হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি কক্সবাজার ভ্রমণের শেষ পর্ব আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। গত কয়েকটি পর্বে আমি বিশ্লেষণ করেছি কিভাবে আমরা সকল বন্ধুরা মিলে একসাথে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলাম এখানে কিভাবে সময় অতিবাহিত করেছিলাম সে সব বিষয়ে আলোচনা করে নিয়েছি। আজকে শেষের দিনের বিষয়বস্তুগুলো নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করে নিবো, তবে চলুন শুরু করা যাক।
যেদিন আমরা চলে আসবো ঠিক তার আগের দিনে রাতের বেলা আমরা বন্ধুরা মিলে সবাই অনেক ইনজয় করেছিলাম। এনজয় বলতে আমাদের হোটেলের নিচেই অনেক নামিদামি শিল্পীরা এসেছিল এবং তারা একে একে অনেক ফেমাস গানগুলো গাইতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে সেই জায়গাতে অনেক বেশি অডিয়েন্স ডেভলপ হয়ে যায় এবং সকলেই মিলে একটি চমৎকার আনন্দঘন মুহূর্ত আমরা উপভোগ করি। একপর্যায়ে আমাদের বন্ধুরা অনেকেই শিল্পীর কাছে গান রিকোয়েস্ট করেছিল। একে একে সেই শিল্পী সবগুলো গান গাওয়ার চেষ্টা করেছেন। আসলে এই ধরনের শিল্পী গুলোর বর্তমানে আমরা খুব বেশি একটা মূল্যায়ন করি না। তবে তারা অনেক কষ্ট করে এবং প্রতিনিয়তই বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। যেমনটা একই সাথে হিন্দি গান গাইছে, ইংরেজি গান গাইছে এবং বাংলা গান তো রয়েছেই।
সব মিলিয়ে রাত দশটা পর্যন্ত আমরা সেখানে অনেক ভালো এনজয় করেছিলাম। এরপরে লেগেছিল খুদা। আমরা সকলেই ভেবেছিলাম সেদিন রাতের বেলা সেই কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী কিছু খাবার আমরা খাব। ঠিক তেমনিভাবে রেস্টুরেন্ট থেকে সে সকল খাবার গুলো অর্ডার করি তার মধ্যে ছিল সামুদ্রিক মাছ এবং বিভিন্ন ধরনের ঝাল ফ্রাই। সব খাবার অর্ডার দেওয়ার পরে আমরা দেখি কিছুক্ষণ আবারও গান উপভোগ করতে পারলাম। যেহেতু সেই হোটেলেই আমরা থাকি তাই আমরা ভেবেছিলাম সেই রুমে বসে আমরা খাবার গ্রহণ করব। কারণ বাহিরে প্রচন্ড ভিড় ছিল সেই ভিড়ের অবস্থায় খাবার খাওয়াটা মোটেও সুবিধাজনক অবস্থার মত ছিলো না তাই আমরা সকলেই আমাদের রুম থেকেই উপভোগ করতে করতে রাতের ডিনার শেষ করে ফেলি।
রাত বাজে তখন আনুমানিক এগারোটা শিল্পীরাও তাদের গানের অনুষ্ঠান শেষ করে ফেলেছেন। আমরাও ডিনার করে ফেলেছি। যেহেতু সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই আমরা কক্সবাজার ত্যাগ করব তাই আমরা চিন্তা ভাবনা করছিলাম একটু সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে আমরা কিছুক্ষণ বসে থাকি, সমুদ্রের গর্জন উপভোগ করি। তখন হয়তো আমাদের আশেপাশে অন্য কেউ ছিল না। আমরা হোটেল থেকে বের হয়ে সমুদ্র সৈকতের কাছে যেতে থাকলাম। আমাদের হোটেল থেকে সুন্দর সৈকত যেতে সর্বোচ্চ এক মিনিট সময় লাগে এবং আমাদের রুম থেকেই সমুদ্র সৈকত দেখা যেত। সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার পরে মনে হচ্ছিল এই সমুদ্র টাই আমাদের। কারণ আশেপাশে আর তেমন কেউ ছিল না। যেহেতু শীতের রাত বলে কথা, শীতল বাতাসটাও আমরা অনেক বেশি উপভোগ করেছি। সব মিলিয়ে সেখানে বন্ধুদের মধ্যে অনেক দৌড়াদৌড়ি এবং বিভিন্ন ধরনের খেলাও খেলেছি, সবমিলে সেখানে ঘন্টা দুয়েকের মত ছিলাম সেখানে।
রাত্রি আনুমানিক একটা তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আর বেশি বাহিরে থাকা যাবে না। পরবর্তীতে আমরা হোটেল রুমে এসে নিজ নিজ জায়গা অনুযায়ী শুয়ে পড়লাম। সকালবেলা উঠে আবার আমরা গাড়ি ঠিক করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এই ছিল আমাদের কক্সবাজার ভ্রমণের সম্পূর্ণ তথ্য। আপনারা যদি এই সময় কক্সবাজার যেতে চান আমি মনে করি এটা একটা সুবর্ণ সুযোগ। কারণ এই সময়ে খুব বেশি একটা ভিড় থাকে না এবং আপনি নিজের মতো করে সমুদ্রকে এক্সপ্লোর করতে পারবেন। সেই সাথে আপনি অনেক ভালোভাবে ঘুরতেও পারবেন। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনার সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: কক্সবাজার ভ্রমণ (শেষ পর্ব)
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
শিল্পীদের কাছে কোনো গানের রিকোয়েস্ট করলে, যদি শিল্পীরা সেই গানটি গায়,তখন নিজের কাছেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক রাতের বেলা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। আগের পর্ব গুলোর মতো এই পর্বটা পড়েও ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। এতো চমৎকার একটি ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit