"গ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরা"

in hive-129948 •  9 days ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২৫ শে জুন, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000099691.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এবারে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে বেশ ভালই সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি। গ্রামীন প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আমি যখনই ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি যায় তারপর কিছুদিন গ্রামে থাকার পরে আর ঢাকাতে আসতেই মন চায় না। গ্রামীন প্রকৃতিও পরিবেশ যেয়ে শুধুমাত্র আমার কাছেই ভালো লাগে এমনটা নয় আমার মনে হয় যারা শহরে থাকে তারাও গ্রামীণ প্রকৃতি ও পরিবেশ অনেক ভালোবাসে। তবে বাস্তবতা বারবার ঢাকাতে বা শহুরে জীবনে টেনে আনে। কারণ বর্তমানে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হলে আমার ঢাকাতে অবশ্যই থাকতে হবে আর এটাই হচ্ছে আসল বাস্তবতা। যাইহোক ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে অনেকদিন থাকার পরে আজকে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল বাইক নিয়ে ঢাকাতে এসেছি সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।



1000099624.jpg

এবারে ঈদের ছুটিতে এই গ্রামের বাড়িতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। এ বছরে ঈদের ছুটিতে অবশ্য আমি একা একাই বাড়িতে গিয়েছিলাম। কারণ বন্ধু রাহুলের ঈদের ছুটি একটু পরে হয়েছিলো। তবে এবারে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল যে, একসাথে ঈদের ছুটি শেষ করে ঢাকায় ফিরব এটা নিশ্চিত ছিলো। আমি আর আমার বন্ধু রাহুল কয়েকদিন আগে ঠিক করে রেখেছিলাম যে, আজকে সকালের দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। আজকে সকালে বন্ধু রাহুলের ফোন কল পয়েই ঘুমটা ভাঙলো। তারপর আমরা কথা বলে ঠিক করলাম যে, খাওয়া দাওয়া করে সকাল দশটার দিকে বাড়ি থেকে বের হবো।

1000099629.jpg

আমি খুব দ্রুতই ঘুম থেকে উঠে আমার ব্যাগ পত্র রেডি করে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। তারপর সকাল দশটার পর পর বন্ধু রাহুল আর আমি ব্যাগ পত্র বাইকে বেঁধে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আজকের সকালে অবশ্য রোদের দেখাও ছিলো আবার মেঘের দেখাও ছিলো। আজকে সকাল থেকেই প্রচন্ড গরম ছিলো। আজকে ঢাকাতে আসার সময় পাংশা উপজেলার ভেতর থেকে একটু শিয়াল ভেজা ভিজেছিলাম। আমাদের গাড়ির তেল কম ছিলো তাই পাংশা ফিলিং স্টেশন থেকে প্রয়োজন মতো গাড়িতে তেল ভরে নিই।

1000099643.jpg

তারপর রাজবাড়ী পর্যন্ত একটানা যাওয়ার পরে রাজবাড়ী জুট মিলের সামনে একটা ছোট বিরতি দিই। কারণ মোটরসাইকেলে একটা না ড্রাইভ করতে সত্যিই ভালো লাগেনা। আর এমনিতেও একটানা ড্রাইভ না করাই সবথেকে উত্তম। যদি মোটরসাইকেলের ড্রাইভ করার সময় মাঝেমধ্যে রেস্ট নেওয়া যায় তাহলে মোটরসাইকেলের উপর কনসেনট্যান্ট অনেক বেশি থাকে। যাই হোক আমরা একটি দোকান থেকে ঠান্ডা পানি স্যালাইন ও বিস্কুট খেয়ে দেয়ে আবার জার্নি আরম্ভ করি।

1000099638.jpg

তারপর মোটামুটি দুই ঘন্টার ভিতরে আমরা গোয়ালন্দ ফেরি ঘাটে পৌঁছে যাই। অবশ্য আজকে একটু ভোগান্তি হয়েছে কারণ আমরা প্রতিনিয়ত যে, ফেরিঘাট দিয়ে যাওয়া আশা করি সেই ফেরিঘাটটি বন্ধ ছিলো তাই সেখানে গিয়ে আবার অন্য ফেরিঘাটে যেতে হয়েছিলো। আমরা ফেরিঘাট থেকে দেড়শ টাকায় দিয়ে বাইকের টিকিট কেটে নিন তারপরে ফেরিতে উঠি। আমরা ফেরিতে উঠার পরে এই নিচে বাইক রেখে এই সব থেকে উপরে চলে যায়। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যাগপত্র গুলো আমাদের সঙ্গেই নিয়ে গিয়েছিলাম।

1000099645.jpg

তারপর আমরা মোটামুটি আধা ঘন্টার ভিতরে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছে যায়। আজকে প্রচন্ড রোদ থাকার কারণে অবশ্য ফেরিতে উঠে অনেক কষ্ট হয়েছিলো। যাইহোক আমরা ফেরী পার হয়ে আবার আমাদের বাইক জার্নি করি। আমরা ঢাকা থেকে বাইকে করে বাড়িতে যাই কিংবা বাড়ি থেকে বাইকে করে ঢাকাতে আসি সবসময় চেষ্টা করি মানিকগঞ্জ থেকে ভেতরের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার জন্য। কারণ মানিকগঞ্জের ভেতরে রাস্তায় গাড়ির চাপ অনেক কম তাই রিক্সও অনেক কম। আর এমনিতেও এই রাস্তাটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।

1000099647.jpg

আমরা যখনই বাড়ি থেকে ঢাকাতে আসি এ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে একটা হোটেল আছে সেখান থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে দিয়ে তারপর ঢাকাতে আসি। আর এই হোটেলের খাবার আমার ভীষণ পছন্দের। আমরা হোটেল থেকে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে আবার বাইক জার্নি শুরু করি। আজকে ঢাকা শহরের ভিতরে আসার সময় অবশ্য তেমন কোন জ্যামের দেখা পায়নি কারণ হলো এখনো ঢাকা শহরে মানুষ সম্পূর্ণভাবে আসেনি। আস্তে আস্তে হয়তো কয়েকদিনের ভিতরে সবাই চলে আসবে। যাইহোক আজকে আমরা দুই বন্ধু সুস্থ ও সুন্দরভাবে বাইক নিয়ে ঢাকার বাসায় আসতে পেরেছি।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ২৫ শে জুন ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশনঢাকা, বাংলাদেশ


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো যে, আপনি সত্যিই একজন প্রকৃতি প্রেমী মানুষ। আপনার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার অভিজ্ঞতা এবং সেই সময়ের সুন্দর মুহূর্তগুলো আপনি যেভাবে বর্ণনা করেছেন, তা পাঠকদের মনে এক অনন্য অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। আপনার লেখায় সত্যিকারের আবেগ এবং ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়েছে, যা পাঠকদের হৃদয়ে স্পর্শ করে। আপনার ছবিগুলোও অসাধারণ, যা আপনার কথাগুলোকে আরও জীবন্ত করে তোলে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আজ আপনি গ্রাম থেকে ঢাকা ফেরার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি বলেছেন কিছুদিন গ্রামে থাকার পর আর ঢাকায় যেতে ইচ্ছা করে না। আমার নিজের সাথে এরকম হয় বাড়িতে থাকার পর আর যেতে ইচ্ছে করে না কিন্তু বাস্তবতার কারণে আমাদেরকে ফিরে যেতে হয় আমাদের কর্মস্থলে।
বাড়ি থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় কাটানো সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত গুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ঢাকাতে আসতে তো ইচ্ছে করে না কিন্তু জোর করে ইচ্ছে করাতে হয়। নিজের পরিবারের সাথে থাকার চেয়ে শান্তির কিছু হতে পারে না।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।