হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২রা ডিসেম্বর,শনিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন হল আমার ডান হাতের তর্জনী আঙ্গুলের সমস্যার জন্য শারীরিক সমস্যায় ভুগতেছি। এতো পরিমান যন্ত্রণা আগে কখনো ভোগ করেছি বলে মনে পড়ে না। এমনটা মনে হচ্ছে যেনঝ পুরো আঙুল টাই কেটে ফেলে দিই। গতকালকে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলাম আমার ডাক্তার দেখানোর জন্য কিন্তু কালকে শুক্রবার হওয়ার জন্য মেডিকেল ও সার্জারি বিভাগের কোন ডাক্তার ছিল না। তাই আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই বন্ধু রাহুলকে নিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে গিয়েছিলাম এবং সেখান থেকে সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখে আসলাম। কিন্তু বর্তমানে আঙুলের ভিতর এতটাই ব্যথা করছে যে পোস্ট লেখার মতো পরিস্থিতিতে আমি মোটেও নেই। আমি আমার বাংলা ব্লগের ভেরিফাইড মেম্বার হওয়ার পরে এখন পর্যন্ত কোন দিনেই পোস্ট মিস করিনি বলেই আজকেও আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করবো।
আমি গত এক সপ্তাহ ধরে আমার তর্জনী আঙ্গুলের সমস্যায় ভুগতেছি। গতকালকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ফেরত এসেছিলাম শুক্রবার হওয়ার কারণে। তাই আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই বন্ধু রাহুলকে নিয়ে বাইকে করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে গেলাম। আজকে গিয়ে দেখি বেশ ভালই মানুষজনের ভিড় রয়েছে। বর্তমানে মানুষের রোগ এতটাই বেশি যে হাসপাতাল গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিড় থাকে।
আমরা হাসপাতালে গ্যারেজে টিকিট কেটে বাইকটি রেখে ভেতরে প্রবেশ করলাম। তারপর ডাক্তার দেখানোর জন্য পুরুষ টিকিট কাউন্টারে গিয়ে লাইনে দাঁড়ালাম। যদি লাইনে বেশি একটা ভিড় ছিল না। তারপরেও ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলাম। তারপর আমার সিরিয়াল চলে আসলো তখন আমার সমস্যার কথা তাদেরকে জানানোর পর তারা সার্জারি বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে দেখানোর জন্য দশ টাকার একটি টিকিট দেয়।
যেকোনো সরকারি হাসপাতালে এই বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে যে, খুবই কম টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখানো যায়। আর বেসরকারি হাসপাতালে একই ডাক্তার দেখালে দেখাতে গেলে পাঁচশ, এক হাজার, পনেরশো এরকম ভিজিট নেয়। এত টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখানো তারপরে ওষুধ কেনা এসব প্রচুর ব্যয়বহুল। তারপরও বেঁচে থাকার জন্য মানুষ সবকিছুই করে থাকে।
আমি দশ টাকার এই টিকিটটি নিয়ে একজন আনসার সদস্যের কাছে শুনলাম যে, সার্জারি বহির্বিভাগ কোথায়! তারপর আমি আনসার সদস্য দেখানো পথ অনুসরণ করে সার্জারি বহির্বিভাগের সামনে চলে আসলাম। এসে দেখলাম এখানেও ৪-৫ জনের লাইন রয়েছে। আমি এখানেও এসে লাইনে দাঁড়ালাম কিছু সময়।
তারপর আমার সিরিয়াল আসার পরে আমি ভেতরে গিয়ে আমার সমস্যার কথা ডাক্তারকে জানালাম। তারপর ডাক্তার আমার আঙ্গুলটি ভালো করে দেখলো। আমার আঙ্গুরের অল্প একটু অংশ পেকে পুঁজ গিয়েছিলো। তবে আঙ্গুলটি দেখার সময় ডাক্তার এমন জোরে আঙুলের উপরে চাপ মেরেছিলো যে, আমি আর এই জগতেই ছিলাম না। আমি ডাক্তার মহাশয় কে বললাম প্রচন্ড ব্যথা লাগছে তখন উনি বলল যে দাঁতে দাঁত কামড় দিয়ে একটু সহ্য করো। তখন আঙুলের ভেতরটাতে এতো ব্যথা করছিল যে আপনাদের আর সেটা বলে বোঝাতে পারবো না।
তারপর প্রেসক্রিপশনে কি যেনো লিখে দিয়ে বললো যে, সার্জারি ড্রেসিং রুম থেকে ড্রেসিং করে আসতে। তারপর আমি প্রেসক্রিপশন নিয়ে আবার সার্জারি ড্রেসিং রুমের সামনে গিয়ে সিরিয়াল দিলাম। কিন্তু এই সময়টাতে আমার সবথেকে কষ্টের সময় গিয়েছে। কারণ আঙুলে চাপাচাপি করার জন্য প্রচুর পরিমাণে যন্ত্রণা হচ্ছিলো। আসলে কারোরই কিছু করার ছিল না কারণ রোগ ভালো করতে হলে ব্যথা তো সহ্য করতেই হবে। ডাক্তার সাহেবের নির্দেশ মতোই প্রতি একদিন পরপর সার্জারি ড্রেসিংরুমে এসে আমাকে ড্রেসিং করাতে হবে।
সার্জারি ড্রেসিং রুম থেকে ড্রেসিং করে আবার এসে ডাক্তার দেখানোর জন্য সিরিয়াল দিলাম। তারপর বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে ডাক্তারের চেম্বারে আবার ঢুকলাম। তখন ডাক্তার সাহেব আমাকে কিছু উপদেশ দিল আর প্রেসক্রিপশনে প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিলো। তারপর আমি ডাক্তার স্যারকে অনুরোধ করলাম যে, স্যার আমি তো স্টুডেন্ট তাই যদি সরকারি ভাবে কিছু ঔষধ যেতো তাহলে বেশ ভালো হতো। তারপর সাড়ে তিনটা ওষুধের ভিতর দুইটা ওষুধ হাসপাতালে ঔষধ কাউন্টার থেকে নেওয়ার জন্য দুইটা টোকেন লিখে দিলো। ডাক্তার সাহেব মোট সাত দিনের ওষুধ দিল আর সাতদিন পরে দেখা করতে বললো।
আমি প্রেসক্রিপশন আর দুইটা টোকেন নিয়ে হাসপাতালের ঔষধ কাউন্টারে দিলাম। তারা কাউন্টার থেকে একটি ঔষধ দিলো আর বললো যে, এই ওষুধটি আমাদের কাছে বর্তমানে নেই। আমি সরকারি হাসপাতাল থেকে আজ পর্যন্ত কমদামী ঔষধ ছাড়া বেশি দামি ঔষধ কখনো দিতে দেখেনি। যে ঔষধটার দাম সবথেকে কম সেটাই আমাকে দিয়েছিলো। আমি হাসপাতাল থেকে বাসায় আসার সময় বাইরে একটি ফার্মেসি থেকে ঔষধ কিনলাম। বাসায় আসার পরে খাওয়া-দাওয়া করে প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধগুলো খেয়েছি তারপরেও ব্যথা কোন মতোই কমছে না। আমি জানিনা আমার এই ব্যথা কবে কখন কিভাবে কমবে। তবে ভীষণ যন্ত্রণা অনুভব করছি। আমার স্বাভাবিক কাজকর্মে প্রচুর ব্যাঘাত হচ্ছে।
আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে শুধু প্রার্থনা করছি যে, তিনি যেনো আমাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তোলে। আপনারাও আমার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করবেন দয়া করে। সুস্থতা ছাড়া আসলে কিছুই ভালো লাগেনা। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য সুস্থতা থাকাটা ভীষণ প্রয়োজনীয়।
পোস্টের বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২রা ডিসেম্বর ২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কয়েকদিন আগে শুনেছিলাম আপনার আঙ্গুলের সমস্যা। যাইহোক ডাক্তার দেখিয়েছেন জেনে ভীষণ খুশি হলাম। সরকারি হাসপাতালে বেশি দামী ঔষধ থাকে না ভাই, ওগুলো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চলে যায় 😂
যাইহোক আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই সরকারি হাসপাতালে বেশি দামি ওষুধ থাকলেও সেটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চলে যায়। আঙুলে সমস্যার জন্য সরকারি হাসপাতালে দেখিয়েছিলাম এখন আগামীকালকে অপারেশনের ডেট দিয়েছে অপারেশন করাতে হবে। দোয়া করবেন যাতে সুস্থভাবে অপারেশন হয়ে আবার স্বাভাবিক কাজকর্মে করতে পারি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসুস্থ হলেই আমরা বুঝি আসলে সুস্থতা আমাদের কত বড় একটা নিয়ামত। আপনার তর্জনী আঙ্গুল এর ব্যাথার কারণে আপনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। শরীরের একটু অসুস্থতা আমাদেরকে অনেক বেশি দুঃখী করে তোলে খুবই খারাপ লাগে সেই সময়টাতে। সকাল সকাল ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন এবং ওষুধ নিয়ে এসেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আশা করছি আপনি খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাই শরীর অসুস্থ থাকলে কিছুই ভালো লাগেনা। এখন ডাক্তারের নির্দেশ মতো সবকিছু করছি। দোয়া করবেন যেনো খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া ডাক্তার সাহেব তো খুব ভালো ঔষুধ দিয়েছে। হাসপাতাল থেকে গ্যাসের ঔষুধ,ব্যাথার ঔষুধ আর এন্টিভাইয়োটিক ঔষুধ গুলো দিয়ে দিয়েছে। শুধু গাঁ টা শুকানোর জন্য মনে হয় একটি ঔষুধ বাহির থেকে কিনতে হয়েছে। আশা করি সুস্থ হয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই ডাক্তার ভালো ওষুধ দিয়েছিলো তবে এখন অপারেশন করাতে হবে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit