"মোহাম্মদপুরে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ঘোরাঘুরি- ১ম পর্ব"

in hive-129948 •  last year  (edited)


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৩০ শে সেপ্টেম্বর, শনিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

20230930_151409.jpg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সাথে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি আশা করি আমার এই ভালোলাগাটা আজীবন থেকে যাবে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমি যে কোন জায়গা ঘুরতে বা ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আমরা বেশ কিছুদিন আগে যেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম এই জায়গাটির ইতিহাস অনেক বেদনাদায়ক।

তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে অর্থাৎ আমাদের বাংলাদেশ মেরুদণ্ডহীন করার জন্য ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সকল বুদ্ধিজীবীদের মেরে এই জায়গাটিতে গণ কবর দিতো। আমাদের বাংলাদেশের অনেক জায়গায়ই এমন বধ্যভূমি রয়েছে। তবে সবার থেকে মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজারের বধ্যভূমি বেশি পরিচিত। এই বধ্যভূমিকে অনেকেই বুদ্ধিজীবী কবরস্থান বলে থাকে। কারণ এই জায়গাটিতেই সব থেকে বেশি বুদ্ধিজীবীদের গণ কবর দেয়া হয়েছে।

আসলে এ সময়ে এ সকল কথা ভাবলে গায়ের কাঁটা শিউরে ওঠে। কতটা নৃশংস নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল এ সকল বুদ্ধিজীবীদের। আমি আজকে আপনাদের সাথে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ঘুরে বেড়ানোর - ১ম পর্ব শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

20230522_100756.jpg

20230516_174411.jpg

ঢাকার মোহাম্মদপুরে রায়েরবাজার বধ্যভূমি আমাদের বাসা থেকে মাত্র ৩০০ মিটার মতো হবে। আমাদের বাসা থেকে এই জায়গাটিতে পায়ে হেঁটে যেতে মাত্র পাঁচ মিনিট পথ সময় লাগে। এই জায়গাটি কাছে হওয়ার কারণে আমরা মেস থেকে প্রায় প্রায় ঘুরতে যাই। এই জায়গাটিতে আমাদের মতো আরো অনেকেই আসে বিকেলবেলা ঘুরতে বা খেলাধুলা করতে। রায়ের বাজার বধ্যভূমির পুরো জায়গাটি প্রাকৃতিক পরিবেশে ভরপুর।

20230516_174143.jpg

20230516_174437.jpg

আমি যখনই সময় পাই তখনই কাউকে না কাউকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি। আসলে ঘুরে বেড়ানোর ভেতর আলাদা একটি মনের প্রশান্তি কাজ করে। বর্তমানে ঢাকা শহরের ভেতর প্রাকৃতিক পরিবেশ সমৃদ্ধ জায়গা পাওয়াটা খুবই দুষ্কর। তবে ঢাকা শহরেও বেশ কয়েকটি জায়গা আছে যেখানে গেলে আসলেই মন ভালো হয়ে যায়। আমরা রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে যখনই যেতাম মেসের সবাই মিলে যেতাম।

20230516_173918.jpg

এর আগে আমি বন্ধু রাহুলের সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে বেড়াতে গিয়েছিলাম সেই জায়গাটি আমার কাছে ভালো লেগেছিল। আসলে যে জায়গাটিতে প্রাকৃতিক পরিবেশের ছোঁয়া আছে সেই জায়গাটিতে থাকতে আমি সবসময় অনেক বেশি পছন্দ করি। এই রায়েরবাজার বাদ্যভূমিতে বিকালের দিকে মোটামুটি বেশ ভালোই মানুষজন হয়।

20230516_173910.jpg

কেউবা আসে এই ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ করতে, আবার কেউবা আসে বসে থেকে সময় কাটানোর জন্য, আবার কেউবা খেলাধুলা করার জন্য। মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বধ্যভূমির এই জায়গাটিতে অনেক আগের নির্মিত একটি বড় ইটের দেয়াল রয়েছে আর এই ইটের দেওয়ালে একটি বর্গাকার ফাঁকা অংশ রয়েছে।

20230516_174242.jpg

আসলে এই দেওয়ালের একটি অংশ ফাকা রাখাতে এটাই বোঝানো হয়েছে যে, আমাদের দেশ যতই পরিপূর্ণ হোক না কেন একাত্তরের মৃত বুদ্ধিজীবীদের অভাব আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। যতদিন বাংলাদেশ নামক দেশ আর বাঙালি জাতি থাকবে ততদিন এই সকল বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করা পড়বে। আমরা এই জায়গাটিতে গিয়েছিলাম সন্ধ্যার কিছু সময় আগে। তাই একটু ঘুরতে মোটামুটি প্রায় লেগে গিয়েছিলো।

20230516_173853.jpg

সন্ধ্যাবেলার সুন্দর মুহূর্তে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম।‌ মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজারের বধ্যভূমির এই জায়গাটিতে যতবারই আমি যাই ততো বাড়ই আমার মনে পড়ে যায় একাত্তরের সময়ে সেই বুদ্ধিজীবীদের মহান আত্মত্যাগের কথা। এ সকল বুদ্ধিজীবী থাকলে হয়তো আমাদের দেশ আরো অনেক বেশি এগিয়ে যেতো। আমরা পৌঁছে যেতে পারতাম উন্নতির চরম শিখরে।

আজকে আমি মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ঘোরাঘুরির: ১ম পর্ব এখানেই শেষ করছি, আর ২য় পর্বটি আমার অন্য একটি পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।



পোস্টের বিবরন

পোস্ট ধরনভ্রমণ
ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি জে-৭ প্রো
ক্যামেরা১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ১৩ ই মে ২০২৩
লোকেশনমোহাম্মদপুর,ঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

মোহাম্মদপুরে রায়ের বাজার মধ্যভূমিতে ঘোরাঘুরির প্রথম পর্বটি অসাধারণ ভাইয়া। মনে হচ্ছে ঘুরতে গিয়ে আপনি ভীষণ মজা করেছেন। আপনারা যখনই এখানে ঘুরতে যেতেন বন্ধুরা মিলে যেতেন শুনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে মাঝে মাঝে এরকম প্রকৃতি পরিবেশে একটু ঘুরে বেড়ালে বেশ ভালোই লাগে। আপনার অন্য পর্বগুলো হয়তোবা আরো ভালো হবে আশা করছি। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

হ্যাঁ আপু সবাই মিলে ঘুরতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি মজা হয়। আর এরকম প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য।

কিছুদিন আগে আমি আলমডাঙ্গা বদ্ধভূমিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করছি যে আপনাদের মাঝে এখনো শেয়ার। আজ আপনি মোহাম্মদপুর থেকে ঠিক তেমনি বধ্যভূমি ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সেই বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অচেনা এই জায়গা সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পেরে ভালো লাগলো।

ভাই মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বধ্যভূমি অনেক পুরনো এবং অনেক নামকরা। সময় পেলে এই জায়গাটিতে এসে ঘুরে যাবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।

রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে বেশ চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীদের মেরে গণ কবর দেওয়া হতো রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে‌। রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ঘুরাঘুরি মুহূর্তের আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

এই রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। হ্যাঁ ভাই এখানে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। অবশ্যই খুব শীঘ্রই পরবর্তী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

রায়ের বাজারের বধ্যভূমি বাহ,খুব সুন্দর নাম।আর এইরকম ঐতিহাসিক জায়গা দেখে ভালো লাগলো।আপনার তোলা ছবিগুলো সুন্দর ছিল।তাছাড়া আশা করি এখানে ঘোরাঘুরির মাধ্যমে দারুণ সময় পার করেছেন।কৃষ্ণচূড়া ফুল গাছ ও ক্রিকেট খেলার জায়গাটা খুবই ভালো লেগেছে আমার।ধন্যবাদ আপনাকে।

দিদি এই জায়গাটিতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের মানুষদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে এই জায়গাটিতে এনে গণ কবর দিতো। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য।