"কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত ঈদ রিইউনিয়ন-২য় পর্ব "

in hive-129948 •  7 months ago  (edited)


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ১৬ ই মে, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি মানুষের ওই কোন না কোন স্বপ্ন থাকে আর আমার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে একজন ভালো ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। এ পৃথিবীতে অনেক অনেক ক্যাটাগরির ইঞ্জিনিয়ার আছে এর ভেতর সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। কারণ প্রাচীনকাল থেকে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা মানুষ জাতিকে সভ্য করে তুলতে পেরেছে। প্রাচীনকালের মানুষরা বাড়িঘর ব্যতীতই তারা বসবাস করত কিন্তু আস্তে আস্তে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচেষ্টায় মানুষজন বাড়ি-ঘরে থাকা শুরু করে। আমি এসএসসি পাশ করে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে সিভিলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করি। আর এখন সিভিলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। প্রতিনিয়ত নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এভাবেই সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত ঈদ রিইউনিয়ন-২য় পর্ব আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

20240412_093205.jpg

আমরা বুথ থেকে উপহার সামগ্রী সংগ্রহ করে তিন বন্ধু মিলে চলে গেলাম কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মেহগনি বাগানে। সেই সময়টাতে প্রচুর তাপদাহ থাকার কারণে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক এর মেহগনি বাগানটা সবার শান্তির আশ্রয় কেন্দ্র হয়েছিল। যদিও আমরা যখন কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করতাম তখন মেহগনি বাগানটা পরিত্যক্ত ও নোংরা ছিলো। এই অনুষ্ঠানের আগেও অবশ্য নোংরা ছিল কিন্তু অনুষ্ঠানটির কারণে এ বাগানটি সুন্দর করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছিল।

20240412_093441.jpg

আর এই পুরো মেহগনি বাগানের ভেতরে আলাদা আলাদা করে চেয়ার এবং টেবিল দিয়ে রাখা হয়েছিল যাতে এখানে এসে সবাই সকালের নাস্তা করতে পারে। আমাদের যে সকল উপহারগুলো দিয়েছিল তার সাথেই ছিল সকালের দারুন নাস্তা। আমাদের সকালের নাস্তা ছিল কমলা লাড্ডু কলা আর পাউরুটি। আমরা তিন বন্ধু মিলেই মজা করে সকালের নাস্তা খেয়ে নিলাম।

20240412_094810.jpg

আমরা নাস্তা খাওয়া দাওয়া শেষ করে যে, উপহার গুলো দিয়েছিল সেগুলো দেখতে থাকলাম। পাটের তৈরি সুন্দর ব্যাগের ভেতরে অনেকগুলো উপহার দিয়েছিল সত্যি অনেক ভালো লেগেছিলো। আমরা প্রথমেই আমাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য যে নির্দিষ্ট গেঞ্জি তৈরি করা হয়েছিল সেই গেঞ্জিটি পাটের ব্যাগ থেকে বের করে গায়ে দিলাম। সাদা রংয়ের এই গেঞ্জিটি আমার কাছে দারুন লেগেছে বেশ কোয়ালিটিফুল।

20240412_113047.jpg

আমাদের উপহার সামগ্রীর ভেতর আরো ছিলো সুন্দর একটি কলম। আমাদের যতগুলো কলম দিয়েছিল সবগুলো কলমের স্পনসর ছিলো আমাদের এই কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর প্রাক্তন ছাত্র জাকির ও জাহিদ ভাই। কলম ছোট্ট একটি উপহার হলেও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।

20240412_113552.jpg

আমাদের সকল উপহার সামগ্রীর ভিতরে ছিল সুন্দর একটি চাবির রিং। এই উপহার গুলো যে, পাব আগে আসলে জানতাম না। শুধুমাত্র গেঞ্জি এবং পাটের ব্যাগ এই দুইটা জিনিসের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল আমাদেরকে। কিন্তু এর সাথে সাথে এতগুলো জিনিস আমাদেরকে দেয়া হবে সত্যিই আমাদের জন্য অনেক সারপ্রাইজ ছিলো।

20240412_113121.jpg

আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে যেটা সেটা হলো কুষ্টিয়া পলিটেকনিক অ্যালামনাই এসোসিয়েশন কর্তৃক ঈদ ইউনিয়ন উপলক্ষে আমাদের জন্য দারুন একটি বই তৈরি করেছিলো। এই বইটার ভেতরে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপিত হওয়ার পর থেকে যাহারা এই পলিটেকনিকে চাকরি করেছেন এবং বিভিন্ন রকমের অবদান রেখেছেন তাদের ছবি এবং ইনফরমেশন দেখতে পেরেছি। আর তারপরে আমরা যারা ঈদ ইউনিয়নে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম সবার ছবি এবং ইনফরমেশন এই বইতে দেওয়া ছিলো। সবার সাথে সুন্দর যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এই বইটি দারুন কার্যকরী।

20240412_105121.jpg

আমাদের উপহার গুলোর ভেতরে আরো ছিলো একটি কার্ড। এই কার্ড দেয়া হয়েছিলো যাতে আমরা সবাই গলায় ঝুলিয়ে ঈদ রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারি। প্রতিটি কার্ড একই রকমের ছিলো আমরা যার যার মত নিয়ে নিজেদের ইনফরমেশন কার্ডের উপরে লিখে নিয়েছিলাম তারপর গেঞ্জি পড়ার পরে কার্ডটি গলায় ঝুলিয়ে ঈদ রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলাম।

কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত রিংইউনিয়ন- ২য় পর্ব এ পর্যন্তই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম পরবর্তীতে অন্য একটি পোস্টে ৩য় পর্ব শেয়ার করবো।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ১২ ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

মেহেগুনি বাগানের দিকে এখন নজর দেওয়া হচ্ছে। যতদৃর শুনেছি ওটা এখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে কতৃপক্ষে বেশ সচেতন। ঐ জায়গাটা আসলেই সুন্দর ছায়াঘেরা। যে বইটা দিয়েছে সেটা বেশ ভালো লাগছেহ পাশাপাশি গিফটগুলো বেশ সুন্দর ছিল। দ্বিতীয় পর্বটা বেশ ভালো লাগল ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

হ্যাঁ ভাই আমিও শুনেছি মেহগনি বাগান এখন থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। মেহগনি বাগানের ভেতর ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। হ্যাঁ ভাই যে, গিফট গুলো দিয়েছিল অনেক সুন্দর ছিলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

মেহেগুনি বাগানের দিকে এখন নজর দেওয়া হচ্ছে। যতদৃর শুনেছি ওটা এখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে কতৃপক্ষে বেশ সচেতন। ঐ জায়গাটা আসলেই সুন্দর ছায়াঘেরা। যে বইটা দিয়েছে সেটা বেশ ভালো লাগছেহ পাশাপাশি গিফটগুলো বেশ সুন্দর ছিল। দ্বিতীয় পর্বটা বেশ ভালো লাগল ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

ঈদ রিইউনিয়নের আয়োজন দেখে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। আর আপনাদের দেখছি বেশ ভালোই উপহার দেওয়া হয়েছে। আর আপনার সব চেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বইটি জেনে ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দারুন একটি পোস্ট আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।

হ্যাঁ আপু আমাদের অনেক উপহার দিয়েছিল ঈদ রিইউনিয়নে। এই সুন্দর বই আমাদের কাছে স্মৃতি হয়ে থাকবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।