শাওয়াল মাসের ছয় রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত

in hive-129948 •  3 years ago 

মহান আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তারই ইবাদত করার জন্য। আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন পবিত্র আল-কুরআনে উল্লেখ করেন 'আমি জিন ও মানব জাতিকে একমাত্র আমারই ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি'।( সুরা জারিয়াত, আয়াত ৫৬) আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মানব জাতিকে অসংখ্য জ্ঞান দান করেছেন। যা দিয়ে মানব জাতি ভালো মন্দ বুঝে বেশি বেশি নেক আমলের মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালীন জীবনকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে পারে। ইবাদত মূলত দুই প্রকারঃ ১/ ফরজ ইবাদত;যেমন-নামাজ,রোজা,হজ্জ ও যাকাত ইত্যাদি ২/ নফল ইবাদত;নফল নামাজ, আল-কুরআন তেলওয়াত,দুরুদ পাঠ,দান-খয়রাত,নফল রোজা ইত্যাদি। মানব জাতি তখনই আল্লাহ তায়ালার কাছে সম্মানিত ও প্রিয় হবে যখনই তার প্রতিটা কাজই হবে একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে। সুখে-দুঃখে একমাত্র তারই ইবাদত করবে,তাকেই ভালোবাসবে।তারই নৈকট্য লাভের জন্য সর্বদা চেষ্টা করবে। ফরজ ইবাদত সম্পন্ন করার সঙ্গে সঙ্গে নফল ইবাদতে অধিক মনোযোগী হতে হবে।নফল ইবাদতগুলোর মধ্যে নফল রোজা বান্দাকে অতি সহজেই বান্দাকে আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্যে পৌঁছে দেয়।হাদিসে কুদসিতে বলা আছে, 'রোজা এমন একটি ইবাদত যা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবার ঢালস্বরূপ এবং এর প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নিজেই দিবেন।'রমজান মাস শেষ হবার পরেও যাতে বান্দা সিয়াম সাধনা অব্যহত রাখে সেজন্য প্রতি চন্দ্রমাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখের রোজা,আশুরার রোজা,৯ জিলহজ্জ মাসে আরাফাত দিনের রোজা, ঈদে মিলাদুন্নবীর রোজাসহ সকল রোজার বিধান দিয়েছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)। ফরজ নামাজের কমতিগুলোর জন্য যেমন নফল নামাজ, তেমনি ফরজ রোজার পরও শাওয়াল মাসের সুন্নত রোজা রয়েছে রমজান মাসের পূর্ণতা প্রদান করতে। শাওয়াল মাসের এই ছয়টি রোজার মাধ্যমে রমজান মাসের শুকরিয়া আদায় করা হয়। সুতরাং শাওয়াল মাসের এ ছয়টি রোজা রাখতে পারা রমজান মাসের রোজা কবুল হবার সুলক্ষণ ও বটে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজে এ রোজা রাখতেন এবং সাহাবা কিরামদেরকে রাখার নির্দেশ দিতেন। হজরত আবু আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত,রাসুল (সা.) বলেন, ' যে ব্যাক্তি রমজান মাসের রোজা রাখল, এরপর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখালো সে যেন সারা বছরই রোজা রাখলো।'(মুসলিম শরিফ) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসিনে কিরাম বলেন,রমজান মাসের ৩০ রোজার সাথে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা যোগ করলে মোট রোজা হবে ৩৬ টি।আর প্রতিটি রোজার জন্য আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল-কুরআনে ১০ গুন সওয়ার এর কথা উল্লেখ করেন। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন ' যে ব্যাক্তি একটি পূর্ণ কাজ করল,সে ১০গুন সওয়াব পাবে।' সুরা আনয়াম,আয়াত -১৬০। এ হিসাবে যে ব্যাক্তি রমজানে পুরো মাস রোজা রাখলো, সে ১০ মাস রোজা রাখার সওয়াব পাবে। আর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা -৬*১০=৬০ মানে দুই মাস। মোট বার মাস।অর্থাৎ সারা বছরই রোজা রাখার সওয়াব হবে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

nyce post

শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত সম্পর্কে আপনি খুবই সুন্দর তথ্য এবং তথ্যবহুল একটি আলোচনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত রমজানের শেষে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা পালন করার ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে উপস্থাপন করার জন্য

শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে অনেক শিক্ষানীয় একটা পোস্ট করেছেন। আপনার পোস্টটা পড়ে অনেক কিছুই শিখতে পারলাম ভাইয়া তবে আপনি যদি এই পোস্টটিতে কিছু ছবি ব্যবহার করতেন তাহলে মনে হয় পোস্টটি আরো বেশি কোয়ালিটি সম্পন্ন হতো। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রইল ।

ALHAMDURILLAH

ধর্ম ও রাজনীতি বিষয়ের উপর লেখা curation এর জন্য সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হবে । অতএব, এই সকল বিষয়ের উপরে লেখা এখানে শেয়ার না করাই শ্রেয় । তবে আপনি ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে অবশ্যই পোস্ট করতে পারবেন, কিন্তু religion affiliation সম্পর্কিত কোনো পোস্ট করলে সেটিকে mute করে দেয়া হবে ।

কমিউনিটির নিয়মাবলী তে লক্ষ করুন: https://steemit.com/hive-129948/@rme/last-updated-rules-of-amar-bangla-blog-community-29-sep-21