১০চৈত্র , ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
২৪ ই মার্চ ,২০২২সাল
ভালো না লাগার কারণ অনুসন্ধান
হ্যালো
আমার বাণীঃ চার দেওয়াকের মাঝে আবদ্ধ থেকেও সৃষ্ট বিজ্ঞানী হওয়া যায়। এর জন্য দরকার শুধু সাধনা।
জীবনের খাতার পাতাগুলো কেমন জানি আজ ঝাপসা এবং খসখসে হয়ে গেছ। প্রতিদিন সে পাতাগুলোর যত্ন নেওয়া এবং পাতাকে রঙিন করে তোলার জন্য কতইনা কি করে যাচ্ছি কিন্তু পাতাগুলো কিছুতেই চকচকে থাকছে না। যদিও জীবনের পাতা একবার উল্টিয়ে গেলে সেটা পরবর্তী দেখার সুযোগ সেভাবে মেলে না। এটা শুধু আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা কিন্তু নয়। এটা সবার জীবনের ক্ষেত্রেই একই ভূমিকা পালন করে। অনেক বিভীষিকা ছাড়িয়ে জীবনের তরে কল্লোলিত স্রোত পাড়ি দিয়ে গঙ্গার পাড়ে এসে ঠেকে গেল কিন্তু গঙ্গার পানি কোন কষ্ট বা দুঃখ মেলেনি আসার পথে। তবে আমাকে খানিকটা পথ অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ভূমিতে পৌঁছাতে হয়েছে। দুঃখগুলো নদীর পানি এবং খাতার পাতা কেউই তার কাছে রাখল না যদিও আমি চেয়েছিলাম গঙ্গা পারাপারের সময় দুঃখগুলোকে গঙ্গার জলকে দিয়ে বলে আসবো আমাকে সমপরিমাণ সুখের সন্ধান দিয়ে আমার হৃদয় মাঝে সুখের আলোড়ন সৃষ্টি করে দাও। কই সে তো আমাকে কিছুই দিল না উপরন্তু আমাকে প্রতিকুলতা ডিঙিয়ে এবার এসে দুঃখের সঙ্গে লড়াই করে যেতে হচ্ছে।
আজ হঠাৎ ভালো লাগছে না কিন্তু কেন? বারবার নিভৃতে মনের অন্তরালে প্রশ্ন জাগে, কেন কিছুই ভালো লাগেনা এই সময়ে এসে?
সে কারণ;
উদঘাটন করার জন্যই তো প্রশ্নের তীব্রতা হানিছে শূল মস্তকের মাংসপিণ্ডে! ভালোলাগার কিছু কারণ উদ্ঘাটন করে পেয়েছি কিন্তু ভালো না লাগার কোন কারণ উদ্ঘাটন করিতে পাইতেছিনা। না বললে ভুল হবে, অবশ্যই অনেক কারণ খুঁজে পেয়েছি তা বর্ণনাতীত। পদ্মার ঘাটে গিয়ে পাথারে চাহিয়া দেখি মনের শান্তি মিটায় । কখনো বা কাসেম মামার দোকানে গিয়ে এক কাপ লাল চা খেয়ে; কখনো কখনো ভ্রমণবৃত্তান্ত পড়ে, ভ্রমণে গিয়ে এভাবেই টাকা খরচ করে বারবার নিজেকে ভালো রাখার অপচেষ্টা চালিয়ে যাই কিন্তু অধিকাংশ সময় নিজেকে খুঁজে পাই দুঃখের ছায়াপাতে!
অনেকবার ভেবেছিলাম এবং শৈশবের আনন্দে আনন্দে বলতাম বড় হলেই জীবনে অনেক কিছু হইবে পরিবারের দুঃখ প্রশমিত হইবে কিন্তু আজ বড়ই হতে পারলাম না যদিও বয়সের ভার বিশ কিংবা একুশ । আজ প্রায় পাঁচ দিন হইতে লাগিল গ্রামের বাড়িতে বাবা মা'র সঙ্গে কথা বলা হয়ে ওঠেনি। ওই যে বললাম কারণ উদ্ঘাটন খনিতে আজকে বসে আছি । থাকছে না নিজের পকেটে টাকা। করিতে পারিতেছি না কিছু নেই টাকা আমার পকেট খানিতে। তারা তো জানি অনেক ঝড় এর মধ্য দিয়ে জীবনের তরী বই নিয়ে যেতে হচ্ছে সামনের দিকে। তারাও বা শুনে কি করবে ভালো না লাগার কারণ , তাদের সাধ্যমতো দিয়েছেন যদিও নাই কোনোখানি। তাদের উপর সন্তুষ্ট আমার হৃদয়ে স্পন্দিত হয় বারবার যদি একবার মন ভরে কথা বলতে পারতাম তাহলে হয়তো মনে শান্তি আবারো খোঁজে পাইতাম।
তার পরেও খুঁজে পেলাম না ভালো না লাগার কারণ! কারণ উদ্ঘাটন করতে গেলেই হাজারো প্রশ্ন এবং প্রতিকূলতা চোখের সামনে ভাসে প্রতিচ্ছবি আয়নার মত। তাই ভালো না লাগার কারণ একটাই সেটা হলো জীবনের এমন একটি সময় জীবনের সন্ধিক্ষণে বিরাজ করে। যে সময় লাগে না কাউকে ভালো, পরেনা মন কারো প্রেমে, নিশ্চুপ থেকে যায় নিভৃত অন্তরালে। ভালো না লাগার কারণ খুঁজে নিভৃত অন্তরালে। ,,,,,,,,,,,,,
Join the Discord Server for more Details
জীবন পাতার শেষ হওয়া একটা পাতার সংরক্ষণঃ