বাংলা সাহিত্যে মরমী কবি হাসন রাজা। লোকে বলে বলেরে ঘর বাড়ি ভালা নাই আমার, একমাত্র এবং বাউল হাসন রাজা ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের একটি ধর্ম রয়েছে যাকে মানবতা বলে। এই মানবতা সাধনা একটি রূপ হল মরমী সাধনা এবং দর্শন পাওয়া যায় তিনি সর্ব মানবিক ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত পত্র রচনা করেছেন। তার প্রথম স্বাধীনতাকিভাবে একজন দরদী জমিদার এবং মরমিয়া কবি ও বাউল সাধক এ পরিণত হলেন। পরগনার গ্রামে পরকীয়া কোবির জন্ম 21 ডিসেম্বর 854 খ্রিস্টাব্দে দেওয়ান আলী রাজ চৌধুরি এবং মোছাম্মদ এবং মুসলমান ঘর আলোকিত করে। পরবর্তীতে হাসন রাজার পিতা আলী দেশটাকে উন্নত বয়সে বিয়ে করেন । হাসন রাজা ছিলেন তার দ্বিতীয় পত্র হাসান এর পূর্ব পুরুষের অধিকার ছিল ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বংশপরম্পরায় তারা হিন্দু ছিলেন অতঃপর তারা দক্ষিণবঙ্গের যশোর জেলা হয়ে সিঁড়িতে এসেছি তখন তার দাদা বীরেন্দ্রচন্দ্র সিংহদের মতান্তরে বাবু রায় চৌধুরী সিলেটে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা-মা ট্রি এবং কিছু বংশীয় সকল সম্পদের মালিক হন আর 1969 সালে তার পিতা আলী রেজার মৃত্যুর। 40 দিন পর তার বড় ভাই ওবায়দুল কাদের মারা যান ভাগ্যের এমন বিড়ম্বনার শিকার হয়ে মাত্র 15 বছর বয়সে আসন জমিদারিতে অভিষিক্ত হন। আসল পুরুষ। শুধু তাই নয় তিনি স্বশিক্ষিত আঞ্চলিক ভাষায় প্রায় সহস্রাধিক গান এবং প্রকৃতি রচনা করেছেন।
![IMG20200111143213_1.jp(
এছাড়াও আরবি ও ফারসি ভাষায় ছিল তার বিশেষ দক্ষতা। ঘরে ঘরে আরবি ও ফারসি রূপচর্চা হত। যৌবনে ছিলেন অভিলাষী এবং সৌখিন বিভিন্ন সময়ে তিনি অনেক নারীর সাথে মেলামেশা করেন প্রতিবছর বিশেষ করে বর্ষাকালে নৃত্য-গীতের ব্যবস্থাসহ নৌকা বিহারের চলে যেতেন এবং বেশ কিছুকাল ভোগ বিলাসের মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত করে দিতেন। এই ভোগবিলাসের মাঝেও আজও প্রচুর গান রচনা করেছেন, বাইজিদ নৃত্য এবং বাদ্যযন্ত্রসহ এসব গান গাওয়া হতো অন্তর্নিহিত জীবন এবং নিজের কৃতকর্মের প্রতি অপরাধের কথা কে জানত, সেই অত্যাচারী ভোগবিলাসী জমিদারি হবেন পরবর্তী কালের সবচেয়ে প্রজাদরদী এবং দরবেশ জমিদার।
![IMG20200111143709_1.jpg](
পশুপাখি ভালোবাসতেন করেছিল তার প্রিয় পাকিস্তান হাসান তার প্রিয়জন বাহাদুর আরেকটি জান তুমি ঘোড়ার নাম পাওয়া যায় আরেকটি মজার সব ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের রৈপের টাকা সরিয়ে দেওয়া ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কুরিয়ে নিত তাদের ক্ষেত্রে খুব মজা পেতেন ।
![IMG20200111143624_1.jpg](
পশু পাখির যত্ন অর্থ ব্যয় করেছেন তিনি এমন একটি উদাহরণ দিই বুঝতে পারবেন আর পশুপ্রেম কেমন তীব্র ছিল 1897 সালের 12 জন এবং সিলেট এলাকায় 8.8 রিখটার স্কেলে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে মানুষ সহ অনেক পশুপাখি প্রাণ হারায় । পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখলেন তার অনেক নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে খাদ্যের অভাবে প্রাণপ্রিয় অনেক পশু পাখির মৃত্যু তার মনে জীবন সম্পর্কে গভীর বৈরাগ্যের সূচনা করে।
