হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ০৯ ই এপ্রিল, রবিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গত বছর যখন আমি বাড়িতে ছিলাম আমার প্রতিবেশী দাদার গর্ভবতী স্ত্রীর সিজারের জন্য কুমারখালীর একটি ক্লিনিকে গিয়ে ডাক্তারদের খারাপ হাতের লেখা প্রেসক্রিপশ নিয়ে আমাকে বেশ ভালই হয়রানি হতে হয়েছিল। আমরা সৃষ্টিকর্তার পরেই ডাক্তারদের স্থান দিয়ে থাকি। কিন্তু যখন সেই ডাক্তারদের ওই হাতের লেখা খারাপের কারণে অনেক রোগীর মৃত্যু হয় বা অনেক হয়রানি হতে হয় তখন বিষয়টা অনেক খারাপ লাগে। আমার মনে হয় ডাক্তাররা ইচ্ছা করলেই প্রেসক্রিপশন হাতের লেখা ভালো করে লিখতে পারে। আসলে সব ডাক্তাররা সমান নাই আবার কিছু কিছু ডাক্তার আছে তাদের প্রেসক্রিপশন হাতে লেখা অনেক ভালো। সেসব হাতের লেখা যে কেউ দেখলেই বুঝতে পারবে। আবার কিছু কিছু ডাক্তার আছে তারা প্রেসক্রিপশনে কি লেখে হয়তো নিজেরাই পাড়তে না ভালো করে।
একই ডাক্তারের লেখা একই প্রেসক্রিপশন কিন্তু হাতের লেখা দুই রকম।
আমি ঢাকাতে আসার আগে যখন বাড়িতে ছিলাম আমার এলাকায় যে যখন বিপদে পড়তো আর যদি সে আমাকে ডাকতো অবশ্যই আমি তাকে সাহায্য করতাম। কাউকে সাহায্য করতে আমার বেশ ভালো লাগে। আমার বাড়ির পাশের একদাদার গর্ভবতী স্ত্রীর সন্তান প্রসবের জন্য কুমারখালীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। তারপর সেই দাদা ভর্তি করানোর পরে আমাকে ফোন দিয়ে যেতে বলে তার ছোট ভাইকে নিয়ে। তারপর বেশ তাড়াহুড়া করেই তার ছোট ভাই লক্ষণকে নিয়ে কুমারখালী সেই ক্লিনিকে গেলাম যাওয়ার পর বুঝতে পারলাম যে ক্লিনিকটা খুব একটা ভালো না। কারন আমার কাছে পরিবেশটা একদমই ভালো লাগছিল না শহরের একটু বাইরে ছিল।
যাইহোক ভর্তি করে ফেলছে এখন আর কিছু করার নেই। আসলে সেই প্রতিবেশী দাদা ক্লিনিক সম্পর্কে খুব একটা বেশি জানত না। আমি আর সেই দাদার ভাই দুপুরের দিকে গিয়েছিলাম আর ডাক্তারের সিজার করানোর কথা সন্ধ্যার দিকে। যাইহোক সন্ধ্যার একটু আগেই ডক্টর এসলো এবং সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেল রোগীকে। বেশ ভালোভাবেই সিজারটা সম্পন্ন হলো। সিজার সম্পন্ন হওয়ার পরে দেখলাম সেই দাদার ছেলে সন্তান হয়েছে। বেশ ভালই লাগছিল দেখতে অনেক কিউট ছিল।
সিজার সম্পন্ন করার পরেই ক্লিনিকের নার্স একটি ছোট প্রেসক্রিপশনে এনে সেই দাদার ভাইয়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল যে ওষুধ আনতে হবে। তারপর আমি আর সেই লক্ষণ দাদা মোটরসাইকেল নিয়ে গেলাম কুমারখালী শহরের ভেতরে ওষুধ আনতে। কয়েকটি ফার্মেসিতে প্রেসক্রিপশনটা দেখালাম কিন্তু কেউই হাতের লেখা বুঝতে পারছিল না কিন্তু ওষুধটা বেশ প্রয়োজনীয় ছিল তখন। বেশ বিরক্ত লাগছিল তখন আর তখন খুব টেনশন হচ্ছিল যে ওষুধটা তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে দেয়া প্রয়োজনীয়।
কি আর করার খুঁজে না পেয়ে আবার ফিরে গেলাম সেই নার্সের কাছে বললাম যে প্রেসক্রিপশনের লেখা কেউ বুঝতে পারছে না। তখন সেই নার্স বলতেছে যে আমাদের ক্লিনিকের ফার্মেসি বাদে এ হাতের লেখা কেউ বুঝবে না, বিষয়টা আমার কাছে বেশ আশ্চর্য লাগলো। আর এত খারাপ হাতের লেখা আজ পর্যন্ত কোন ডাক্তারের দেখি নাই আমি। তারপর আমরা বললাম যে আমরা বাইরে থেকে ওষুধ কিনব, আপনি স্যারকে বলেন ভালো করে প্রেসক্রিপশন লিখে দিতে।
তারপর কিছু সময় পরেই আরেকটি প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসলো। এই প্রেসক্রিপশনটা দেখার পর মনে হচ্ছিল আগে যে ডাক্তার প্রেসক্রিপশন লিখেছে হয়তো সে ডাক্তারের লেখা না। কিন্তু সত্যি তো এটাই একই ডাক্তারের লেখা। তারপর আমি দুইটা প্রেসক্রিপশন আলাদা আলাদা করে ছবি তুলে রাখলাম। এবারে নতুন প্রেসক্রিপশন নিয়ে আবার শহরের ভিতরে ওষুধ আনতে গেলাম কিন্তু কোন ফার্মেসিতেই একবারে সব ওষুধ পাচ্ছিলাম না বিষয়টা একটু আশ্চর্য! তখন আবার বাধ্য হয়েই ফেরত আসলাম ক্লিনিকে তারপর সেই ক্লিনিকের ফার্মেসি থেকে সব ওষুধ গুলো নিলাম। কিন্তু মাঝখান থেকে বেশ ভালই হয়রানি হতে হলো আমাদের দুজনকে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৪ ই এপ্রিল |
লোকেশন | কুমারখালী,কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মানুষকে সাহায্য করতে ভালো লাগে জেনে সত্যি ভালো লাগলো। আরে হ্যাঁ সত্যি প্রথম প্রেসক্রিপশনের হাতের লেখাটা বেশ ভালই খারাপ। হয়তোবা ওই ক্লিনিকের ফার্মেসির লোকদের এই হাতের লেখা চেনা তাই তারা বুঝতে পারবে। কিন্তু অন্য ফার্মেসিতে গেলে বোঝার তো প্রায় অসম্ভব। আসলে প্রতিটা ডাক্তার যদি একটু ভালোভাবে লেখা উচিত যাতে অন্তত সবাই লেখাগুলো সহজেই পড়তে পারে। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রেসক্রিপশন এর লেখাটা বেশ খারাপ ছিল ভাই।সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit