"রাতের পিকনিক"

in hive-129948 •  2 months ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২৫ শে অক্টোবর, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000135475.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এবারে পূজোর ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে অনেক মজা করেছিলাম। শুধু যে পূজোর ভেতরেই অনেক মজা করেছিলাম এমনটা পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও অনেক মজা করেছিলাম। অনেকদিন ধরেই বন্ধু-বান্ধব, বড় ভাই, ছোট ভাই সবাই মিলে পিকনিক করার প্লানিং ছিল। কিন্তু সবাই একসাথে হওয়াটা বর্তমানে অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে। কারণ অনেকে এখন বাড়ির বাইরে থাকে আর সবাই সবার কাজে ব্যস্ত। তারপরেও পুজো শেষ হওয়ার পরের শুক্রবারে আমরা আমাদের পিকনিকের দিন ঠিক করলাম। যারা বাড়ির বাইরে থাকে তারা যেনো আমাদের পিকনিকে অংশগ্রহণ করতে পারে তাই শুক্রবারের দিনটি বেছে নিলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে রাতের পিকনিকের সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করবো।

20241018_215258.jpg

আমরা মাঝেমধ্যে এই পিকনিক করে থাকি তাই এবারে পিকনিকের আগে সবাই টাকা দিয়ে পিকনিকের অনেক জিনিসপত্র কিনেছিলাম তাতে করে কারো বাড়ি কিছু কিছু না আনতে হয়। শুক্রবারে দুপুর ৩ টা থেকে আমাদের পিকনিকের কার্যক্রম আরম্ভ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সময়টা একটু পিছিয়ে গিয়েছিল। আমরা সবাই বিকালের দিকে পিকনিক করার জন্য বাজারে একসাথে হই। তারপর বাইক নিয়ে সবাই মিলে ঘোরাফেরা করে সন্ধ্যার দিকে পিকনিকের বাজার করি।

20241018_221038.jpg

এবারে আমাদের পিকনিকের সদস্য সংখ্যা ছিল ১১ জন। আর পিকনিকের জন্য প্রত্যেকের চাঁদা ধরা হয়েছিল ২৫০ টাকা করে। আমরা সাধারণত বেশিরভাগ সময়েই ভবানীগঞ্জ বাজারে পিকনিক করে থাকি। যেখানে আমার এক বন্ধুর মামার বাসার ছাদে পিকনিক করি। এই জায়গাটিতে পিকনিক করতে ভীষণ ভালো লাগে। আমাদের পিকনিকের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই কিনে ছাদে নিয়ে আসি।

20241018_202926.jpg

তারপর সবাই মিলে পিকনিকের আসল কার্যক্রম আরম্ভ করি। সবাই মিলে একসাথে বসে পিকনিকের কাজ করতে ভীষণ ভালো লাগে। আমরা যেহেতু বেশ কয়েকজন ছিলাম তাই রান্নার জন্য সব কিছু রেডি করার কাজটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। শুরু হয় আমাদের রান্না কার্যক্রম।

20241018_234717.jpg

যেহেতু ভাত রান্না করতে সময় অনেক কম লাগে তাই আগে ভাত রান্না করেছিলাম। আমাদের আজকের মেনুতে ছিল সাদা ভাত, হাঁসের মাংস আর সবার শেষে দই। আজকের মেনুতে যেসব খাবার ছিলো আমরা সবাই এই খাবারগুলো অনেক বেশি পছন্দ করি।

20241018_234817.jpg

আমাদের পিকনিকের রান্না করতে করতে বেশ রাত হয়েছিল। তবে আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করেছিলাম। আমরা ছোট একটা বক্স নিয়ে এসেছিলাম গান শুনছিলাম আর রান্না করছিলাম আর সবাই মিলে মজা করছিলাম। সত্যি বলতে অনেক দিন পরে এভাবে অনেকজন মিলে পিকনিক করতে ভীষণ ভালো লেগেছিল।

20241018_234846.jpg

আমাদের এই দিনের পিকনিকের রান্নার দায়িত্ব ছিল এক বড় ভাই। সত্যি বলতে তার রান্নার প্রশংসা করতেই হয়। আমিও অবশ্য মাঝে মধ্যে রান্না করি তবে এই বড় ভাই সেই রান্না করে। আমাদের পিকনিকে হাঁসের মাংস রান্না করতে সবথেকে বেশি সময় লেগেছিল। তবে হাঁসের মাংসের কালারটা চমৎকার সুন্দর হয়েছিল।

20241018_235559.jpg

পিকনিকে রান্না শেষ হওয়ার পরে সবাই মিলে একসাথে গোল হয়ে খাবার খাইতে বসি। সত্যি বলতে অনেক দিন পরে এভাবে একসাথে বসে খাবার খাওয়ার মাঝে আলাদা আনন্দ রয়েছে।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ১৮ ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

মাংস ভাত দিয়ে রাতের এমন পিকনিক একেবারে জমে গেছিল যে। আপনারা সকলে খুব আনন্দ করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। এমন বন্ধুরা মিলে রাতে পিকনিক করতে ভীষণ ভালো লাগে। আজকাল আর আমার কাজের চাপে এসব হয় না। কিন্তু আপনাদের দেখে পুরনো কথা মনে পড়ে গেল। বন্ধুদের সাথে কাটানো এই সময়গুলো খুব মূল্যবান হয় জীবনে।

এটা সত্যি বলেছেন দাদা বন্ধুদের সাথে কাটানো এই সময় গুলো জীবনে অনেক মূল্যবান হয়। আমরা রাতের পিকনিকে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

রাতে এইরকম বন্ধু বান্ধব মিলে পিকনিক খেতে মজাই আলাদা।তবে এটা ঠিক যে এখন একসাথে হওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে গেছে।সবাই সবার কাজে বাইরে থাকে কেউ বাসায় থাকে এইরকম। যাইহোক খুব সুন্দর ভাবে সময় উপভোগ করছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

বর্তমানে সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত তো তাই একসাথে হওয়াটা কঠিন ব্যাপার। হ্যাঁ ভাই অনেক সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মুরগির মাংস দিয়ে পিকনিকটা বেশ চমৎকার ছিল। এখন আমরা সচরাচর তেমন একটা পিকনিক করি না তবে পিকনিক করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। যাইহোক ভাই আপনি আপনার পিকনিক করার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন খুব ভালো লাগলো।

রাতের বেলায় হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিকটা অনেক জমেছিলো। আমরা সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

আমরাও যখন ছোট ছিলাম বাড়িতে পাড়ার ভাই-বোনেরা মিলে চাঁদা তুলে পিকনিক করতাম। এই শীতকালটাতে প্রায় ছুটির দিনগুলোতে। আমি জানি না কেন পিকনিকে রান্না সবসময় মজাদার হয়। অথচ যারা পিকনিক রান্না করে তারা হয়তো কেউই রোজকার রাধুনি নয়।আপনাদের মাংসের ঝোল টা দেখে মনেই হচ্ছে যে দারুন খেতে হয়েছিল কারণ ঝোলের রংটা যা সুন্দর। খুব মজা করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। এভাবেই আনন্দে থাকুন সবাই বন্ধু-বান্ধব মিলে।

আসলে দিদি এসব দিনগুলো আমার কাছেও মনে হয় একদিন স্মৃতিময় হয়ে যাবে। একটু সময় আসবে যখন আর পিকনিক করার কোন সুযোগ হবে না। আমরা সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। হ্যাঁ দিদি মাংসের ঝোলটা অনেক টেস্ট হয়েছিলো। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

সাদা ভাতের সাদে হাঁসের মাংস আর শেষে যদি দই থাকে তাহলে আর দেখতে হবে না। আপনাদের এইরকম পিকনিকের পোস্ট দেখে আমার আগের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। প্রতি মাসে এলাকার সব বন্ধু কয়েকজন বড় ভাই মিলে এইরকম পিকনিক করতাম। বেশ ভালো লাগল দেখে ভাই।

আপনিও আগে এ ধরনের পিকনিক করতেন প্রচুর পরিমাণে জেনে ভালো লাগলো। সত্যি বলতে এ ধরনের পিকনিকে অনেক বেশি পরিমাণে মজা হয়ে থাকে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

পিকনিক শব্দটার নাম শুনলেই কেমন করে উঠে। কারন আগে কতপিকনিক করেছিলাম আমরা। হাঁসের মাংস দিয়ে সবাই মিলে পিকনিক। দারুন আনন্দ করেছেন। এগুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে। ধন্যবাদ।

হ্যাঁ ভাই এটা সত্যি বলেছেন একসময় এসব পিকনিক গুলো আমার কাছেও স্মৃতি হয়ে থাকবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।