১৮ ফাল্গুন, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
৩ ই মার্চ ,২০২২সাল
ততক্ষণ তুমি শ্রেষ্ঠ, যতক্ষণ রবে তার কাছে তোমার স্বার্থ।
আবার ফুরালে তাহার স্বার্থ, প্রমাণিত হবে তার কাছে তুমিই সবথেকে বড় ব্যর্থ।
হ্যালো
মানুষ কতটা অদ্ভুত তাইনা, মানুষ এই কথাটির হিসেবে আমি কখোনই মিলাতে পারিনি। মানুষ কাকে বলে আসলে মানুষের সঙ্গে আমি কখনোই বুঝতে পারিনি।মানুষ শব্দটি আমার কাছে বেশ জটিল মনে হয় সব সময়। আসলেই যারা মানুষ তারা কি সবসময় স্বার্থ দিয়ে চিন্তা করে নাকি তারা স্বার্থহীন হয়ে বেঁচে থাকে। আমার কাছে তো মনে হয় যারা আসলে প্রকৃতপক্ষে মানুষ তারা কখনই কোন কাজের মধ্যে কোন কিছুর মধ্যে স্বার্থ টুকু খোঁজে না।
যারা প্রকৃতপক্ষে নিজেকে মানুষ মনে করে তারা কখনো অন্যের ক্ষতি করে না। তারা কখনোই চায় না তাদের কথায় কখনো অন্য কেউ আঘাত পাক। সব সময় চাই কিভাবে মানুষের উপকার করা যায় হয়তোবা অনেক মানুষ আছে যারা অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল। অর্থনৈতিকভাবে তারা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না কিন্তু তারা কিছু কিছু কর্মের মাধ্যমে অনেক বড় বড় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো যোগ্যতা রাখে। সব সময় চিন্তা করে পরোপকার অর্থাৎ মানুষের উপকার আসার জন্য। অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় তারা নিজের কর্মের দ্বারা অন্যের মাঝে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়।
আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা সব সময় একটি ছোট কাজ করলেও তার ফায়দা লুটে নেয়ার চেষ্টায় থাকে। তাদেরকে যদি একটি অতি ক্ষুদ্র কাজ দেওয়া যায় তার মধ্যেও তারা স্বার্থ খুঁজতে ব্যস্ত। তারা যেখানেই যায় স্বার্থ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। তারা তারা ভাবে কোনটাতে লাভ আর কোনটাতে লস। এই শ্রেণীর মানুষ গুলো কখনো চিন্তা করে না একটি ছোট্ট ভালো কাজের মাধ্যমে কিভাবে মানুষকে খুশি রাখা যায়। একটি সামান্য কথার দ্বারা মানুষ করে কত বড় বিপদ থেকে রক্ষা করা যায়। ঠোঁটের কোণায় মুচকি হাসি দিয়ে কথা বললে একজন মানুষ কতটা খুশি হয়ে যায়।
এই দুই দিনের দুনিয়ায় মানুষ স্বার্থের পাগল হয়ে কত খারাপ কাজ কত অন্যায় কাজ কত দুর্নীতি করে থাকে। কত শত অসহায় মানুষের বুকের ওপর হানা দিয়ে থাকে। মানুষ বড়ই অদ্ভূত যতক্ষণ আপনার কাছে স্বার্থ থাকবে ততখন আপনি তার প্রিয়জন। এবং যেই মুহুর্তে আপনার কাছে স্বার্থ শেষ হয়ে যাবে আপনি হবেন তার প্রয়োজন। প্রয়োজনে পাশে ডাকে এমন মানুষের কাছ থেকে সবসময় দূরে থাকার কথাই বলবো আমি। কেননা এই মানুষগুলো প্রয়োজনে যেমন কাছে টানতে পারে প্রয়োজনে যেমন প্রীয়জন বানাতে পারে। ঠিক তেমনি ভাবে প্রয়োজন শেষ হলে আবার তারা আপনাকে নর্দমায় ও ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে।
এমন মানুষ কারো জীবনে না থাকুক যারা প্রিয়জনের প্রয়োজনে ব্যবহার করে। আসলে দিন শেষে এমন মানুষ কখনোই সুখী থাকতে পারে না যদিও বা তারা সুখের জন্য স্বার্থপরের মতো জীবন যাপন করে। স্বার্থপর মানুষ কখনোই সুখী হতে পারে না আমার কাছে মনে হয় আসল সুখ বিরাজ করে শুকরিয়ার মাঝে। আপনি স্রষ্টার দেওয়া জিনিসের যত তাড়াতাড়ি শুকরিয়া আদায় করবেন ঠিক ততটাই সুখী থাকতে পারবে। আমার কাছে ঠিক এমনটাই মনে হয় সব সময়।
স্রষ্টার সৃষ্টি তে সবসময় সন্তুষ্ট থাকতে হবে। স্রষ্টা যা করেন সবকিছুই আমাদের ভালোর জন্যই করেন এই বিশ্বাসটুকু আমাদের অন্তর মাথায় গেঁথে নিতে হবে। তাহলে আমরা প্রকৃত সুখ উপভোগ করতে পারব। তো বন্ধুরা আমি অনেক ছোট মানুষ হয়তবা এই পোষ্ট এর মাঝে আমি অনেক ভুল-ত্রুটি বা বর কথা বলে ফেলেছি। আমার ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভুলগুলোকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সকলের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
Join the Discord Server for more Details