পরনির্ভরশীলতা দাসত্বের মত

in hive-129948 •  6 months ago 

self-confidence-2121159_1280.jpg
কপিরাইট ফটো সোর্স পিক্সাবে

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। একটা মানুষের জন্য আত্মনির্ভরশীলতা খুবই জরুরী। মানুষ অনেক সময় পরনির্ভরশীল হয়ে থাকে। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ পরিশ্রম করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে বাঁচতে চায় না। তারা পরিশ্রমকে ভয় পায়। তারা শুয়ে বসে থেকে নিজেকে সুখী হিসেবে দেখতে চায়। এই মানুষ আমাদের সমাজে নেহাতে কম নয়। আপনি খুঁজলেই এরকম মানুষ অসংখ্য দেখতে পাবেন, যারা পরনির্ভরশীল হয়ে বেঁচে আছে।

আমাদের মধ্যে অনেক যুবক আছে যে তার বয়স হয়তো ২৫-২৬ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সে তার পিতার ওপর নির্ভর করে তার জীবন পরিচালনা করছে। এমনও দেখা যায় আমাদের সমাজে যে বৃদ্ধ পিতা অনেক কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছে। কিন্তু যুবক ছেলে চাকরি না পাওয়ার অজুহাতে বেকার বাড়িতে বসে এটা বলছে যে আমি কোন কাজ পাচ্ছি না যার কারণে কাজ করতে পারছে না। কিন্তু তার বাবা দিনরাত ২৪ ঘন্টা অনেক কষ্ট করে সংসার পরিচালনা করছে।

অনেক সময় দেখা যায় আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা নেতাদের পিছনে ঘুরে বেড়ায়। তারা তাকে কিছু টাকা সাহায্যও সহযোগিতা হয়তো করে সারা দিন তাদের পিছনে চামচামি করে বেড়ায়। তারা কাজ করতে পছন্দ করে না. তারা এইভাবে তাদের জীবনকে অন্যের পিছনে পিছনে ঘুরে কাটাতে পছন্দ করে। এটাও একটি পরনির্বশীলতা লক্ষণ। এই ধরনের লোক আমাদের সমাজে অসংখ্য দেখতে পাবেন।

তাই আমাদের অন্যর উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজে কিছু করার চেষ্টা করা। আমাদের মধ্যে যারা যুবক আছে তাদের বসে না থেকে যে কোন কাজে লেগে থাকা উচিত সেটা ছোট বড় যে কোন কাজে হোক না কেন। আত্মনির্ভরশীল মানুষ সবসময়ই সবার থেকে সম্মানিত হয়। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য মন মানসিকতা তৈরি করতে হবে এবং পরিশ্রমে মনোযোগী হতে হবে। সবাই ভাল থাকবেন।

ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আত্মনির্ভশীল হয়ে জীবন যাপন করা আসলেই একটা গ্রেট ব্লেসিং। অনেকেই এটা থেকে বঞ্চিত। কখনো কখনো নিজের দোষে, কখনো কখনো পরিবেশের চাপে!!

যাহোক। গুরত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। এটা আমাদের অনেকের জন্যেই একটা রিমাইন্ডার হিসাবে কাজ করবে বলে আশা রাখি।


ক্ষুদে স্বাস্থ্যবার্তা
ডায়াবেটিস আক্রান্ত একজন রুগীর বিভিন্ন রকম জটিলতা হওয়ার ঝুকি ডায়াবেটিস নাই এরকম এক ব্যক্তির তুলনায় অনেকগুন বেশী। কি রকমের ঝুকির মধ্যে আছেন একজন ডায়াবেটিস রুগী? আসুন জেনে নেইঃ

স্বাভাবিক একজন মানুষের তুলনায় একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রুগীর-

⚠️অন্ধ হওয়ার ঝুকি ২৫ গুন বেশী

⚠️পা কেটে ফেলার ঝুকি ২০ গুন বেশী

⚠️ব্রেন স্ট্রোকের ঝুকি ৬ গুন বেশী

⚠️কিডনি বিকল হওয়ার ঝুকি ৫ গুন বেশী

⚠️হার্ট এটাকের ঝুকি ২-৩ গুন বেশী

✔️ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়া কোন উপায় নাই!!

হ্যাঁ বিশেষ করে আমাদের দেশে এরকম যুবক অনেক আছে যারা চাকরি না পাওয়ার অযুহাত দেখিয়ে বাবার ঘাড়ে বসে খায়। আসলে শুধু যে চাকরি করতে হবে এমন তো কোন বাধ্যবাধকতা নেই। অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজে থেকে ছোট কিছু করা‌ বেশি ভালো।

যারা শুয়ে বসে থেকে নিজেকে সুখী দেখতে চায়, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের মোটেই মানুষ মনে করি না। তবে হ্যাঁ, এই কথা সত্যি যে এই রকমের মানুষ আমাদের সমাজে অনেক আছে। তাছাড়া আমাদের সমাজে এখনো অনেক ছেলেপেলে আছে যাদের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে ইনকাম করার, তারপরও তারা বাবার উপর নির্ভরশীল। তাছাড়া যারা লোকের পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়ায়, আমি মনে করি তাদের কখনোই উন্নতি হয় না।