স্বরচিত কবিতার নাম "বৃদ্ধাশ্রম" ✨

in hive-129948 •  2 years ago 
স্বরচিত কবিতার নাম "বৃদ্ধাশ্রম"

png_20220909_162328_0000.png

Create by Canva Pro

siam,.png

বৃদ্ধাশ্রম কথাটা শুনলেই বুকের ভেতর কেমন কেঁপে ওঠে। যেই মা-বাবা এত কষ্ট করে লালন-পালন করে মানুষ করেছে সেই মা-বাবাকে নিজের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে কোন এক সন্তান?? এটা কি আদৌ সম্ভব!! জানিনা পরবর্তীতে আরো কি কি দেখতে হবে। তবে আমি এই বিষয়টি একদমই সাপোর্ট করিনা।

কিছুদিন পরপর বৃদ্ধাশ্রম এর বিভিন্ন ধরনের খবর দেখতে পাই। সত্যি অনেক কষ্ট লাগে নিজেকেই। আজকাল মা বাবা সন্তানের উপর বোঝা হয়ে গিয়েছে, এটাকে কীভাবে সম্ভব। একটি সন্তান কিভাবে পারে তার মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে মতো জায়গায় রেখে আসতে!!! সেইসব সন্তানের প্রতি আমার অনেক রাগ এবং ঘৃনা জন্ম নিয়েছে। সেই থেকেই আমি ভাবলাম আজ একটি কবিতা লিখবো। জানিনা কবিতাটি কেমন হয়েছে তবে মন্তব্যে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।।

siam,.png

"বৃদ্ধাশ্রম"

আল সারজিল সিয়াম

কেমন করে পারো তোমরা
কেমন করে পারো,
এমন প্রিয় বাবা মাকে
বৃদ্ধাশ্রমে ছাড়ো।

তিল তিল করে যারা
তোমায় করল বড়,,
কেমন করে তাদের ছেড়ে
বউয়ের হাতটি ধরো।

মায়া মমতা স্নেহ দিয়ে
আগলে রাখেন যারা,
তোমাদের পেয়ে ভালোবেসে
দিশেহারা তারা।

হাজার ত্যাগের বিনিময়ে
আজকের এই তুমি,
তুমি বিহনে বৃদ্ধাশ্রম
যেন মরুভূমি।

বটবৃক্ষের ছায়া বাবা
শান্তি মায়ের মুখ,,
মা -বাবা ছাড়া জগতে
হয়না কোন সুখ।

ঘাম ঝরানো টাকায় বাবার
করেছো লেখাপড়া,,
তিলেতিলে মায়ের হাতে
আজকে তুমি গড়া।

জান্নাত কে অবহেলা
করো না যেন কেউ,,
মনের মাঝে অশান্তির
ঝড় তুলবে ঢেউ।।

সময় থাকতে সাধন করো
বাবা-মায়ের সেবা করো,
চাইলে পরিত্রাণ,
মন থেকে মুছে ফেলো
বৃদ্ধাশ্রম এর ঘ্রাণ।



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

photo_2021-06-28_11-13-39.jpg

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



বিষয়: স্বরচিত কবিতার নাম "বৃদ্ধাশ্রম"

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.........

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রকৃতির এই নিয়ম যেন
কেউ যায় না ভুলে,,
যেমন কর্ম তেমন ফল
এটাই হল মূলে।

এত সুন্দর লিখেছো তুমি
জুড়িয়ে গেল প্রাণ,,
অভদ্র সব সন্তানদের
এই কবিতা দিও ত্রাণ।

দোয়া করি মানুষ হও
জ্ঞানীগুণী আরো,,
সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা
রাখতে যেন পারো।

বৃদ্ধাশ্রমে বাবা-মা
কোনদিনও নয়,
জান্নাত কে ছুড়ে ফেলার
মনে রেখো ভয়।
♥♥

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার কবিতাটি অনেক চমৎকার হয়েছে।।

বটবৃক্ষের ছায়া বাবা
শান্তি মায়ের মুখ,,
মা -বাবা ছাড়া জগতে
হয়না কোন সুখ।

বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন ভাইয়া। কবিতার প্রতিটি কথা বাস্তবিক। যে বাবা মা এতো ভালোবাসা দিয়ে আমাদেরকে বড় করেছেন, বৃদ্ধ বয়সে তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে কি করে একটা সন্তান রেখে আসতে পারে এটা ভাবলেই কলিজাটা ফেটে যেন রক্তক্ষরণ হয়। তবে যেসব সন্তানেরা বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে তারা আসলে সন্তান নয় তারা হলো সন্তান নামের কলঙ্ক এবং পশুর চেয়েও অধম। কবিতাটি অসাধারণ ছিল ভাইয়া। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

সময় থাকতে সাধন করো
বাবা-মায়ের সেবা করো,
চাইলে পরিত্রাণ,
মন থেকে মুছে ফেলো
বৃদ্ধাশ্রম এর ঘ্রাণ।

এখন মানুষের মাঝে মায়া মমতা আর ভালোবাসা তেমন দেখা যায়না। কেমন যেন সবকিছুর মাঝে স্বার্থ খোঁজে। বাবা মায়ের কাছে যখন স্বার্থ হাসিল হয়ে যায়, তখন আস্তো ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তবে বাবা মা মাফ করলেও প্রকৃতি কিন্তু ছেড়ে দেয় না। ঠিক শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেয়।

কবিতা অসাধারণ ছিল 👌
চমৎকার আর অর্থবহ ছিল প্রতিটি লাইন।
ধন্যবাদ ভাই, এগিয়ে যান ✨

ঠিক বলেছেন আপনি ভাই, প্রকৃতি কখনোই ছাড় দেয় না। অবশ্যই এই মহা পাপের শাস্তি পেতেই হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।