স্বপ্ন দেখলেন এবং এরপরই তিনি নিজেকে পরিবর্তন করা শুরু করলেন। বেশ ধারণ করলেন জীবনযাত্রায় আহ্মেদ বিপুল পরিবর্তন নিয়মিত প্রতিদিন খোঁজ-খবর রাখা শুরু করে দিলেন এলাকায় বিদ্যালয় মসজিদ এবং আক্রমণ করলেন সেই সাথে চলতে থাকল গান রচনা। পাগলা হাসান হিসেবে এর বাইরে আরও কিছু গান হাসন রাজার তিন পুরুষ এবং আল-ইসলাহ সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ধারণা করা হয় তার অনেক গান এখনো সিলেট সুনামগঞ্জের লোকের মুখে মুখে আছে এবং বহু গান বিলুপ্ত হয়ে গেছে। হাসন রাজার গানের সংখ্যা হাজারেরও বেশি আলোচনার নামে আরও একটি গ্রন্থ কিছুকাল পূর্বে আবিষ্কৃত হয়েছে।
হাসন রাজার কিছু হিন্দি গানের সন্ধান পাওয়া যায়। তার উল্লেখযোগ্য কিছু গানের আংশ,, আসল গৌতম বুদ্ধ যতই বলেন স্ত্রীর হইল পায়ের বেড়ি পত্র মূল্য ছিল তেমনই গরিব হাসান বন্দরে মিল জাগতিক দুই চোখ দিয়ে বাস্তব জগত দেখা যায় । তৃতীয় নয়ন মানুষ চোখ দিয়ে মানুষের জীবন জগত এবং স্রষ্টার মহিমা উপলব্ধি করতে পারে যেমনটি দেখা দেয় হাসানের আরেকটি কবিতায়।
আরে দিলের চোখে চাহিয়া দেখ বন্ধুয়ার স্বরূপ রে কিন্তু তার গানে পূর্বপুরুষের ধর্ম হিন্দু ধর্মের প্রতি তেমনি যেমন তিনি লিখেন। আমি চাইবো চাইবো আল্লাহর সঙ্গে আল্লাহ বলে কিছু নাই মাঙ্গে আমার পাশাপাশি তাঁর কণ্ঠে ধ্বনিত হয় আমার হৃদয় দুসরি।
আবার,বলেন"" হরি আমি কি তোর যোগ্য ভয় করি কতজনকে তেরে দিব সভায় শিভ শংকর.। হাসন রাজার দর্শন সম্পর্কে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 19 ডিসেম্বর 1925 সালে ইন্ডিয়ার শুভ সকাল কংগ্রেসে বলেছিলেন, পূর্ব বাংলার গ্রাম্য গভীর মাঝে এমন একটি গভীর তথ্য খুঁজে পাই একটি সম্বন্ধে সূত্রে বিশেষত্ব এছাড়াও 1933 সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউ লেকচার রবীন্দ্রনাথ রিলিজিয়ন অফ ম্যান নামে যে বক্তৃতা দেন তাতেও তিনি হাসন রাজার দর্শন ও সঙ্গীতের উল্লেখ করেন ।
সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারে গড়ে তোলা হয়েছে একটি মিউজিয়াম অব রাজা দর্শনার্থীরা হাসন রাজা এবং তার পরিবার সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে প্রতিদিন ভিড় করেন। এছাড়াও সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়ার এলাকায় সুরমা নদীর কূল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে হাসন রাজার স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি।
এটি একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান কানেক্টিং ও সাধকের ব্যবহৃত করতাম নিজের হাতের লেখা কবিতার পাণ্ডুলিপি আজও বহু দর্শনার্থীদের আবেগাপ্লুত করে। 1922 খ্রিস্টাব্দে 6 ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন সুনামগঞ্জের লক্ষণ সীতার মায়ের কবরের পাশে তাকে কবর দেয়া হয়। আর এই কবরখানা তিনি মৃত্যুর পূর্বে নিজেই প্রস্তুত করেছিলেন।