হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১১ ই জুলাই , বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা রাতারগুল ভ্রমণ শেষ করে সোজা সিলেট হাইটেক পার্কে চলে এসেছিলাম। সিলেট হাইটেক পার্কে আমার অনিক দাদা চাকরি করে তার কল্যাণেই এখানে আসা। বর্তমানে সারা বাংলাদেশের ভিতরে ১০৯ টি হাইটেক পার্কের কাজ চলছে। আর দশটি হাইটেক পার্কের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে সেখানকার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। হাইটেক পার্ক বাংলাদেশ সরকারের স্বায়ত্তশাসিত একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হচ্ছে প্রযুক্তি স্থাপন ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় নিয়োজিত।
গত বছরে আমরা যে, সময়টাতে সিলেট হাইটেক পার্কে গিয়েছিলাম তখন সেখানে পুরোদমে কাজ চলছিলো। একটি হাইটেক পার্কের কাজ সম্পন্ন করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। এখানে আসার পূর্বে হাইটেক পার্ক সম্পর্কে আমার কোন ধারণাই ছিল না। সিলেট হাইটেক পার্ক অনেক বড় আর বিশাল এরিয়া নিয়ে। আমরা সিলেট হাইটেক পার্কে আসার পরে অনিক দাদা আমাদেরকে হাইটেক পার্কের ভিতর নিয়ে গেলো।
তখন সিলেট হাইটেক পার্কের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার কারণে এখানে কোন প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো না। তবে হাইটেক পার্কের সিকিউরিটি দেখলাম বেশ কড়া। কারণ বাইরের অজানা অচেনা মানুষদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয় না। আমরা অনিক দাদার গেস্ট হয়ে গিয়েছিলাম তাই ভেতরে ঢুকতে পেরেছিলাম। যাইহোক আমরা যেহেতু দুপুরে গিয়েছিলাম তাই বেশ ক্লান্ত ছিলাম।
আমরা সেখানে কিছু সময় রেস্ট নেওয়ার পরেই অনেক দাদার সাথে হাই-টেক পার্কের ভেতরে ঘুরে বেড়ানো শুরু করলাম। সিলেট হাইটেক পার্ক এতই বড় জায়গা যে, পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে অনেক সময় লাগে। যাইহোক আমরা প্রচন্ড রোদের ভেতর বাইরে না ঘুরে সরাসরি চলে গেলাম সিলেট হাইটেক পার্কের মেইন বিল্ডিংয়ে। এত বড় আর এত সুন্দর লাক্সারি বিল্ডিং খুবই কম দেখা যায়। তবে দুঃখের বিষয় হলো এই বিল্ডিং এর ছবি তোলার কথা মনে ছিল না।
আমরা বিল্ডিং এর ভেতরে বিভিন্ন রুম ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকলাম। বিল্ডিং গুলোর কাজ তখনও চলছিলো তাই প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল না। তারপর আমরা সর্বশেষ চলে গেলাম কনফারেন্স রুমে সেখানে গিয়ে আমরা বেশ কিছু সময় রেস্ট করলাম। আর সেখান থেকেই সিলেট হাইটেক পার্কের মাস্টার প্ল্যান দেখলাম। তারপর আমরা পার্কের ভেতরে বেশি সময় ঘোরাফেরা না করে রুমে এসে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে।
আমরা সাদা পাথর ভ্রমণ শেষ করে বিকালে আবার সিলেট হাইটেক পার্কে চলে আসলাম। সারাদিন ভ্রমণ করার পরে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে গেছিলাম। তারপর রুমে এসে একটু রেস্ট নেয়ার পরে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য বাইরে বের হলাম। আমাদের রাতের খাবার ছিলো ও খিচুড়ি আর ডিম ভাজি। আমরা সবাই মিলে বেশ মজা করে রাতের খাবার খেয়ে আবার রুমে চলে আসলাম।
আমাদের জন্য যে, দুটি বেড রুমের ব্যবস্থা করেছিলো তা দেখে মন ভরে গেছিলো। সিলেট হাইটেক পার্কের সব থেকে সুন্দর দুটি বেডরুম এখানে হাইটেক পার্কের কর্মকর্তারা এসে মাঝেমধ্যে রাত্রি যাপন করে। যাইহোক আমরা বেশি রাত না জেগে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম। কারন আমরা সকালে উঠেই আবার ভ্রমণে বের হবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট হাইটেক পার্ক
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit