আমার বাংলা ব্লগের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম, ''আসসালামু আলাইকুম '' আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো। আশা করি সবারই ভালো লাগবে। আর আমি যদি কোন ভুল বলে থাকি। তাহলে আমার ভুলটি ধরিয়ে দিবেন। যাতে ভুলগুলো শুধরিয়ে নিতে পারি।
শীতল হাওয়ার এক সন্ধ্যায়, শহরের শেষ প্রান্তে আমাদের ছোট্ট একটি গ্রাম ছিল। সেখানে আমি আর আমার মা একটি পুরনো বাড়িতে থাকতাম আমার বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছেন, তাই মাকে নিয়ে এখন কঠিন জীবনযাপন করছি।
আমার মা রাতে সেলাইয়ের কাজ করে আর আমি সন্ধ্যার পর পড়াশোনা করতে বসি। কিন্তু গ্রামে বিদ্যুতের ব্যবস্থা ভালো ছিল না। মাঝেমধ্যে লোডশেডিং হলে আমার পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটত।
এক রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে, আমি মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়তে বসলাম। কিন্তু অল্প আলোয় চোখে ব্যথা করতে শুরু করলো । মা আমাকে বললেন, "বাবা, আজ পড়াশোনা করা লাগবে না। চোখের যত্ন নিতে হবে।"
আমি একটু হতাশ হয়ে বারান্দায় গেল। বাইরে তাকিয়ে আমি দেখতে পেলাম আকাশে অসংখ্য তারা জ্বলছে। হঠাৎ তার চোখ পড়ল একটি উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের দিকে, যা গ্রামটিকে আলোকিত করে রেখেছিল।
আমি মায়ের কাছে গিয়ে বললাম , "মা, ঐ আলোটা দেখেছ? ওটা কত সুন্দর!"
মা হাসিমুখে বললেন, "ওটা আমাদের রাত্রির আলো। যখন বিদ্যুৎ থাকবে না, তখন ঐ আলোই আমাদের পথ দেখাবে।"
আমার মনে সাহস এল। আমি প্রতিদিন রাতের আলোতে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম । আমি ভাবল, "যদি আমি বড় হয়ে প্রকৌশলী হতে পারি, তবে গ্রামে ভাল বিদ্যুতের ব্যবস্থা করব।"
সেই রাত থেকে আমার জীবনের সব বাধা অতিক্রম করার শক্তি হয়ে উঠল রাত্রির আলো। আমি স্বপ্ন দেখলাম এবং সেই আলো আমার পথচলায় দিকনির্দেশনা দিলো। বছরের পর বছর পরিশ্রম করে আমি প্রকৌশলী হলাম এবং গ্রামের বিদ্যুতের সমস্যা দূর করলাম।
রাত্রির আলো শুধু একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য নয়, বরং আমার জীবনের অন্ধকার দূর করার প্রেরণা ছিল। সেই আলো আমাকে দেখিয়েছিল যে, আশার আলো সবসময় থাকে, শুধু খুঁজে নিতে হয়।
আজকে এই পর্যন্ত,পড়ের পোস্ট টা নতুন কোন কথা নিয়ে হাজীর হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ সবাইকে