বেঁচে থাকাই একটি রহস্য
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে একটু ভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করব। হয়তো এই বিষয়টা অনেকটা আধ্যাত্মিক হতে চলেছে। তবে আমার ব্যক্তিগত চিন্তা ভাবনা থেকেই এই বিষয়গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। যদি আপনাদের কল্পনার সাথে মিলে যায় তাহলে অবশ্যই মন্তব্য জানাতে পারেন, কোন বিষয়টা মিলে যাচ্ছে। তবে চলুন শুরু করি।
আমরা যে মহাবিশ্বে বসবাস করি, মহাবিশ্বকে আমরা দেখি সেই মহাবিশ্বকে বলা হয় দৃশ্যমান মহাবিশ্ব কিংবা অবজারভ্যাবএবল ইউনিভার্সিটি বলি। এর বাহিও কিন্তু অনেক বড় একটি দুনিয়া থাকতে পারে যে বিষয়ে আসলে আমরা ন্যূনতম ধারণা রাখি না। কারণ সেই আলো আমাদের পৃথিবী পর্যন্ত কখনোই আসতে পারেনি, সেখানকার মহাবিশ্বের প্রশস্তের গতি আলোর গতি থেকেও অনেক বেশি তাই সেই আলোগুলো কখনোই আমাদের পৃথিবী পর্যন্ত আসতে পারবে না বলে বিজ্ঞানীরা এমনটাই মতবাদ প্রদান করেছেন।
আমাদের এই মহাবিশ্বের অগণিত গ্যালাক্সি রয়েছে প্রত্যেকটা গ্যালাক্সিতে প্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন নক্ষত্রপুঞ্জ রয়েছে এবং প্রত্যেকটা নক্ষত্রতে অনেকগুলো গ্রহ উপগ্রহ এবং বিভিন্ন ধরনের মহাকাশের অবজেক্ট অবস্থান করছে। এত বড় মহাবিশ্বে কেন শুধু পৃথিবীতে জীবন নামক একটি মিরাক্কেল কিংবা রহস্যময় ঘটনা আমরা দেখতে পাই। টেকনোলজি যতই এডভান্স হচ্ছে তত নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিজ্ঞানীরা করে যাচ্ছেন। কিন্তু কখনোই এলিয়েন কিংবা ভিন্ন গ্রহী প্রাণী সম্পর্কে কোন ধরনের তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে আসেনি। এই তো কিছুদিন আগেই একটি রিসার্চ পেপার পাবলিক হয়েছিল। যেখানে প্রায় ৯৭ টি গ্যালাক্সির সবগুলো গ্রহকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল কিন্তু সেখান থেকে কোথাও কৃত্তিম রেডিও সংকেত ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
তাহলে একবার কল্পনা করে দেখুন আমাদের এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির মধ্যে সূর্য নামক একটি ছোট্ট নক্ষত্রের একটি ছোট্ট গ্রহতে আমাদের জীবনের অধির্ভাব হয়েছে। এটা কি শুধুমাত্র কাকতালীয় একটি ঘটনা নাকি এর পিছনে রয়েছে রহস্য। যেটা আজ পর্যন্ত আমরা উন্মোচন করতে পারিনি। পৃথিবীতে জীবনধারণের পরেও কিন্তু অনেক বড় বড় প্রলয় চলে এসেছে। যে বিষয়গুলো আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যেটাকে বলা হয় ম্যাছ এক্সটেনশন যা এখন প্রযন্ত ৫ বার হয়েছে। আমরা সব সময় বলে যাই আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে হয়তো কয়েক বছর পরে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা আমাদের জন্য দুষ্কর হয়ে যাবে কিন্তু এর বাহিরে ও মহাকাশে এমন অনেক চ্যালেঞ্জিং বিষয় রয়েছে যেগুলো আমরা কখনই বুঝতে পারি না, শুধুমাত্র নিউজ পেপার কিংবা বৈজ্ঞানিক আর্টিকেল এর মাধ্যমে সেগুলো আমরা জানতে পারি।
এছাড়াও আমাদের দৈহিক গঠন কিংবা আমাদের এই জীবন ডিএনএ এসব বিষয় নিয়েও কিন্তু এখনো কৌতূহলের সৃষ্টি শেষ হয়নি। কারণ আমাদের এই শরীরটাকে আমরা নিজের মনে করি না বরঞ্চ আত্মা কিংবা নিজের সোল আমরা নিজস্ব বলে মনে করি। আমাদের দৈহিক গঠনও এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেটা বড় বড় ইঞ্জিনিয়ার কিংবা বিজ্ঞানীরা ও দেখে অনেক অবাক হয়ে যান। সবকিছু এতটা পারফেক্ট কিভাবে হতে পারে? আবার শরীরের মধ্যে এমন কিছু অংশ রয়েছে যেগুলোতে একটু আর স্পর্শ লাগলে কিংবা হালকা ব্যাথা লাগলে সাথে সাথেই আমাদের জীবন বের হয়ে যাবে। এই বিষয়গুলো আমি সবসময় কল্পনা করার চেষ্টা করি এবং এই বিষয়গুলোর মধ্যে আমি এটাও বুঝতে পারি যে আমরা যে বেঁচে আছি এই বেঁচে থাকাই একটি বড় রহস্যময় বিষয়। আপনারা কি মনে করেন এই বিষয়টা অবশ্যই মন্তব্য জানাতে পারেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: বেঁচে থাকাই একটি রহস্য
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
অসাধারণ একটি আধ্যাত্মিক ভাবনার গল্প শেয়ার করেছেন ভাইয়া। সত্যিই আমাদের মহাবিশ্ব, জীবন এবং আত্মার রহস্যগুলো অসীম এবং কৌতূহল উদ্রেককারী। আপনার লেখা পড়ে মনে হলো যেন মহাবিশ্বের অজানা রহস্যের মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাহাহা, বেকার মানুষ আমি ভাই। তাই এ সব কিছু বসে বসে চিন্তা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মহাজাগতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে অসাধারণ একটি ব্লগ লিখেছে তুমি যা পড়ে সমৃদ্ধ হলাম। সত্যিই এখনো পর্যন্ত বহিঃ বিশ্বে কোন মানবজাতির খোঁজ পাওয়া যায়নি তবে কেন জানিনা আমি স্বপ্ন দেখি সেই খোঁজ দ্রুতই মিলবে। মানুষও যে বহির্বিশ্ব থেকে পৃথিবীতে পৌঁছায়নি এ কথা কে বলতে পারে। দেখা যাক ভবিষ্যতে বিজ্ঞান আর কি কি তথ্য আমাদের জন্য তুলে ধরে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক কিছু জানার বাকি আছে, সবে তো মাত্র শুরু। আর আমি তো বেকার মানুষ তাই এসব কিছু মাথায় চিন্তা আসে। হাহাহাহা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই ব্যাপার গুলো নিয়ে ভাবতে গেলে কোন কূল কিনারা খুজে পাওয়া যায় না। আমাদের গ্যালাক্সিতেই সূর্যের মতো অগণিত নক্ষত্র রয়েছে। তাহলে ভাবতেই কেমন লাগছে আমাদের অস্তিত্ব টা কোথায়। আর মানুষের আত্মা এই ব্যাপারে গেলে তো অন্য আরেক পথে যেতে হবে। দারুণ লাগল আপনার লেখা টা ভাই। চমৎকার লিখেছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit