গল্পের প্রথম অংশ...............
আজকে নিজেকে কিছু বলতে ইচ্ছে করছে , নিজেকে পরামর্শ দিতে ইচ্ছে করছে , নিজের সাথে একটু গল্প করতে ইচ্ছে হচ্ছে ভীষণ...... "মানুষ সবসময় যা চায়, যা তার প্রিয় তা সে পায় না, এটাই নিয়ম। নানা কারণে এই না পাওয়া টা হতে পারে। হয়তো দুইপক্ষ সমান ভাবে চায় না নাহয় যা চাওয়া হয় তা আমাদের জন্য ভালো না। কিন্তু এমন কেনো হয়? ঠিক যখন ই আমাদের খুব বেশি দরকার পড়ে আমাদের প্রিয় মানুষটাকে বা প্রিয় কোনো জিনিসকে তখন আর তা থাকে না। আমরা হাজার চেয়েও আর তা পাই না। হয় তারা চলে যায় নাহয় আমরা ছেড়ে আসি। এত অদ্ভুত কেনো ব্যাপারটা আমার জানা নেই সত্যি। যখনই খুব ইচ্ছা হবে প্রিয় মানুষটাকে জড়িয়ে ধরে একটু কাদতে তখনই তার হাজারটা ব্যাস্ততা, অজুহাত, চলে যাওয়ার বাহানা, দূরে হারিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। খুব করে আমরা যাদের বা যেইসব আগলে রাখতে চাই ওরাই আগেভাগে ছেড়ে যায়। তার মানে কি আমাদের প্রিয় ব্যাপারগুলো আমাদের জন্য ঠিকঠাক না, ভালো না? আজকে কোনো প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। মনে হচ্ছে বুকের উপর কেউ অনেক বিশাল আর ভারী কিছু ফেলে রেখেছে। নিঃশ্বাস ফেলতে কষ্ট হচ্ছে ভারী। ভীষণ একলা লাগছে চারপাশটায়। কেনো জানি মনে হচ্ছে আর কিছুই নিতে পারছি না, আর কিছুই সহ্য হচ্ছে না। কেনো হয় এমন? কেনো ছেড়ে যায় প্রিয় মানুষ, প্রিয় জিনিস?? আজকে কাব্যিক ভাষা আসছে না, মুখ চেপে কাদঁছি খুব.....কোথাও কোনো আওয়াজ পাচ্ছে না কেউ। আজকে কবিদের মত বাক্য সাজাতে পারছি না, ভেতরটা চেপে আসছে, খুব বেশি খারাপ লাগছে।
কেনো আমাদের প্রিয় ব্যাপারগুলো আমাদের বুঝতে পারে না? কেনো আমাদের ছোটখাটো ভুলগুলো মেনে নিতে পারে না? শুকনা মুখ, ডেবে যাওয়া কালি পড়া চোখ, খুঁতখুঁতে....এরকম একটা মানুষকে আপনি মন থেকে ভালোবাসতেই পারেন। সে কেনো আপনাকে ভালোবাসতে পারে না? তার কেনো ফরসা গায়ের রং, ছিমছাম স্বাস্থ্য, হাজারটা গুনে ভরপুর একটা মানুষ লাগবে ভালোবাসতে?কেনো? আপনি জানেন তার কিচ্ছু নেই, আপনার কোনো চাওয়া পূরণ করার সাধ্য তার নেই, আপনার পছন্দের কিছু এনে দেয়ার সাধ্য তার নেই.... তারপরেও আপনি তাকে নিজের সবটা দিয়ে ভালোবাসতেই পারেন। সে কেনো নিজের চাহিদায় একটু কমতি পড়লে আপনার সাথে খারাপ ব্যাবহার করবে? সে কেনো তখন আপনাকে না বুঝে নিজেরটা নিয়েই পড়ে থাকবে???
দুনিয়াতে কেনো এই মায়া আর ভালোবাসার নাম এসেছিল আর কেনই বা মানুষ এইসবে জড়াতে গিয়েছিল আমার জানার নেই। এসবের মত জঘন্য ব্যাপার আর একটাও হয় না। না আপনি কাদতে পারবেন না পারবেন হাসতে....মাঝামাঝি একটা জায়গায় আপনাকে থেমে থাকতে হবে, যা হবে চুপচাপ দেখে যেতে হবে, যাই হবে চুপচাপ মেনে নিতে হবে.....কি অদ্ভুত!
প্রিয় ব্যাপারটাই ভীষণ রকমের জঘন্য। আপনি চাইলেও ছেড়ে আসতে পারেন না আবার থাকতেও পারেন না। আপনি চাইলেই মুখ খুলে সব বলতে পারেন না আবার ভেতরে চেপে রেখে কষ্ট টা সহ্যও করতে পারেন না। সবখানেই আপনাকে একটা মাঝামাঝি জায়গায় আটকে থাকতে হয় আর এই ব্যাপারটা ভারী বিরক্তিকর।
আমাদের উচিত জন্মের পর থেকে চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকে প্রিয় না বানানো। কাউকে বেশি ভালো না বাসা, কাউকেই নিজের চেয়ে বেশি গুরুত্ব না দেয়া, কাউকেই বুঝতে না দেয়া যে তাকে ছাড়া আমাদের চলা টা খুব কঠিন, কাউকেই একদম নিজের করে না রাখা। এতে শুধু কষ্ট পাওয়া লাগে, দিনশেষে বুকের উপর পাথর চাপার মত ব্যাথা অনুভব করা লাগে, মাঝরাতে মুখ চেপে কান্না করা লাগে আর সারাদিন সবার সামনে নিজেকে পাথর বানিয়ে ভেতরে চলতে থাকা ঝড়টাকে দমিয়ে রাখা লাগে। যত সহজে বলে ফেলছি ততটা সহজ না। যখন এরকম আপনার ভেতরে অনুভূতি হবে তখন আপনার খুব ইচ্ছে হবে মরে যেতে, সব ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যেতে, ভেতরকার সব কষ্ট আফিমের সাথে গুলিয়ে খেয়ে নিতে। কিন্তু এর একটা কিচ্ছু আপনাকে দিয়ে হবে না, আপনি চাইলেও পারবেন না।
চলবে ...................
আপনার মধ্যে গল্পঃ লেখার দারুন প্রতিভা রয়েছে।গল্পটি খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি।
আসলে এগুলো জঘন্য নয়, আমরা এটাকে জঘন্য বানিয়ে ফেলি।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখা গল্পটি পরে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মায়া এমন একটা জিনিস আপনি তাকে বেধে রাখলে কষ্ট পাবেন।আর ছেড়ে দিলে আকাসে উরবেন।অনেক ভাল গ্লপ লিখেছেন শুভ কামনা আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখা গল্পটি পরে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit