আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,প্রচন্ড গরমের মাঝে আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি। গত দুই দিন আগে আমি আপনাদের মাঝে হাসির গল্প দামাদামি চলছে,চলবে এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছিলাম।গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছিল।যার দরুন আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও সেই গল্পটির তৃতীয় ও শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,গল্পটির এই পর্বও আপনাদের ভালো লাগবে।
আজ সকালে বাসা থেকে বের হবার সময় দেখলাম আমার এক বন্ধুর সাথে আমাদের প্রতিবেশী বড় ভাই কথা বলছে। তাদের দেখে আমি কাছে গেলাম।তাদের সাথে চায়ের দোকানে বসে কিছুটা আড্ডা দিলাম।হঠাৎ কথার এক পর্যায়ে বড় ভাই বললেন,আজকাল খেয়াল করে দেখলাম,ছোটবেলার কোনো শিক্ষাই বৃথা যায় না।এজন্য আমাদের সবারই উচিত, ছোটবেলায়ই নানারকম শিক্ষা গ্রহণ করা।তাহলে আমি আজ যেভাবে উপকৃত হচ্ছি,সবাই সেভাবে উপকৃত হতে পারবে।
আমি বড় ভাইয়ের কথা শুনে বললাম,বুঝতে পেরেছি ভাই,আপনি নিশ্চয়ই ছোটবেলা নানা পদের শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন।তা এখন যে বললেন,আপনি উপকৃত হচ্ছেন,সেটা কোন শিক্ষার গুণে,একটু জানতে পারি? বড় ভাই আমার কথার প্রতি উত্তরে বললেন, অবশ্যই জানতে পারিস।না জানলে শিখবি কীভাবে?
এরপর বড় ভাই আবার বললেন,শোন! আমি ছোটবেলায় বুদ্ধি করে বিতর্ক প্রতিযোগীতায় নাম লিখিয়েছিলাম।বিতার্কিক হিসেবে একবার পুরষ্কারও পেয়েছিলাম।সে জিনিসটা এখন আমার কাজে লেগেছে।এরপর আমি বড় ভাই থেকে জানতে চাইলাম, কী ধরনের কাজে লাগছে?যদি একটু খুলে বলতেন ভাই, তবে আমাদের বুঝতে একটু সুবিধা হতো।
এরপর বড়ভাই আমার কথার প্রতি উত্তরে বললেন,আজকাল জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে ভালোই দর কষাকষি করতে পারছি।
মাঝে মধ্যে জিতেও যাচ্ছি।যেমন একটু আগেও এক মুদি দোকানদারের সঙ্গে দর কষাকষি করে এক কেজি পেঁয়াজে এক টাকা কম দিতে পারলাম। এক টাকা কম!চাট্টিখানি ব্যাপার না, বল তুই!
এমন সময় আমাদের পাশে থাকা বন্ধু বলল,বাজারে গিয়ে মাছওয়ালা, সবজিওয়ালা,এইওয়ালা,সেইওয়ালাদের সঙ্গে দর কষাকষি করে যে বাজে অভিজ্ঞতা হলো,তাতে আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। সিদ্ধান্তটা হচ্ছে আমার বাচ্চা যে ছোট সাইজের ছাতাটা নিয়ে খেলে,সে ছাতাটা এখন থেকে নিয়ে বাজারে যাব।
আর দোকানদারদের সঙ্গে দর কষাকষির সময় মুখের সামনে ধরব।কারণ,মাত্রাতিরিক্ত দর কষাকষির সময় প্রায়ই তাদের মুখের থেকে এটা সেটা বের হয়ে আমার মুখে পড়ে।যেমন গতকালও একজনের দাঁতের চিপা থেকে সুপারির টুকরা আমার নাকে বাড়ি খেল।টুকরাটা আরেকটু বড় হলেই আমার নাক আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারত!কি সাংঘাতিক না বলেন ভাই!
আজ এ পযর্ন্তই।অন্য দিন অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।আর লিখার মধ্যে কোন ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আর পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাবে আপনাদের মতামত দিবেন।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, এতে করে দরকষাকষি ছাড়া কোনো উপায় নেই। আপনার বড় ভাই কিন্তু ঠিকই বলেছে। ছোটবেলায় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল বিধায়, এখন দরকষাকষি ভালোই করতে পারছে😂। গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit