শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  2 days ago 

আসসালামুআলাইকুম/আদাব

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @alif111, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।

অনেকদিন পর শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি, কারণ এখন ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে স্কুল কলেজ বন্ধ হয়েছে। আর গ্রামের বাড়িতে যেন সকল আত্মীয়-স্বজন আসবে, তাই তাদের সাথে অনেকদিন পর দেখা হবে এটা ভেবে মনের ভিতর অনেক আনন্দ হচ্ছিলো, তাই শহর থেকে আমি গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আর এই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার মুহূর্তগুলোই ফটোগ্রাফি করে রেখেছি। সেই ফটোগ্রাফি গুলোই আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।

ফটোগ্রাফি🖼️ -১👇

IMG_20241223_182742.jpg

IMG-20241223-WA0041.jpg

শহর থেকে আমি গ্রামের বাড়িতে সিএনজি করে যাব। তাই আমি রাস্তার পাশে দাঁড়ালেই সিএনজি জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। এখানে অনেক সিএজি খালি পাওয়া যায়। আর রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আমি রাস্তার নিরিবিলি এই সুন্দর জমায় দৃশ্য দেখেই ফটোগ্রাফি করলাম। আর সিএনজির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।

অবস্থান

ফটোগ্রাফি🖼️ -২👇

IMG-20241223-WA0039.jpg

IMG-20241223-WA0037.jpg

মাঝে মধ্যে সিএনজি আসতেছিল, তবে খালি পাচ্ছিলাম না। কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পরে আমি একটি সিএনজি খালি পেলাম তখন সেই সিএনজিতে উঠে পড়লাম, আর সিএনজিতে যাত্রা শুরু করলাম। সেই মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লাগতেছিলো। কারণ অনেকদিন পর গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি মনের ভিতরে যেন অন্যরকম শান্তি কাজ করতেছিল।

অবস্থান

ফটোগ্রাফি🖼️ -৩👇

IMG-20241223-WA0031.jpg

IMG-20241223-WA0026.jpg

তারপর আমি মেডিকেল কলেজের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। যাত্রার পথে মেডিকেল কলেজের গেটের ফটোগ্রাফি করলাম।এই মেডিকেল কলেজের কারণে আমাদের এলাকাবাসী এখন চিকিৎসা পাচ্ছে। আসলে এই টাকার অভাবে চিকিৎসা পেত না। মেডিকেল কলেজ হওয়াতে গরিব মানুষ এখন অনেক আনন্দিত।

অবস্থান

ফটোগ্রাফি🖼️-৪👇

IMG-20241223-WA0033.jpg

IMG-20241223-WA0029.jpg

তারপরে আমি আমাদের বাজারের পাশে আসলাম। বাজারে বসে এসে দেখতে পেলাম এখন বাজারের বেশির ভাগ দোকান বন্ধ। আর বাজারে আমার চাচাতো ভাইয়ের একটি দোকান রয়েছে। এই দোকানটি আমি রাস্তার পাশ থেকে দেখতে পেলাম। তবে দোকানটি বন্ধ ছিল। দোকানটি খোলা থাকলে তার সাথে গিয়ে আমি দেখা করে আসতাম।

অবস্থান

ফটোগ্রাফি🖼️-৫👇

IMG-20241223-WA0023.jpg

IMG-20241223-WA0019.jpg

তারপর আমাদের গ্রামের পরিচিত সেই আড্ডার দোকানে আসলাম। আসলে এই দোকানে কত আড্ডা করেছি, কত গল্প করেছি। এখানে বসে চা খেয়েছি এবং কেরাম বোর্ড খেলেছি। এই দোকানটি যেন আমাদের আড্ডার কারখানা ছিল। সত্যি স্মৃতির পাতা থেকে যেন এই দোকানের গল্পগুলো হারিয়ে গেল। তাই দোকানটি দেখে আমি সেখানে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম, যে কোন বন্ধুদের পাওয়া যায় কিনা।তারপরে দেখতে পেলাম সূর্য অস্ত যাচ্ছে। সূর্য অস্ত যাওয়ার এই মুহূর্তটা উপভোগ করলাম। আর বাড়ি আসতে আসতে সন্ধ্যা নেমে আসলো।

অবস্থান

গ্রাম বাংলার প্রকৃতি আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। তাইতো গ্রামের দৃশ্য গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই শহর থেকে গ্রামে আসার মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল। তাই যাত্রা পথে আসার সময় আমি এই ফটোগ্রাফি গুলো করে রেখেছিলাম। তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।🖤✨।

Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqreqo2XAMzrcrFMezsQ2JYvnkCG8natanTeTWALXvA2X1jsqXD4Nf1w7BTTxEyx7JRMmmeNnz.png

ধন্যবাদ সকলকে✨💖

45GhBmKYa8LQ7FKvbgfn8zqd6W2YEX34pMmaoxBszxVcFZw7HFjCLMfDJx3zXx3jXPRfJr7otFtoRfKMmN9rJzpemZGKH1sKHrmfJREqyC...9xLrN7kkzEr3nKpRPcTj6NSZrBzYGbr93rAK2CAinZaxUP2fFhka9ZrPQeMBYoU2r2avcVEfb5m3uJAqvfZ4UMDVMeWvTdncVc9TonRvS2kneML5dvyoyUQZKC.png

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণফটোগ্রাফি ✨
মডেলএম-৩১
ক্যাপচার@alif111
অবস্থানসিরাজগঞ্জ -রাজশাহী- বাংলাদেশ।

banner-abbVD-1.png

আমার পরিচয়

IMG-20240117-WA0007.jpg
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼

সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার অনুভূতি এ যেন এক অন্যরকম ভালোলাগা। এই ভালোলাগার সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। আজ অনেকদিন হয়ে গেল বাড়িতে যাওয়া হয় না।আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে আমি একটি ইমোশনাল হয়ে গেছিলাম,যে আজ এক মাসের বেশি হলো বাড়িতে যাওয়া হয় না।জীবনের প্রথমবার এতদিন বাড়ির বাইরে থাকা।যাইহোক গ্রামে যাওয়ার মুহূর্তের সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

GridArt_20241223_205343930.jpg

শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার মুহূর্ত সবসময় অনেক বেশি সুন্দর হয়। আমিও মাঝেমধ্যে ঢাকা শহর থেকে গ্রামে যাই খুব ভালো লাগে আমার কাছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার অনুভুতি সত্যি অন্যরকম। শহরের ইট পাথরের ঘেরা দেয়ালের ভিতর থেকে অনেক কিছু উপভোগ করা যায় না। গ্রামের প্রকৃতিকে নিবিড় ভাবে উপভোগ করা যায়। আপনার গ্রামে যাওয়ার অনুভূতি গুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আমিও মাঝে মাঝে শহর থেকে গ্রামে যাই আমারও খুব ভালো লাগে।

শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার সময় আপনি দেখতেছি ভালোই ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। আসলে হঠাৎ করে গ্রামে গেলে দোকানে আড্ডা দিত ভালো লাগে। আপনি দেখতেছি দোকানে ভালোই আড্ডা দিলেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট এবং ফটোগ্রাফি গুলো।

শহর থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার অনুভূতিটা দারুন সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করলেন। সব সময় শহরে থাকতে থাকতে যেন মানুষ হাঁপিয়ে ওঠে। আর তখন গ্রামের হাওয়া যেন একটু শুদ্ধ নিঃশ্বাস হয়ে ওঠে। শহর থেকে গ্রাম যাওয়ার রাস্তাগুলোর ছবি দারুন সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন আমাদের সঙ্গে।

শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম। গ্রামে যাওয়ার কথা মনে হলেই অন্যরকম একটি আনন্দ কাজ করে মনে। ইট পাথরের শহরে যেটা অনুভব করা যায় না সেটা গ্রামের বাড়িতে খুব সহজেই অনুভব করা যায়। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। খুব দারুণভাবে ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছেন। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।