@tipu curate

আপনার স্বরচিত বৃদ্ধাশ্রম কবিতাটি পড়ে মনটা কষ্টে ভরে গেল।আসলে যেই বাবা-মা আমাদের সুখের চিন্তা করে নিজের সমস্ত সুখ বির্সজন করে আমাদের জন্য জন্য এতকিছু করে। আর যেই সময়ে আমাদের তাদের পাশে থাকা দরকার তখন আমরা উল্টো তাদের বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসি।একটু চিন্তা হয় না আমাদের, যখন আমাদের চলার কোন শক্তি ছিল না। তখন যদি আমাদের এভাবেই ফেলে যেতো। তবে কেমন হতো আমাদের। এসব চিন্তা করলেই যেন গাঁ শিহরিত হয়ে উঠে। এত সুন্দর করে বৃদ্ধাশ্রম কবিতার মাধ্যমে এই বিষয়টি চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

চেষ্টা করেছি ভাই, কবিতার মাধ্যমে বাস্তবতা কিছু ফুটিয়ে তোলার জন্য।।

প্রথমেই আপনাকে স্যালুট জানাই এমন একটা টপিক নিয়ে কবিতা লেখার জন্য। বনের পশুরাও নিজের মা বাবাকে ছাড়ে না । অথচ এই সভ্য সমাজের মানুষ কি করে এমন অসভ্যের মত কাজ করে এখনও এটাই বোধোদয় হয় না। বুকের ভেতর কি এতটুকুও কম্পন হয় না ওদের! মা বাবার মনে আঘাত দিয়ে পৃথিবীর কোন সন্তান কি কোন দিন সুখে থাকতে পারে!!

চমৎকার লিখেছেন ভাই। ছন্দের মিল বিন্যাস টাও বেশ ভালো লাগলো।

কি বলবো ভাই, মানুষের কার্যকলাপ পশুর চেয়েও নিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছে। তাই তো বৃদ্ধাশ্রম এর মত জায়গা তৈরি হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে কোন কিছু বলার নেই, শুধুমাত্র কষ্ট লাগে নিজের কাছেই।।

অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।প্রতিবছরই আমাদের ক্লাব থেকে বৃদ্ধাশ্রমের জন্য কিছু না কিছু করা হয়। তখন তাদের গল্প গুলো শুনলে বুক ফেটে যায়। অনেক সুন্দর ভাবে বিষয় টি ফুটিয়ে তুলেছেন ভাইয়া।

আমরা ও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে খাবার, কাপড় দেওয়ার চেস্টা করি।

অনেক দিন পর মনে দাগ লাগার মত একটা কবিতা পড়লাম। আমি জানিনা বাংলাদেশে বৃদ্ধাশ্রম কতগুলো আছে। তবে আমাদের কলকাতাতে যে কি পরিমান বৃদ্ধাশ্রম সেটা আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না।

একটি সন্তান কিভাবে পারে তার মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে মতো জায়গায় রেখে আসতে!!!

জানোয়ার শ্রেণীর যে সকল মানুষ রয়েছে তাদের কাছে এগুলো কোন ব্যাপারই না। বউকে নিয়ে ভালো জায়গায় থাকছে এদিকে বাবা-মাকে দেখার লোক নেই এজন্য তাদের বৃদ্ধাশ্রমে রেখে দিয়ে আসে। কিন্তু দিনশেষে দেখা যায় ওই মানুষগুলোই শুধুমাত্র আমাদের মঙ্গল কামনা করে।

সত্যি ভাই আবেগ প্রবল হয়ে গেলাম আপনার কবিতাটি পড়ে৷ আমি মনে করি যারা বাবা মা বৃদ্ধ হলে তাদের বোঝা মনে করে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে তারা কোনো মানুষের আওতায় পড়ে না। তারা এইটা চিন্তা করে না তাদের একদিন বুড়ো হতে হবে। যাইহোক, আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন।

বটবৃক্ষের ছায়া বাবা
শান্তি মায়ের মুখ,,
মা -বাবা ছাড়া জগতে
হয়না কোন সুখ।

ভাইয়া আপনার কবিতার লাইনের কথাগুলো সম্পূর্ণ বাস্তব। বাবা হল প্রতিটি সন্তানের জন্য বট বৃক্ষের ছায়া এবং মা হলো পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় সুখের স্থান। আমাদের সকলের উচিত সন্তান হিসেবে আমাদের পিতা-মাতাকে যথাযথভাবে সেবা ও যত্ন করা। ঠিক যেভাবে আমাদের ছোটবেলায় আমাদের পিতা-মাতা আমাদেরকে লালন পালন করেছিলেন।

আপনার বৃদ্ধাশ্রম কবিতাটি অনেক সুন্দর হয়েছে। বাস্তব টা কে তুলে ধরছেন। আসলে মা বাবা

বটবৃক্ষের ছায়া বাবা
শান্তি মায়ের মুখ,,
মা -বাবা ছাড়া জগতে
হয়না কোন সুখ

আসলে একদম ঠিক লিখছেন। এনারা যদি পাশে না থাকে, মনে হয় বুক হাহাকার হয়ে গেছে । যাদের বাবা মা আছে অনেক বুঝে না বাবা মা কদর।

পৃথিবীতে যতই ডিজিটাল হচ্ছে ততই মানুষের মানবিকতা লোপ পাচ্ছে। কি করে বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে শান্তির ঘুমে বিভোর হয়ে থাকে তার সন্তানেরা। ওহ কি যে যন্ত্রণাদায়ক সেই বৃদ্ধ পিতা-মাতার বুকে। অসাধারণ ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না। কঠিন একটা বিষয় নিয়ে হৃদয় স্পর্শকাতর একটি কবিতা লিখেছেন আপনি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।