শুভেচ্ছা সবাইকে
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আজ আপনাদের সাথে দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করবো।
√দক্ষিণ ভারতের চিকিৎসা
বাংলাদেশ থেকে আমরা যেকোনো ছোট বড় সমস্যার সম্পূর্ণ সঠিক ও মানসম্পন্ন চিকিৎসা পেতে চলে আসি ভারতে। বিশেষ করে ভারতের দক্ষিণে( চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ,ব্যাঙ্গালোর ইত্যাদি)।পুরো ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গা থেকেও মানুষজনকে আসতে দেখছি এখানে ভালো চিকিৎসার সন্ধানে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্য(সৌদি আরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইত্যাদি) থেকেও অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত আসছে এখানে চিকিৎসা করতে। ইউরোপের দেশ গুলোর তুলনায় কম খরচে ও একই চিকিৎসা পেতে মানুষ সাধারণত এখানে আসে।
ছবিটি তোলার তারিখ :- ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩
স্থান:- Manipal hospitals, Bangalore
ডিভাইস :- Realme Narzo 20
√বাংলাদেশ ও ভারতের অন্যান্য রাজ্য ছেড়ে কেনো যাবেন দক্ষিণ ভারত?
আমি বলছি না অন্য কোথাও ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। কিন্তু অন্য কোথাও যদি চিকিৎসার পর যদি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে আশি শতাংশ তাহলে এখানে সেই সুস্থতার হার হবে শতভাগ। আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে এখানে ডাক্তারদের সততা ও নিষ্ঠা। এখানে ডাক্তাররা যেমন পারদর্শী তেমনি তাদের নিজস্ব নীতি ও নিষ্ঠায় ও তারা অটল। এটা বলার পিছনে কারণ হলো ধরুন আপনি কোনো একটি জটিল রোগে আক্রান্ত, যেটি কিনা ঔষুধ কিংবা শরীরচর্চার মাধ্যমে ঠিক হওয়া সম্ভব। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বহু ডাক্তার আপনাকে অপ্রয়োজনীয় অপারেশন এর জন্য পরামর্শ দিতে পারে। যা কখনো আপনার জন্য আপনার ক্ষতির কারণ বা নতুন কোনো ঝুঁকির সম্মুখীন করাতে পারে ।যদি ঔষুধ খেয়ে অথবা শারীরিক ক্রিয়া কলাপের মাধ্যমে সুস্থ হওয়া সম্ভব হয় তাহলে অপারেশনের থেকে অবশ্যই সেটাই আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি হিতকর। এখানে ডাক্তাররা কখনোই আপনার কোনো অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা করবে না বা আপনার ক্ষতি হয় এমন কোনো কিছু পরামর্শ দিবেন না। আর এ সকল জায়গায় আপনি যে চিকিৎসা পাবেন টা আর কোথাও পাবেন না ।
√বাংলাদেশ থেকে কিভাবে যাবেন ব্যাঙ্গালোরে?
বাংলাদেশ থেকে আসতে হলে আপনাকে হয় ট্রেনে অথবা প্ল্যানে আসতে হবে। কিন্তু ট্রেনে আসলে আপনার আঠারো ঘণ্টার মতো সময় লেগে যাবে। তাই অল্প কিছু টাকা আরো মিলিয়ে প্ল্যানে আশা ভালো। ঢাকা থেকে ব্যাঙ্গালোরে কোনো ডাইরেক্ট ফ্লাইট নেই।প্রথমে আপনার ঢাকা থেকে দিল্লী, মুম্বাই অথবা কলকাতা এসে নামতে হবে তারপর কানেক্টেড ফ্লাইটে সাময়িক বিরতির পর আবার অন্য প্ল্যানে উঠতে হবে। কিন্তু এভাবে যাওয়া বেশ ব্যায়বহুল আর সময় সাশ্রয়ী নয়। ডাইরেক্ট প্ল্যানে গেলে আপনার বিশ হাজার টাকা করে একটি টিকেট এর খরচ পড়বে । আবার আপনি যদি কলকাতা পর্যন্ত বাসে এসে এরপর কলকাতা বিমান বন্দর থেকে বিমানে উঠেন তাহলে সেটি আপনার অনেক কম খরচে যাওয়ার সুযোগ করে দিবে। তাই কলকাতা পর্যন্ত বাসে এসে এরপর বিমানে ব্যাঙ্গালোরে গেলে আপনার অল্প খরচে যাওয়া সম্ভব হবে।
√ডাক্তার দেখানোর অভিজ্ঞতা ও সাহায্যের জন্য আবেদন
বাংলাদেশে ডাক্তার দেখানোর পর আমি সুস্থ হওয়ার আশা অনেকটাই ছেড়ে দিয়েছিলাম কারণ তাদের মতে আমার হাত আর কখনো আগের অবস্থায় ফিরবে না । অপারেশনের পরেও অস্বাভাবিকতা বজায় থাকবে । কিন্তু এখানে মনিপাল হাসপাতালে ডাক্তার কে সমস্যার কথা বলার পরে সে হেসে বললো তুমি আবার সব কিছুই করতে পারবে এটা কোনো বিষয়ই নয়। তখনই ওই মুহূর্তে এক প্রকার স্বস্থি চলে আসে মনে। অপারেশনের প্রায় সপ্তাহ খানেক হয়ে যাচ্ছে এবং হয় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে ।কিন্তু এই চিকিৎসা বেশ ব্যায়বহুল। আমরা অনুমান করছিলাম হয়তো দুই লাখের মধ্যে সব খরচ মিতে যাবে কিন্তু সম্পূর্ণ খরচ হয়েছে বাংলাদেশী টাকায় পাঁচ লাখ টাকার কাছাকাছি। ফলে আমার একার পক্ষে পুরোপুরি কুলিয়ে উঠা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আপনাদের একান্ত সাহায্য ও সহযোগিতাই আমার কাম্য।
ter>