বই পড়ুন, জ্ঞান আহরণ করুন

in hive-129948 •  2 months ago 
বই পড়ুন, জ্ঞান আহরণ করুন

1000022066.jpg

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। বই আমূল্য সম্পদ। এই বিষয়ে আমরা সকলেই জানি তবে বই পড়ার প্রতি যে একটা আগ্রহ সেটা কিন্তু আমাদের দিন দিন অনেকটাই কমে যাচ্ছে। বর্তমানে ডিজিটাল ভাবে অনেক কিছুই বাজারে আছে, যেমন ই-বুক, ই অডিও বুক ইত্যাদি। এতে করে বই পড়া থেকে আমরা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি।

বই পড়ার প্রধান উদ্দেশ্য কি জ্ঞান আহরণ করা, কিংবা একটু বিনোদনের জন্য বই পড়া। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তু জানার জন্য সাধারণত বই পড়ি। বর্তমানে pdf এর জামানা চলছে। এখন ফিজিক্যাল বই কেউ পড়তে চায় না। ভার্সিটি হোক কিংবা বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে, সব সময় মোবাইলে পিডিএফ নিয়ে মানুষ চলাচল করে। এমনকি ফিজিক্যাল বইয়ের প্রতি আকর্ষণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে আমি ফিজিক্যাল বইয়ের কেন কথা বলছে জানেন কারণ ফিজিক্যাল বই পড়ার জন্য আলাদা একটি মন মানসিকতা লাগে এবং আলাদা একটা অনুভূতি অনুভব করা যায়।

বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু। এই বইয়ের সাথে যে বন্ধুত্ব করে নেয় তার জ্ঞানের ভান্ডারে জ্ঞানের অভাব হয়না বরঞ্চ সেই জ্ঞান দিন দিন বৃদ্ধি পেতেই থাকে এবং বইয়ের প্রতি তাদের আলাদা ভালবাসা জন্ম নেয়। বিশ্বে বর্তমানে যত জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিবর্গরা রয়েছেন তাদের জীবনী গুলো পড়লে এই বই পড়া সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা ভালোভাবেই বুঝতে পারি। বিল গেটস হোক আর ইলোন মাকস। তারা যতই ব্যস্ত থাকুক না কেন দিনে কিছু না কিছু পড়ার চেষ্টা করেন এবং ফিজিক্যাল বই থেকে, এটা আমি সাক্ষাৎকারে জেনেছিলাম। আমার ব্যক্তিগতভাবে থ্রিলার, মহাকাশ বিজ্ঞান এবং সাইন্টিফিক বিষয়বস্তু অনেক পছন্দ এবং আমি এ ধরনের বই পড়ার চেষ্টা করি। আসলে পিডিএস তো অনেক রয়েছে, এছাড়াও অনেকগুলো অডিও বুক ইদানিং শুনছি। তবে নিজে নিজে বই পড়ার প্রতি যে একটা মজাটা সেটা কিন্তু পিডিএফ কিংবা ই-বুকে পাওয়া যায় না।

1000022065.jpg

আমি ব্যক্তিগতীও যদি আমার এক্সপেরিয়েন্স বলতে চাই তাহলে এটা এমন হবে, যখন আমি কোন ধরনের উপন্যাস কিংবা থ্রিলার গল্প পড়ি তখন দেখা যায় আমি সেই জায়গাটিকে অনুভব করি, যে জায়গাগুলোর কথা বা যে সব ঘটনাগুলোর কথা বইয়ে রয়েছে। এছাড়াও নিজে পড়লে সেটা ব্রেইনে বেশি মনে রাখতে পারে এবং ব্রেইন বেশি অ্যাক্টিভলি কাজ করে। সব থেকে ভালো লাগে কি জানেন? বইয়ের ঘ্রাণ। এই ঘ্রাণ পৃথিবীর অন্য কোন ঘ্রাণের সাথে সাদৃশ্য হবে না। আমার এখনো ঠিক মনে পরে, যখন ছোটবেলায় স্কুল থেকে নতুন নতুন বই পেতাম তখন সেই বইয়ের ঘ্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করতাম। আসলে এই পাগলামিটা আমি একাই করতাম নাকি অন্য কেউ করতো এই বিষয়টা এখন পর্যন্ত আমি শিওর নই। তবে আপনারা যদি কেউ এরকম করে থাকেন তাহলে অবশ্যই মন্তব্য জানাতে পারেন।

বর্তমানে আমরা সবাই ব্যস্ততম জীবন পার করছি তারপরও এই ব্যস্ততম জীবনে নিজের জন্য ৫-১০ মিনিট সময় তো রাখাই যায়, তাই নয় কি! এবং এই সময়টুকু আপনি আপনার পছন্দের গল্প, উপন্যাস, কবিতার বই পড়তে পারেন। এতে করে আপনার বইয়ের সাথে একটা আলাদা সম্পর্ক তৈরি হবে এবং যখন আপনি কোন বইয়ের পাতায় গল্প পড়বেন তখন আপনি সেই জায়গাতে নিজেকে অনুভব করবেন। যে অনুভূতিটা সত্যি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়, এতটাই আনন্দময় মুহূর্ত। আমরা অনেকেই মনে করি আমরা গ্রাজুয়েশন শেষ করে ফেলেছি এরপরে পড়াশুনোর দরকার নাই এটা আসলে একটি ভুল ধারণা। বই পড়লে বিজ্ঞান সম্পর্কে জানা যায়, বর্তমানে পৃথিবীতে কি চলছে, কি ধরনের আবিষ্কার হচ্ছে কিংবা সাহিত্য কোন পর্যায়ে চলে গেছে সেসব বিষয় সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। তাই আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করব আপনারা আপনাদের ফ্রি সময়ে একটু হলেও যেকোনো ধরনের বই পড়ার চেষ্টা করবেন, ধন্যবাদ।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

photo_2021-06-28_11-13-39.jpg

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



বিষয়: বই পড়ুন, জ্ঞান আহরণ করুন

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ছোটবেলা থেকে নতুন বই এর মাতাল করা ঘ্রাণ আমিও নেই, এমনকি এখনো সুযোগ পেলে! আর আমি ও একদম একমত, বই হাতে নিয়ে পড়ার আবেদন ই আলাদা। এমনকি, মাঝে মাঝে নিজের পছন্দের বই টি হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতেও আলাদা আনন্দ কাজ করে আমার! অডিও বুক ও শোনা হয়, তবে ফিজিকাল বই পড়ার আবেদন আসলেই আলাদা।

ঠিক বলেছেন আপু, ধন্যবাদ।

প্রতিদিন এক দুই তিন চার পাঁচ পৃষ্ঠা বই না পড়লে যেন, মনের ভিতর কেমন যেন একটা অতৃপ্তি কাজ করে। পিডিএফ কিংবা ই বুকে এতটা মজা লাগে না এটা সত্যি বলছো। কারণ বই ধরে পড়ার মজাটাই আলাদা। এবং পরম তৃপ্তির।

হ্যা ঠিক বলেছো আম্মু।

নতুন বইয়ের ঘ্রাণ আমার মনে হয় সবার কাছেই প্রিয় এবং এটা আমি অনেকের মুখ থেকেই শুনেছি। যাইহোক একসময় হুমায়ুন আহমেদের অনেক বই পড়তাম, কিন্তু ব্যস্ততার জন্য এখন আসলে একেবারেই বই পড়া হয় না। তবে এটা ঠিক, প্রতিদিন অন্তত কয়েক মিনিট হলেও বই পড়া উচিত আমাদের। এতে করে নিঃসন্দেহে জ্ঞানের পাল্লা ভারী হবে। তাছাড়া হাতে নিয়ে বই পড়ার মজাই আলাদা। সেটা কখনোই ই-বুক কিংবা পিডিএফে পাওয়া যায় না। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

চেস্টা করবেন ভাই।

বই পড়ার মাধ্যমে যেমন জ্ঞান আহরণ করা যায় তেমনি মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। সত্যি ভাইয়া নিজের ব্যস্ততার মাঝেও একটুখানি সময় বের করে যদি আমরা বই পড়ি তাহলে সত্যি অনেক ভালো হবে। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক উৎসাহ পেলাম ভাইয়া। চেষ্টা করবো নিজের জন্য কিছুটা সময় রেখে বই পড়ার।