কক্সবাজার ভ্রমণ (পার্ট-১)

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

নমস্কার,

বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সকলে ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমি ভালোই আছি।

আজ আমি আমার কক্সবাজার ভ্রমণের শুরুটা নিয়ে লিখতে যাচ্ছি।

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথমে আমরা অফিস কলিগরা আবারও কক্সবাজার ট্যুর এ যাই। আসলে প্লান টা ছিলো পুরোটাই আমার।

অফিসে কাজ এর চাপে অনেক বেশি একঘেয়েমি লাগছিলো। সব কিছুই বিরক্তিকর লাগা শুরু করে আমার যখন ট্যুর এর সময় হয়ে যায়। নিজের ইচ্ছেটা পূরণ করার জন্যই মুলত এই ট্যুর।

মূল কথায় আসি, হঠাৎ একদিন মাথায় আসলো স্যারকে বলবো। পরে আমিনুল হক স্যারকে সংগে নিয়ে এস.এম. আশরাফুল ইসলাম স্যারকে আমাদের প্লানটা জানালাম। পরে তিনি বললেন যে ঠিক আছে দেখি কি করা যায়। এর মধ্যে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে আমাদের ট্যুর প্ল্যানটা সাজিয়ে নিলাম। এস.এম. আশরাফুল ইসলাম স্যার আমাদের গ্রুপ এর এইচ. আর. ডিপার্টমেন্ট এর ২য় প্রধান। বলার ঠিক ২ দিন পর স্যার আমাকে দেকে জানালেন যে কবে জেতে চান আপনারা। আমি বললাম আপনি পারমিশন দিলে পরের বুধবার রাত এ যাবো। পরে উনি পারমিশন দিয়ে দিলেন সংগে অফিস এর গাড়িও। উনাকে আমাদের সংগে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রন জানালাম এবং ধন্যবাদ দিলাম।

আমরা সবাই সকল প্রস্তুতি শেষ করে নিলাম। কোথায় যাব, কিভাবে যাবো সকল প্লান করা শেষ।

এইবার সেই কাঙ্খিত দিন চলে আসলো। বুধবার রাত ঠিক সাড়ে দশটায় লুৎফর ভাইকে নিয়ে গাড়ি আমার বাসার সামনে চলে আসলো। পরে এখানে আমরা ৩ জন চা খেয়ে রওনা দিলাম মোহাম্মদপুরের নিবাসি সিরাজ স্যার এর বাসার উদ্দেশ্যে। উনাকে নিয়ে আমরা প্রভাত দাদা যে উঠালাম মুগ্ধা থেকে। তারপর আমরা আমিনুল স্যারকে চট্রগ্রাম রোড থেকে পিক করে রওনা দিয়ে দিলাম কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে।

আমরা মোট ৬ জন ছিলাম। আমি, লুতফর ভাই, প্রভাত দাদা, আমিনুল স্যার, সিরাজ স্যার এবং হাফিজ ভাই। হাফিজ ভাই আমাদের গাড়ির চালকের সিট এর একমাত্র অধিপতি।

আসলে হাফিজ ভাই অনেক ভালো মনের একজন মানুষ। আমি যেখানে যাই উনাকে সংগে নিয়েই যাই। অনেক দক্ষ একজন গাড়ি চালক। এবং আমাদের গ্রুপ এর সব চেয়ে সিনিয়র ড্রাইভার তিনি। উনাকে নিয়ে আমি মোটামুটি পুরো বাংলাদেশ ঘুরেছি। যাক উনার কথা আসলে যতই বলবো ততই বলা যাবে।
অনেক দক্ষতার সংগে উনি আমাদের নিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার।

ঢাকা চট্রগ্রাম হাইওয়ে, হিমছড়ি পাহার এবং পাটুয়ারটেক বিচ

গাড়ি চলছে হাফিজ ভাই এর মনের মতো করে। সবাই মিলে অনেক মজা করছিলাম গাড়িতে। হঠাৎ পিছনে তাকিয়ে দেখি প্রভাত দাদা ঘুমায় গেছে পরে হাফিজ ভাই কে ইসারা দেয়া মাত্র সে গাড়ি টা একটু ঝাকি খাওয়ালেই সে উঠে গেলো। এর মধ্যে সবারই ক্ষুধা লেগে গেছে। কিন্তু আশেপাশে কোন ভালো হোটেল ছিল না। হাফিজ ভাই গাড়ি চালাচ্ছে আপন গতিতে। রাস্তাই এতো পরিমান কুয়াশা ছিলো যে একটু সামনে কি আছে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু আমাদের গাড়ির গতি কমছে না। ক্রমাগত গাড়ির গতি বেড়েই চলেছে। ১১০-১২০ কিলোমিটার বেগে ছুটছে আমাদের গাড়ি। অনেক ভালই লাগছিলো। পরে সামনে একটা নরমাল হোটেল এ দাড়িয়ে আমারা হালকা কিছু খেয়ে নিলাম। এভাবে আমরা সকাল ৮ টা থেকে ৮.৩০ এর মধ্যে কক্সবাজার পৌছে যাই।

হোটেলে আগে থেকে বুকিং দেয়া ছিলো। আমরা সকলে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে বেরিয়ে পরলাম।

প্রথমে হিমছড়ি পাহাড় তারপর ইনানী বিচ ও পাটুয়ারটেক বিচ ঘুরে আসলাম। এর মাঝে আর কিছু যাইগায় গিয়েছি সেগুলা পরের পর্বে দেখাবো।

হিমছড়ি পাহাড় থেকে সমুদ্র দেখতে কতটাই যে সুন্দর তা বলে বোঝাতে পারবো না। সে জন্য ছোট একটা ভিডিও এর মাধ্যমে এখনো চেষ্টা করলাম।

ঠিক পাটুয়ারটেক বিচ টাও তাই। প্রকৃতির নিজ রুপে সেজেছে। সেখানে না গেলে বোঝা যাবে না সেখানকার সৌন্দর্যতা। পুরো ভিউ টা ভিডিওতে দেখানোর চেষ্টা করেছি।

অনেক মজা করলাম সবাই এক সংগে। সন্ধ্যা লাগার আগেই আমরা সেখান থেকে হোটেলে ফিরে আসি।

কক্সবাজার ট্যুর এর পরবর্তী পার্টগুলো নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি হাজির হবো আপনাদের সামনে।

সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।

বিষয়কক্সবাজার ভ্রমণ (পার্ট-১)।
ফটো ক্রেডিট@amitroy
ডিভাইসরেডমি নোট ৮প্রো
লোকেশনকক্সবাজার
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কক্সবাজার এমন একটা জায়গা যেখানে ভালো লাগার কোন কমতি নেই। বারবার যেতে ইচ্ছে করে। অফিসের সবাইকে ম্যানেজ করে খুব মজা করে ঘুরে এসেছেন বড়দা। ভিডিওটা চমৎকার লাগছিল দেখতে। শীতকালে হালকা কুয়াশায় মোড়ানো রাস্তায় লং জার্নি করতে মন্দ লাগে না। আর সমুদ্র পাড়ের সৌন্দর্য বরাবরের মতোই মনোমুগ্ধকর।

হ্যা একদম ঠিক বলছিস তুই। শীতের রাতে লং জার্নি অনেক ভালো লাগে। তারপর আবার সেই পছন্দের কক্সবাজার ভ্রমন। সব মিলিয়ে অনেক ভালো একটা সময় পার করেছি। ধন্যবাদ তোকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।