আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটি ভৌতিক ঘটনা (১ম পর্ব)

💖ভৌতিক ঘটনা💖

Source

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি ভৌতিক ঘটনা শেয়ার করব যেটা আমার সাথে ঘটেছে, জানিনা এটার ব্যাখ্যা আমি কতটুকু দিতে পারব! তবে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করব। আজ পর্যন্ত অনেকগুলো ভৌতিক ঘটনা শেয়ার করার চেষ্টা করেছি, তবে মনে পড়ছে না ঠিক এই ঘটনাটি শেয়ার করেছিলাম কিনা। তবে আমার যতদূর মনে পড়ছে এই ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করিনি। তাই এই ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম।

ঘটনা শুরু করার আগে কিছু কথা বলে রাখা ভালো। ছোটবেলা থেকেই আমার বিভিন্ন সমস্যা ছিল এবং আমি মূলত এই জ্বীন জাতিকে বিশ্বাস করি। তারা মানুষের রূপে এসে মাঝে মাঝে মানুষকে ভয় দেখায় কিন্তু তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারে না এতটুকু আমি জানি।

আমরা ব্যাচেলর মানুষ বাসা খুঁজে পাওয়া কতটা মুশকিলের আমরা সকলেই জানি। তখন সবেমাত্র বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এর এডমিশন নিয়ে ছিলাম যদিও পরবর্তীতে সেখান থেকে ভর্তি ক্যান্সেল করে বর্তমানে ঢাকায় পড়াশোনা করছি। যাই হোক তখন ভর্তি হওয়ার পরে সেখানে অনেক খুজেও কোন বাসা পেলাম না। পরবর্তীতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে একটি বাসা পেয়েছি তবে বাসাটি এখনো পুরোপুরি কমপ্লিট হয়নি। শুধুমাত্র দুই তলায় বাসা মালিকরা থাকে এবং অষ্টম তলায় একটি ফ্ল্যাট কমপ্লিট করা ছিল। কিন্তু কোনোভাবেই তারা ব্যাচেলর ভাড়া দিবে না তারপরও অনেক কাকুতি-মিনতি করে ভাড়া নিয়েছিলাম।

Source

সেই বিল্ডিংয়ে শুধুমাত্র একটি মাত্র পরিবার ছিল, যারা বাসার মালিক শুধুমাত্র তারাই। একদম অষ্টম তলায় আমরা ছিলাম এবং মাঝখানের যতগুলো ফ্লাট ছিল সেগুলো এখনও কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে অর্থাৎ এখনো ফ্লাটগুলোর রেডি হয়নি, তাই অনেক নির্জন ছিল বাসাটা।

আমরা মূলত চার জন মিলে সেই ফ্লাটটি নিয়েছিলাম। দুটি বেড রুম ছিল একটি কমন রুম ছিল। এছাড়াও আনুষঙ্গিক কিচেন এবং বাথরুম ছিল। তারপরে তেমন কোনো সমস্যাই হয়নি, ছয় সাত মাস অতিবাহিত করলাম। কিন্তু একসময় দেখা গেল পুজোর সময় সবার বাসায় যেতে চাইলো। কিন্তু পুজোর পরেই আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। তাই আমি ভাবলাম এই পুজোতে বাসায় না গিয়ে যেখানে বসে একটু পড়াশোনা করি। সেখান থেকে আমার বাসা প্রায় ৪০০ কিমি।

যাইহোক ছোটবেলা থেকে কিন্তু আমার একটু সমস্যা ছিল। আমি একা ঘুমাতে পারতাম না যদিও বড় হওয়ার পরে এই সমস্যাটা দেখা যায়নি। আমিও বিষটি ভুলে গিয়েছিলাম। এক এক করে সবাই পুজোর ছুটিতে বাসায় চলে গেল। এমন এক সময়ে দেখা গেল ফ্ল্যাটের শুধুমাত্র আমি একা। পরবর্তীতে আর আমার কেন জানি একটু আতঙ্কের একদিন কাটা শুরু করলাম। পূজার ছুটি ৫-৬ দিনের মত ছিল। কিন্তু প্রথম দিন টা কাটানোর পরে বুঝতে পারলাম যে আসলেই বিষয়টি অনেকটাই মারাত্মক এর দিকে চলে যাচ্ছে।

পরবর্তী দিনে বাসার দারোয়ান এর সাথে কথা হয়েছিল, তখন সে বলেছিল এই বিল্ডিং হওয়ার সময় দু'জন মানুষ মারা গিয়েছে। এখান থেকে আরও একটি আতংক মাথার মধ্যে ঢুকে যায়। আমি বুঝতে পারছিলাম না একা একাই কিভাবে ফ্লাটের মধ্যে থাকবো এবং কোন সমস্যা হলে সাহায্য করার মত কেউ ছিলনা আশেপাশে। কারণ আমি একাই অষ্টম তলায় ছিলাম এবং নিচের বাকি ফ্লাট গুলো এখনো তৈরি হয়ে ওঠেনি।

Source

সারা দিন কাটানোর পরে এই কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যখন রাত গড়াতে লাগল কত মনের মধ্যে একটা অদ্ভুত আতঙ্ক কাজ করতে থাকলো। জানিনা সেটা আমার মনের ভুল ছিলো নাকি সত্যি সেসব ঘটেছিল যে সব আমি দেখেছিলাম!!!

যেহেতু সেই ফ্লাটে আমরা চারজনে ছিলাম এবং নিজেরা রান্নাবান্না করে খেতাম। তাই রাতের রান্না বসিয়ে আমি চিন্তা করতে থাকলাম। এরই মধ্যে অদ্ভুত কিছু শব্দ শুনতে পেলাম, সেসব বিষয়ে ইগনোর করে রাতের খাওয়া খেয়ে আমি ল্যাপটপে কাজ করতে বসলাম।

সবকিছু ঠিকঠাক যাচ্ছিল এরই মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেল, আতঙ্ক যেন আমার মনের মধ্যে বাসা বাঁধতে লাগলো, এর পরেই ঘটল আসল ঘটনা.

চলবে..........

VOTE @bangla.witness as witness

SET @rme as your proxy

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power


250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

|| Join the Discord Server for more Details ||

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif

বিষয়: আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটি ভৌতিক ঘটনা (১ম পর্ব)

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......

ভাইয়া আপনার মতো আমিও ছোটবেলা থেকেই জ্বীন জাতিকে বিশ্বাস করি। কারণ যখন আমি হাইস্কুলে পড়তাম, তখন একটা ঘটনা ঘটেছিল আমার সাথে একদিন সন্ধ্যায়। যেখানে আমরা প্রতিদিন ক্রিকেট খেলতাম সেই মাঠে। পরবর্তীতে হুজুরের কাছ থেকে তাবিজ নিয়ে সেই সমস্যার অনেকটা সমাধান হয়েছে। আর আপনি অষ্টম তলায় একা ছিলেন এবং একা থাকলে মনের মধ্যে অনেক ধরনের আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে কি হলো সেটা জানার আগ্রহ বেড়ে গেল। যাইহোক পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

Sort Order:

Trending

[-]

mohinahmed (75) · 2 years ago

$0.00

alsarzilsiam (80) · 2 years ago

আগামীকাল সম্পূর্ণ ঘটনা জানতে পারবেন, তবে এমনটা হলে নিজেকে অনেক অসহায় বলে মনে হয়।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া, এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সত্যিই অসহায় মনে হয়। আপনার মতো একই অবস্থায় আমিও একবার পড়েছিলাম, যখন দক্ষিণ কোরিয়াতে ছিলাম। আমার এক বন্ধু বাংলাদেশে ছুটিতে এসেছিল, আর আমি সম্পূর্ণ একা ছিলাম একটি বিল্ডিংয়ে কয়েকদিন। তখন মনের মধ্যে নানান ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। যাইহোক ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

গল্পটি শেয়ার করে আমাকে জানাইয়েন ভাই, এই গল্পগুলো পড়তে অনেক ভালো লাগে।

ঠিক আছে ভাইয়া, অবশ্যই শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।

monira999 (76) · 2 years ago

ভাইয়া আপনার কিন্তু সত্যিই অনেক সাহস। অষ্টম তলার ফ্ল্যাটে একা একা ছিলেন। মানতেই হয় আপনি অনেক সাহসী। তবে ভয় পাওয়াটাও কিন্তু সত্যিই স্বাভাবিক। এরপর কি হলো সেটা খুব শীঘ্রই জানতে চাই ভাইয়া। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

আরে না, কই আর সাহসী! পরের পর্ব শুনলেই বুঝবেন আমি কেমন সাহসী, হাহাহা।

tauhida (77) · 2 years ago

কি গল্প শোনালেন ভাইয়া আমিও তো অষ্টম তলায় থাকি এখন তো একা একা রুমে থাকলে আপনার এই গল্পর কথা মনে পড়বে আর এটা করে এখনই ভয় লাগছে। আর জিনের গল্প আমিও অনেক শুনেছি এবং জ্বীনে ধরেছে এরকম মানুষও অনেক দেখেছি। আমার তো ভয়ই লাগছে এখন।

ভয়ের তো এখন প্রযন্ত কিছু বলি নি আপু, আজ পোস্ট করবো পরের পর্ব। সে দিন নিজেকে অনেক অসহায় লাগছিলো।