ঘৃণার ভালোবাসা

in hive-129948 •  7 months ago 

ঘড়িতে বাজে ভোর ছটা। কিন্তু বাইরের পরিবেশটা দেখে মনে হচ্ছে না। ঘন কুয়াশায় পরিবেশটা সম্পূর্ণভাবে ঢেকে আছে। আবহাওয়া জানান দিচ্ছে, এই শীতকালের ভোরে ঘুম থেকে উঠতে বাড়ির কারোরই মন চায় না। সূর্যের রোদমাখা পরিবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

কিন্তু চক্রবর্তী পরিবারের আবহাওয়া সেটা বলে না। বছর একুশের একটি মেয়ে, ঐ বাড়ির মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও ভাগ্যের দোষে তাকে উঠতে হবে। ঘুম থেকে উঠার ইচ্ছা না থাকলেও, মেয়েটি কোনো এক অজানা মনোবলে এইমুহুর্তে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সকালের কাজগুলি করার জন্য নিজের রুম থেকে বেরিয়ে পরলো। এখন যদি কাজ গুলো কম্পলীট না করতে পারে তাহলে টাইম মতো এক্সাম হলে ঢুকতে পারবে না আজ। বারবার ঘড়িতে তাকাতে তাকাতে মেয়েটি একের পর এক কাজ কমপ্লিট করতে থাকলো।

মেয়েটি দুটি চায়ের কাপ নিয়ে জেঠিমার রুমে বাইরে দাড়িয়ে দরজায় একটু আঘাত করে বললো- 'জেঠিমা চা এনেছি।'

জেঠিমার পারমিশান নিয়ে রুমে ঢুকে জেঠুকে আর জেঠিমাকে চায়ের কাপ দুটি দিলো।

মেয়েটির জেঠু মেয়েটির দিকে তাকানোর সাহস পেলো না। এরকম অসহায় পরিস্থিতিতে চাইলেও কিছু করতে পারছে না তিনি। নিজের স্ত্রীর এরকম দুর্ব্যবহারকে সহ্য করতে পারেন না, আবার কিছু বলতেও পারেন না। মাঝে মাঝে নিজেকে এই বাড়ির একজন পুতুল মনে হয়।

মেয়েটি চা টা টেবিলে রাখলে তার জেঠু বলে উঠলো- 'কটা থেকে এক্সাম?'

মেয়েটি-10 টা থেকে।

মেয়েটির জেঠু- ভালো করে এক্সাম দিস। আর আমার বিশ্বাস তুই ভালো রেজাল্ট করবি।

মেয়েটি শুধু মুখে একটা ছোটো হাসি দিয়ে রুম থেকে চলে গেলো। মেয়েটির জেঠিমা সঙ্গে সঙ্গে দাঁত খিঁচিয়ে বলে উঠলেন- যতসব ন্যাকামো।

মেয়েটি রুম থেকে বেরিয়ে যাবার সময় জেঠিমার বলা কথাটা স্পষ্ট শুনতে পেলো। তবুও কোনো প্রতিবাদ না করে চুপচাপ চলে গেলো। এখন আর ছোটবেলার মত সেই মেয়েটি কাঁদে না। সবার সামনে কাঁদতেও পারে না। বিগতঘড়িতে বাজে ভোর ছটা। কিন্তু বাইরের পরিবেশটা দেখে মনে হচ্ছে না। ঘন কুয়াশায় পরিবেশটা সম্পূর্ণভাবে ঢেকে আছে। আবহাওয়া জানান দিচ্ছে, এই শীতকালের ভোরে ঘুম থেকে উঠতে বাড়ির কারোরই মন চায় না। সূর্যের রোদমাখা পরিবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

কিন্তু চক্রবর্তী পরিবারের আবহাওয়া সেটা বলে না। বছর একুশের একটি মেয়ে, ঐ বাড়ির মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও ভাগ্যের দোষে তাকে উঠতে হবে। ঘুম থেকে উঠার ইচ্ছা না থাকলেও, মেয়েটি কোনো এক অজানা মনোবলে এইমুহুর্তে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সকালের কাজগুলি করার জন্য নিজের রুম থেকে বেরিয়ে পরলো। এখন যদি কাজ গুলো কম্পলীট না করতে পারে তাহলে টাইম মতো এক্সাম হলে ঢুকতে পারবে না আজ। বারবার ঘড়িতে তাকাতে তাকাতে মেয়েটি একের পর এক কাজ কমপ্লিট করতে থাকলো।

মেয়েটি দুটি চায়ের কাপ নিয়ে জেঠিমার রুমে বাইরে দাড়িয়ে দরজায় একটু আঘাত করে বললো- 'জেঠিমা চা এনেছি।'

জেঠিমার পারমিশান নিয়ে রুমে ঢুকে জেঠুকে আর জেঠিমাকে চায়ের কাপ দুটি দিলো।

মেয়েটির জেঠু মেয়েটির দিকে তাকানোর সাহস পেলো না। এরকম অসহায় পরিস্থিতিতে চাইলেও কিছু করতে পারছে না তিনি। নিজের স্ত্রীর এরকম দুর্ব্যবহারকে সহ্য করতে পারেন না, আবার কিছু বলতেও পারেন না। মাঝে মাঝে নিজেকে এই বাড়ির একজন পুতুল মনে হয়।

মেয়েটি চা টা টেবিলে রাখলে তার জেঠু বলে উঠলো- 'কটা থেকে এক্সাম?'

মেয়েটি-10 টা থেকে।

মেয়েটির জেঠু- ভালো করে এক্সাম দিস। আর আমার বিশ্বাস তুই ভালো রেজাল্ট করবি।

মেয়েটি শুধু মুখে একটা ছোটো হাসি দিয়ে রুম থেকে চলে গেলো। মেয়েটির জেঠিমা সঙ্গে সঙ্গে দাঁত খিঁচিয়ে বলে উঠলেন- যতসব ন্যাকামো।

মেয়েটি রুম থেকে বেরিয়ে যাবার সময় জেঠিমার বলা কথাটা স্পষ্ট শুনতে পেলো। তবুও কোনো প্রতিবাদ না করে চুপচাপ চলে গেলো। এখন আর ছোটবেলার মত সেই মেয়েটি কাঁদে না। সবার সামনে কাঁদতেও পারে না। বিগত

19 টা বছরে এরকম কথা অনেক শুনে এসেছে। আরো একটিবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে মেয়েটা রান্নাঘরের দিকে চলে গেলো।

একটু পরে আরো একজন বয়স পনেরো মেয়ে রুম থেকে হাই ভাঙতে ভাঙতে বেরিয়ে এলো। রান্নাঘরে তার দিদিকে দেখতে পেয়ে সেদিকে গিয়ে বললো- 'দিদি। তুই কেনো মায়ের উপর কথা বলতে পারিস না? কিভাবে মুখ বুজে সব সহ্য করে যাস?

মেয়েটি মুখে একটা কল্পিত হাসির রেখা ফুটিয়ে বললো- উঠে পড়েছিস। এই নে তোর দূধ। (দুধের গ্লাসটা মেয়েটির দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো।)

মেয়েটি দুধের গ্লাসটা হাতে নিয়ে বললো- তুই সবকিছু সহ্য করার ক্ষমতা কোথা থেকে পাস। কে জানে?

মেয়েটি আরো কিছু বলতে যাবে তার আগেই ওখানে তার মা উপস্থিত হয়ে বললো- তুই কি করছিস এখানে? যা রেডি হয়ে তাড়াতাড়ি টিউশনে যা।

মেয়েটি তার মাকে খুব ভয় পায়। তাই বললো- এইতো যাচ্ছি। (বলেই চলে গেলো)

এরপর সেই মহিলাটি রান্নাঘরে ঢুকে বললো- কত দূর? আজকে আমাকে উপোস করে রাখবার মতলব করেছিস নাকি?

মেয়েটি- এইতো করছি। আর একটু বাকি

মেয়েটির জেঠিমা- বেশি ফাঁকি দিয়ে কাজ গুলো করিস না। এতে তোরই এক্সাম এর দেরী হয়ে যাবে। বাড়ির সবকাজ কমপ্লিট না করে বাড়ির বাইরে পা দেওয়ার কথা ভুলেও ভাবিস না।

বলেই সেই ভদ্রমহিলাটি চলে গেলেন অন্য দিকে। আর সেই মেয়েটি একে একে সব কাজগুলি কমপ্লিট করতে থাকলো।

বেশ কিছুক্ষণ পর সমস্ত কাজগুলি শেষ করে নিজের রূমের দিকে পা বাড়াল মেয়েটি। ঘড়িতে তাকিয়ে একবার দেখে নিলো, ঘন্টার কাঁটা নটার ঘরে ছুঁই ছুঁই অবস্থা। এরপর মেয়েটি একটা বড়ো ফ্রেমের মদ্ধে থাকা দুটি ছবিকে প্রণাম করে একবার বুকের মদ্ধে জড়িয়ে ধরলো। তারপর রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।

চলুন আলোচনা করে দিই। গল্পের প্রধান দুটো চরিত্রের মদ্ধে একটি হলো এই বাবা-মা হারা মেয়েটা, যে প্রতিনিয়ত জেঠিমার রোষের মুখে পড়ে। মেয়েটির নাম হলো অরিত্রি চক্রবর্তী, বয়স 21। আর এই জেঠিমার নাম হলো শর্মিলা চক্রবর্তী। অরিত্রির যখন 2 বছর বয়স তখন অরিত্রির বাবা-মা একটি অ্যাক্সিডেন্ট এ মারা যান। তারপর অরিত্রির ঠাকুমাই অরিত্রিকে মানুষ করেন। এই ঠাকুমাই ছোটোবেলায় অরিত্রিকে শর্মিলা দেবীর হাত থেকে বাঁচাতেন। কিন্তু যখন অরিত্রির 10 বছর বয়স তখন মারা যান। তারপর থেকেই শর্মিলা দেবীর অত্যাচার বেড়ে গেছে অরিত্রির ওপর। বাড়ির সব কাজ ওকে দিয়ে করানো শুরু করে। অরিত্রির জেঠু, অরিন্দম বাবু অরিত্রিকে খুব ভালোবাসে কিন্তু শর্মিলা দেবীর অত্যাচারে কিছু বলতে পারেন না। নির্বাক হয়ে শুধু সহ্য করে যান অশান্তির ভয়ে। ক্লাস টুয়েলভ-এর পর অরিত্রির পড়াশুনাও বন্ধ করতে চেয়েছিলেন শর্মিলা দেবী। অরিত্রি পড়াশুনাতে খুব মেধাবী ছাত্রী। বোর্ডের পরীক্ষায় স্কুলের মদ্ধে ফার্স্টও হয়েছিল। আর তাই অরিন্দম বাবু এই নিয়ে নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে শেষবার কথা বলেছিলেন। ফলস্বরূপ এটা নিয়ে একটা অশান্তিরও সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু শেষমেষ রাজি হতে হয় শর্মিলা দেবীকে। তিনি শেষ পর্যন্ত অরিত্রিকে কলেজে পড়ার জন্য পার্মিশান দিয়েছিলেন এই শর্তে যে, " বাড়ির সমস্ত কাজ অরিত্রিকেই করতে হবে। কাজ কমপ্লিট না করে বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না। আর এই পড়াশুনার জন্য এক টাকাও তিনি খরচ করবেন না।" অরিত্রি বর্তমানে একটি কলেজে ইংলিশ নিয়ে অনার্স পড়ছে। স্কলারশিপ এর টাকা থেকে কলেজের ফিসটা কোনোভাবে ম্যানেজ করে এগিয়ে চলছে। এছাড়াও সপ্তাহে পাঁচদিন কিছু বাচ্চাদের টিউশন পড়ায় কলেজ ছুটির পরে। এই টাকা দিয়েই খরচ চালিয়ে নেয়। অরিত্রি আজ সেকেন্ড ইয়ার থার্ড সেমের ফাইনাল এক্সাম দিতে যাচ্ছে।

বাইরের কেউ দেখলে কেউই বলবে না অরিত্রি ভালো নেই। অরিত্রি এখন আর সকলের সামনে কাঁদে না, চোখের জল লুকিয়ে রাখতে শিখে গেছে। শুধু প্রতিদিন রাতে বাবা-মার ছবিটার কাছে অশ্রুগুলো আড়াল করতে ব্যর্থ হয়ে পরে। চোখের জল ফেলতে ফেলতে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুধু একটিই প্রার্থনা করে, "কোনোভাবে বাবা-মাকে আবার ওর জীবনে ফিরিয়ে দেবার কথা।"

অরিত্রি দেখতে মোটামুটি সুন্দর। কিন্তু অরিত্রি নিজের সেই রূপটাকে সম্পূর্ণভাবে লুকিয়ে রেখেছে বাইরের পরিবেশ থেকে। আর তাই শর্মিলা দেবী বিয়ের জন্য সম্বন্ধ ঠিক করলেও অরিত্রিকে দেখে কেউই পছন্দ করতে পারেনা। কেউ কেউ আবার পছন্দ করলেও, শর্মিলা দেবীর কোনোরকম পণ না দেওয়ার জন্য, তারাও মানা করে দেই। তবে এই বিষয়টা অরিত্রির ওপর কোনো প্রভাব পড়েনি।

শর্মিলা দেবী আর অরিন্দম বাবুর একমাত্র মেয়ে হলো সোহিনী চক্রবর্তী। সোহিনী মায়ের গুণের মধ্যে একটিও পায়নি। সোহিনী নিজের মায়ের তুলনায় দিদিকে বেশি ভালোবাসে। সোহিনীর এখন বয়স মাত্র 16। দিদির ওপর করা মায়ের অত্যাচার গুলো সহ্য করতে না পারলেও বয়সে ছোটো হওয়ার কারনে মায়ের ওপর কিছু বলতে পারে না। বাকিটা গল্পের সাথে সাথেই বলবো।)

শহরের আরেক প্রান্তে সকাল নটা বেজে যাওয়া সত্ত্বেও একটি ছেলে ঘুমিয়েই আছে। বলতে গেলে এটি তার প্রতিদিনের রুটিন। বাড়ির পরিচারিকা প্রতিদিনের মতো চায়ের কাপটা টেবিলের ওপর দিয়ে গেলেন। আরো কয়েক মুহুর্ত পর, যখন এলকোহলের প্রভাব শরীর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাল, তখন ছেলেটি উঠে চা খেয়ে ফ্রেশ হয়ে নিল। তারপর গাড়ির চাবিটা নিয়ে একটি ভালো ড্রেস পড়ে রুম থেকে বেরিয়ে পরলো। বাড়ি থেকে বেরোতে দেখে ছেলেটির বাবা বলে উঠলেন- 'অর্নব।'

অর্নব পিছনে ঘুরে হাতের ঘড়িটা ঠিক করতে করতে বললো- 'বলো।'

অর্নব এর বাবা- আমার তো বয়স হচ্ছে। এবার তো তোকে অফিসের কাজ গুলো দেখতে হবে। এই বয়সে আমি কটা দিক লক্ষ রাখবো? তুই-ই বল।

অর্নব- আমি এখনই অফিস জয়েন করতে চায় না। আগেও বলেছি, এখনো বলছি।

অর্নব এর মা তখন পাস থেকে বলে উঠলেন, "তুই এই বলে বলে তিনটে বছর এরকম ভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছিস। এভাবে আরো কতদিন ঘুরবি? বাবার তো বয়স হচ্ছে, সেদিকে লক্ষ্য নেই একবারও?

অর্নব- আমি তো বলছি আমি জয়েন করবো। বাট এখন কোনোমতেই সম্ভব না।

অর্নব মা আরো কিছু বলতে যাবে, ঠিক তখনই অর্নব-এর ফোনটা শব্দ করে বেজে উঠলো। অর্নব কলটা রিসিভ করার পর বাড়ি থেকে বেরোনোর পূর্বে বলে বললো,

অর্নব- আমি আজ রাতে বাড়ি আম দ-এর বার্থডে পার্টি আছে।

কোনোরকম প্রত্যুত্তরের অপেক্ষা না করে অর্নব বেরিয়ে গেলো ওনাদের সামনে থেকে। অর্নব এর মা সোফায় বসে পরলেন হতাশার দ্বারা। অর্নব এর বাবা অসহায় ভাবে শান্তনা দেবার জন্য বলে উঠলেন- 'এটা তো ওর প্রতিদিনের রুটিন। আর কি করা যাবে?'

অর্নব এর মা-ও কি সারাজীবন এরকম হয়ে থাকবে? কোনোদিনও চেঞ্জ হবে না?

অর্নব এর বাবা, অর্নব এর মায়ের কাঁধে হাত রেখে বললেন- 'এটার জন্য আমরাও কোনো না কোনোভাবে দায়ি। এখন সেটা কিছুই করা যাবে না। তবে আমার বিশ্বাস ও একদিন নিজের ভুলটা বুঝতে পারবে।'

(গল্পের আর একটা মুখ্য চরিত্রের সাথে আলাপ করিয়ে দিই। অর্নব রয়, বয়স 27। পড়াশুনা কমপ্লিট হয়েছে তিন বছর হলো। নিজের একটা ছোট্ট বিসনেস শুরু করেছিলো, কিন্তু সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য মা-বাবার সাথে অর্ণবের সম্পর্ক ভালো নয়। তাই এখনো বাবার বিসনেসে জয়েন করেনি। অর্নব-এর বাবার নাম হলো অবিনাশ রয়, শহরের একজন টপ রেটেড

বিসনেসম্যান।

অর্ণবের মা হলো নীলিমা রয়, একজন গৃহবধূ।

অর্ণবকে দেখতে খুব হ্যান্ডসাম, যেকোনো মেয়েই দেখে ক্রাস খাবে। কলেজ লাইফে অনেক প্রপোসাল পেয়েছিলো কিন্তু একটাও এক্সেপ্ট করেনি। তবে অর্ণব একটা মেয়েকে ভালোবেসে ছিলো কিন্তু সেই মেয়েটি অর্ণবের ভালোবাসার সম্মান শেষ অবধি রাখতে পারেনি। তারপর থেকেই অর্ণব সবকিছু ভুলতে গিয়ে প্রচন্ড পরিমানে এলকোহোল এডিক্টেড হয়ে পড়ে, তার সাথে সিগারেটেরও। ড্রিংক করতে শুরু করার পর অনেক বন্ধুও হয়, যারা সারারাত ধরে ড্রিংক করে পার্টি করে বেড়ায়। সেখান থেকে অনেক খারাপ বন্ধুর সাথেও অর্ণবের যোগাযোগ হয়। মন এর দিক থেকে ভালো হওয়া সত্ত্ব্যেও সঙ্গদোষে সমাজের চোখে খারাপ হয়ে গিয়েছে অর্ণব। একটা প্রবাদ বাক্য আছে না,

'সঙ্গ দোষে, লোহা জলে ভাষে।'

অর্ণব এর প্রতিদিনের রুটিন হলো, 'সকাল নটায় চা খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবার পর রাত 12 টায় মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরা। আবার কোনো কোনো দিন বাড়িও ফিরে না আসা।')

চলবে......
Screenshot_2024_0713_042954.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কপি রাইট স্প্যামিং এগুলো এই প্লাটফর্মের জন্য অনেক অনেক ক্ষতিকর। তাই সবাইকে এইসব থেকে বিরত থাকা উচিত। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন ধন্যবাদ।