নারী কিংবা পুরুষ দুজনের কিন্তু সমান অধিকার রয়েছে কিন্তু মাঝে মাঝে কেন যেন মনে হয় পুরুষের অধিকার দিন দিন আস্তে আস্তে কমে আসছে। এর অনেকগুলো কারণ আছে, এটি সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত মতামত। আপনি একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন বর্তমানে মেয়েরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটা আসলেই সমাজের জন্য খুবই দরকার কারণ কিছু কিছু নারীরা অনেক নির্যাতিত হয় এবং কিছু কিছু পুরুষ নারীদের হাতে নির্যাতিত হয়। এখন মজার বিষয় হচ্ছে, নারী নির্যাতন আমরা শুনতে পাই এবং নারী নির্যাতনের উপরে অনেক ধরনের আইন রয়েছে এবং সেগুলো কে খুব শক্তভাবে নেওয়া হয়। কিন্তু পুরুষ নির্যাতনের বিষয়গুলো সচরাচর সামনে আসে না এবং এর সঠিক বিচার পাওয়া যায় না।
প্রত্যেকটি পুরুষের জ্ঞান হওয়ার পর থেকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর একটি সুন্দর স্বপ্ন দেখে। সেই সুন্দর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সে দিন রাত পরিশ্রম করে। কিছু কিছু পুরুষ একটু অন্য ধরনের হয় আর কিছু কিছু পুরুষ একটু সেনসেটিভ হয়। কিছু কিছু পুরুষ নিজেদের সুখের জন্য কাজ করে আবার কিছু কিছু পুরুষ সময়ের সাথে সাথে নিজের পরিবারকে নিয়ে ভাবতে শুরু করে। যে পুরুষটিও সারাদিন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকত একসময় দায়িত্ব আর কাঁধে এসে পরে। এই বিষয়গুলো একটি ছেলের ক্ষেত্রে পুরুষের ক্ষেত্রে একদম সাধারন একটি বিষয়। বিশেষ করে একটি ছেলে যখন কলেজ লাইফ শেষ করে ভার্সিটি লেভেলে পড়াশুনা করে তাদের মত কষ্টে জীবন যাপন অন্য কেউ করে বলে আমি মনে করি না। কারণ তাদের মাথায় অনেক ধরনের চাপ থাকে। তারা কখনো সেটি প্রকাশ করতে চায় না। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর একটি চাপ, নিজের বাবা-মাকে সাপোর্ট দেওয়ার একটি চাপ, নিজের প্রিয় তোমাকে দেওয়া কথা গুলো রাখার একটি চাপ, দিন শেষে সবার কাছেই কেন যেন ছোট হয়ে যায়।
শুধুমাত্র মুখ ফুটে কিছু বলতে না পারার একটি বিশেষ কষ্ট তার মধ্যে থেকেই যায়। একটি পুরুষ হয়ে জন্মানোর জন্য সহজ কোনো বিষয় নয় বরং একটি পুরুষ সবসময় সব দিক বিবেচনা করে চলতে হয়। বিশেষ করে যখন একটি শিক্ষিত পুরুষ ভার্সিটিতে পড়াশোনা করে আপনি দেখবেন সেই পুরুষের মধ্যে একটি বেশিরভাগ বিষয় কাজ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিবারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেওয়ার একটি প্রবণতা কাজ করে। কারণ সে জানে কত কষ্ট করে তার মা-বাবা তাকে পড়াশোনা করিছেন। এই বয়সে এসেও যদি একটি ছেলেকে তার বাবা-মাকে চালাতে হয় এর চেয়ে বড় কষ্ট আর কিছু হতে পারে না। ছেলের পকেট খরচের জন্য যখন বাবা-মার কাছে হাত পাততে হয় সে বিষয়টা অনেক ছেলেরাই অনেক লজ্জিত হয়, কষ্টে বুকটা ফেটে গেল তারা কিছু বলতে পারেনা।
যে যাই বলুক না কেন আমি যেটা দেখেছি সেটাই বলছি। আমার বন্ধু অনেক দুষ্ট ছিল। আমি ভাবতাম তারা হয়তো লাইভ নিয়ে সিরিয়াস না কিন্তু এখন তারা নিজের পরিবারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে, যা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি। আসলে পুরুষেরা দিনশেষে পরিবর্তন হয়ে যায় কেন জানি তার নিজের পরিবারকে নিয়ে অনেক চিন্তা করে। তার বাবা-মার কষ্ট তারা দেখতে পারেনা কিন্তু জানিনা কেন বিয়ের পরে পুরুষেরা আবার পরিবর্তন হয়ে যায়। নিজের অজান্তে বাবা মা কে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলে। যে পরিবারে নিজের বউ থাকবে নিজের বাবা-মা থাকবে এবং একটি সুখী সংসার হবে এমন একটি স্বপ্ন দেখে বিশ্বের প্রত্যেকটা পুরুষ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: পুরুষের আর্তনাদ
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.........
পুরুষ নির্যাতন এটা সত্যিই একটা বড় বিষয়। নারী নির্যাতনের বিষয়টি সমাজের দৃশ্যমান হলেও পুরুষ নির্যাতনের বিষয়টি সমাজে সত্যিই অদৃশ্য।
তাছাড়াও নারী যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে আমাদের কোন সমস্যা নাই অর্থাৎ পুরুষদের। তবে অবশ্যই একে অপরকে সম্মান করে চলতে পারলে আমরা পৃথিবীতে সবাই অবশ্যই সঠিক ভাবে মর্যাদা পেতে পারবে।
পুরুষের উচিত নারীকে যথাযথ মা অথবা বোনের জাতি হিসেবে দেখায় এবং নারীর উচিত হবে অবশ্যই পুরুষ জাতিকে বাবা এবং ভাই এর চোখে দেখা। একে অপরের পরিপূরক হয়ে চলতে পারলেই তবে সার্থকতা এবং সফলতা।
পুরুষের আর্তনাদ টপিকটা অসাধারণ ছিল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ক্লিয়ার ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুরুষ মানে মুখে হাসি বুকে বল,
পুরুষ মানে সুখে রাখার একটি দল।
পুরুষ মানে মাঝে মাঝে গোপন ব্যথা,
পুরুষ মানে নয় যথা তথা।
আমরা পুরুষ,আমরা জানি পুরুষ মানি কি,
সবাইকে সুখে রাখার আর্তনাদই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসাধারন ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit