেলা আমি বাবার সাথে খুবই আনন্দের সাথে এই মেলার মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছিলাম। তাই আপনাদের মাঝে আমার স্মৃতির পাতায় থেকে এই বৈশাখী মেলাতে আনন্দময় মুহূর্তের গল্পটা শেয়ার করলাম। আশা করছি আমার গল্প পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

banner-abbVD-1.png

আমার পরিচয়

IMG-20240117-WA0007.jpg
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼

সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আপনার বাবার সাথে বৈশাখী মেলাতে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে বাবার সাথে বৈশাখী মেলাতে আনন্দময় মুহূর্তগুলো খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে হাতি সার্কাস দেখার অনুভূতিগুলো সত্যিই অসাধারণ। এখন আর ওইভাবে দেখা হয় না। যাই হোক আপনার গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো।

গল্পটি করে ভালো লাগলো। এর আগের পর্ব গুলো আমি পড়েছি। আসলে আপনারা সার্কাস দেখার মুহূর্তগুলো অসাধারণভাবে উপভোগ করেছেন। তারপরে সেখান থেকে আপনারা মেলার ভিতরে এসেছেন প্রত্যেকটা গল্পের মুহূর্তগুলো পড়ে যেন সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমিও বৈশাখ মেলাতে বাবার সাথে এরকম আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতাম।

এভাবে ছোটবেলার স্মৃতি স্মরণ করতে দেখলে বেশ ভালো লাগে। কারণ একজনের গল্প থেকে আরেকজনের মনের অনুভূতি ছোটবেলার স্মৃতি ফিরে পাওয়া যায়। আপনার গল্পগুলো যখন পড়েছিলাম ঠিক তখনই আমিও আমার বেশ কিছু অনুভূতি খুঁজে পেয়েছিলাম যেগুলো ছোটবেলায় সোনালী অধ্যায় হয়ে রয়েছে। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এই গল্প পড়ে।

বৈশাখী মেলায় যাওয়ার আনন্দটা সত্যি অনেক ভালো ছিল। আর বড় হওয়ার সাথে সাথে এখন আর সেই আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায় না। বাবার সাথে মেলায় ঘুরতে যাওয়ার আনন্দটা এখনো অনেক মনে পড়ে ভাইয়া। অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে।

বাবার সাথে বৈশাখী মেলায় ঘুরতে যাওয়ার কোন অভিজ্ঞতা আমার নেই। তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে বাবার সাথে বৈশাখী মেলায় ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি কিছুটা হলেও উপলব্ধি করলাম। বাবার সাথে যে কোন জায়গায় যাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম।