"দুর্গাপূজার আনন্দে ঢাকা থেকে বাড়ির পথে গমনের অনুভূতি অনন্য"

in hive-129948 •  2 years ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ - ১৭ ই আশ্বিন ‌||১৪২৯ বঙ্গাব্দ||রবিবার

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর ফাউন্ডার , এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



20221002_164002.jpg



প্রথমেই সবাইকে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শারদীয় দুর্গাপূজা আবেশে মনের ভিতর অফুরন্ত ভালোলাগা এবং ভালোবাসা কাজ করে। পূজার গন্ধে যেন মন ছুটে ছুটে বাড়ি চলে যায়। লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে আজ দু-মাস হলো বাড়ি থেকে ঢাকাতে এসেছি। যদিও ঢাকাতে আমি একদমই থাকতে পছন্দ করি না কিন্তু লেখাপড়া করার জন্যই বাধ্য হয়ে থাকতে হয়। ঢাকাতে লেখাপড়া করার উদ্দেশ্যে আসার পরে এই প্রথম বাড়ি বাড়িতে যাচ্ছি। দুর্গাপূজোর আবেশে কয়েকদিন হল বাড়িতে খুব যেতে ইচ্ছা করছে কিন্তু ইউনিভার্সিটিতে আমার ক্লাস হওয়ার কারণে যেতে একটু দেরি হলো। ঢাকার শহরে শুধু আমার শরীরটাই থাকে মনটা যেন থাকে গ্রামে নিজের বাড়িতে কারণ দূষিত ধুলোবালির ঢাকার শহরে আমার একদমই মন টিকতে চায় না। আমার মনে হয়, গ্রামের লোকজন ঢাকার শহরে নিজের মনের বিরুদ্ধেই বসবাস করে যায়। মনে হচ্ছে যেন ঢাকার শহরের নির্জীব এ দেহ বাড়ি গিয়ে প্রাণ ফিরে পাবে। শারদীয় দুর্গাপূজোর আবেশে বাড়ি যাওয়ার অনুভূতিটা আসলেই অনন্য।



20221002_164133.jpg



ঢাকা থেকে যখন বের তখন দুপুরে এক টা বাজে। গাবতলী থেকে বাসে ওঠার পরেই যেন আকর্ষণ বেড়ে যাচ্ছিল বাড়ির প্রতি মনে হচ্ছিল যত কাছে যাচ্ছি তত আকর্ষিত হচ্ছি ঠিক যেন দুটি চুম্বকের মতো। শারদীয় দূর্গা পূজাতে বাড়িতে এসে সবাই মিলে পূজা দেখার একটা আলাদা আনন্দ কাজ করে। মন যতই খারাপ থাক না কেন পূজা এলে পূজার গন্ধে এমনিতেই মন যেন ভালো হয়ে ওঠে। গাবতলী থেকে বাসে করে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে এসে নদী এবং আকাশের সৌন্দর্য দেখে খুবই ভালো লাগছিল।



20221002_164028.jpg



তবে ফেরি ঘাটে বর্তমানে একটু সময় লাগে কারণ পদ্মা সেতু হওয়ার পরে ফেরি ভরতে সময় বেশি লাগে। তৃতীয় পদ্মা সেতুটা হয়ে গেলে ঢাকা থেকে আমাদের বাড়ি আসতে মাত্র ৪ ঘন্টা লাগবে। কিন্তু এখন বাড়ি আসতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা মত। আজকে আমার বাড়ি আসতে সময় লেগেছে ছয় ঘন্টা মত। যদিও বন্ধু রাহুল রিসিভ করতে না গেলে সাত ঘন্টা মত লাগতো। বন্ধু রাহুলকে আগেই বলে রেখেছিলাম ফোন করে যাতে সে বাইক নিয়ে খোকসা বাস স্ট্যান্ডে এসে রিসিভ করে নিয়ে যায়। দুই মাস পর পূজার আবেশে বাড়িতে আসতে পেরে খুবই সুন্দর লাগছে অনুভূতিটা।



প্রিয় বন্ধুরা,
আজকে এ পর্যন্তই আপনাদের সাথে আমার দুর্গাপূজাতে বাড়িতে আসার অনুভূতি শেয়ার করলাম। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



ফটোগ্রাফার : @aongkon
ফোন : Samsung j7 pro
ক্যামেরা: তেরো মেগাপিক্সেল
লোকেশন: পাটুরিয়া ফেরিঘাট।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

ভাই যারা গ্রামে বসবাস করে তো তাদের শহরে থাকতে অনেকটা খারাপ লাগে আমিও গ্রামেই থাকি কিছু দিন আমিও ঢাকার শহরে ছিলাম কিছু দিন আমার এক ফোপাতো ভাইয়ের বাসায় শহরে থাকতে আমারও একটুও ভালো লাগতো না। দুর্গাপূজার ছুটিতে বন্ধুদের সাথে ভালোভাবে আনন্দ উল্লাস করেন আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল ভাই।

গ্রামের কোন তুলনা হয় না, একমাত্র গ্রামে থেকেই বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।

আমিও আপনার মত পাটুরিয়া ঘাট হয়ে বাড়িতে ফিরতাম। তবে পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার পর আর ওদিকে যাওয়া হয়নি। আপনার অবস্থাও দেখছি অনেকটা আমার মত। ঢাকা শহরে থাকি শুধু কাজের জন্য। কিন্তু মনটা পড়ে থাকে বাড়িতে। ভালোই লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ ভাই পদ্মা সেতুটা হওয়ার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সুব্যবস্থা হয়েছে। পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়াতে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু হলে আমাদেরও যাতায়াতের সুব্যবস্থা হয়ে যাবে। ঢাকা শহরে শুধু শরীর থাকে ভাই, মনটা এই গ্রামের মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়ায়। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাদের চলার পথ অনেক সহজ করে দেয়।

সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে কোন ধরনের একটা অনুষ্ঠান উদযাপন করলে সেটা অন্যরকম একটা স্মৃতি হয়ে থাকে। আর আপনি সেই অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য ছুটে যাচ্ছেন আপনার সেই আপনজনের কাছে। ঢাকা থেকে সেই বাড়ি ভবনের যাওয়ার অনুভূতিটি অনেক ভালো লাগলো।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল

শারদীয় শুভেচ্ছা রইল ভাই। হ্যাঁ ভাই আপন জনের কাছে ফিরে আসার অনুভূতিটা আসলে অনন্য। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।