মানুষ সামাজিক জীব।আর সমাজ জীবনে চলার পথে বিভিন্ন মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। বিভিন্ন বয়সের ধাপে ধাপে আমরা আমাদের জীবনে বিভিন্ন পথে এগিয়ে চলতে থাকি।আর এই জীবনের নানান পথে এমন কিছু ব্যক্তিদের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয়ে থাকে যারা আমাদের মনে একটি ভালো জায়গা করে নিতে পারেন।আর এই ধরণের ব্যক্তিরা ভবিষ্যতে বন্ধু হয়ে দাঁড়ায়। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে নতুন নতুন সম্পর্ক আমাদের জীবনে এলেও একমাত্র বন্ধুত্ব শব্দটিই আমাদের জীবনে স্বমহিমায় ভাস্বর হয়ে থাকে। বন্ধুত্বের কোনো গণ্ডি নেই। বন্ধু সব বয়সে ও সবসময়ই গ্রহণীয়।বন্ধুই একমাত্র সম্পর্ক যা মানুষকে বিশ্বাস, আস্থা আর সাহস জোগায়। তবে বন্ধুত্বের ধরন, অবস্থা বর্তমানে বদলাচ্ছে। আগের মতো প্রতিদিনের চেনা জানা মানুষই শুধু বন্ধু নয়। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও অনেক বন্ধু হয়। বন্ধু বা বন্ধুত্ব কেবল স্কুল বা কলেজেই হবে বা হতে লাগবে বলে কোনো কথা নেই।স্কুল, কলেজ, কাজের জায়গাতে, অফিসে, দোকানের বাইরে, বাসে, বুড়ো বয়সেও বন্ধু হতে পারে।কেবল প্রয়োজন এমন এক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ পাওয়া যাকে আমি পছন্দ করবো এবং যে আমাকে সেভাবেই পছন্দ করবে।
বন্ধুরা সেই ব্যক্তি হয়ে থাকেন যাদের সাথে আমরা আমাদের মনের কথা বা ভাব প্রকাশ করতে পারি এবং একসাথে সময় কাটাতে পারি। বন্ধুত্বের বন্ধন বা সম্পর্ক কতটা শক্তিশালী সেটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে আপনার এবং আপনার বন্ধুর চিন্তাধারা এবং মনের ওপর। ভালো বন্ধু আজীবনের সম্পদ। অনেকেই সুইমিংপুলের পাশে থেকেও ময়লা ডোবায় গা-ভাসায়। প্রকৃত বন্ধু চিনতে ভুল করে। একটা ভুল সারাজীবনের কান্না। জীবনে ভালো আর মন্দ দু'ধরনের বন্ধু থাকে।অনেকেই বন্ধুত্বের মর্ম বুঝতে পারে না।তাই দাঁত থাকতে দাঁতের মর্মে বন্ধুত্বের সম্পর্কের মূল্যায়ন বুঝতে হবে।
"বন্ধুত্ব" হাত আর চোখের মতো। হাত ব্যাথা পেলে চোখ দিয়ে পানি ঝরে পড়ে। আবার চোখ দিয়ে পানি ঝরে পরলে,তখন সেই ব্যথায় ব্যথা লাগা হাতটি ও চোখের পানি মুছে দিতে ব্যস্ত হয়ে যায়। সুতরাং ব্যথা আর চোখের পানির সম্পর্ক যেমন ঘনিষ্ঠ, তেমনি বন্ধুত্বের বন্ধনও একই সুতাঁয় গাঁথা। কর্মব্যস্ত জীবনে বন্ধুরা ছড়িঁয়ে ছিটিয়ে থাকলেও তারা হৃদয় থেকে দূরে নয়। তাই সবার অন্তরজুড়ে থাকতে হবে ষোলআনা বাঁধন।
জীবনে বন্ধুর বিপদে এগিয়ে আসার মধ্যেই আসল সার্থকতা।প্রচলিত প্রবাদ আছে- “বিপদে বন্ধুর পরিচয়।” আসলেও তাই। একটাই কামনা পৃথিবীর সব বন্ধুরা যেন একে অন্যের আনন্দে- উৎসবে মেতে থাকুক। কাউকে যেন কোন বন্ধুর দ্বারা কোন কষ্টের কারণ হতে না হয়। আর একটা কথা জীবনের ক্লান্তিলগ্নে শুধু রক্তের সম্পর্কগুলো পাশে থাকলেও তার পাশে কিছু ভালো বন্ধুও থাকে। সেই ভালো বন্ধু যেন আমরা প্রতেকেই হতে পারি।
অনেক বন্ধু পথভ্রষ্ট হয়ে অন্ধকারে ডুবে হাবুডুবু খাচ্ছে, তাদের বাঁচাতে হবে। যেন তারা অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরে আসতে সক্ষম হয়।এ দায়িত্ব শুধু সরকার, বিশিষ্ট ব্যক্তি বা রক্তের সম্পর্কের ঘাড়ে চাপালে হবে না। ভালো বন্ধু হিসেবে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে।
পরিবারের কোনো সদস্য বিপথে, অন্ধকারে ধংসের দিকে হারাতে শুরু করার সময় যে লক্ষণগুলো প্রথমে দেখা যায় সেগুলো পরিবারের আগে অন্য কেউ সচারচার লক্ষ্য করতে পারে না।তবে কিছু কাছের প্রিয়বন্ধু বুঝতে পারে। জীবনে সুখ দুঃখের অনেক কথাই বন্ধুর সঙ্গে ভাগাভাগি করা হয়, যে কথাগুলো হয়তো পরিবারে কখনোই বলা হয়নি। আমি মনেকরি একজন প্রকৃত ভাল বন্ধুই হতে পারে জীবন পরিবর্তন করার জন্য যথেষ্ট। জীবনে শ্রেষ্ঠ বন্ধুর দাবি না করে একজন ভালো বন্ধু হওয়া প্রয়োজন। জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া হবে তখনই যখন কোনো বন্ধুর মানসিক দিকসহ সব ধরনের বিপদে-আপদে ছুটে এসে পাশে থাকতে পারবো।
আপনি অনেক সুন্দর করে একটা পোস্ট লিখেছেন আপনার পোস্ট থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একজন ভালো বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। ভালো বন্ধু আপনি কখনো ইচ্ছা করে খুঁজে নিতে পারবেন না। যদি সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য একজন ভালো বন্ধুর ব্যবস্থা করে না দেন। ভালো লিখেছেন। তবে চেষ্টা করবেন পোস্টটা আরও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে। যেকোনো ধরনের একটা সিম্বলিক ছবি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনাদের উৎসাহ ও উদ্দিপনাই আমাদের ভালো পোস্ট লিখার উৎসাহ যোগাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit