ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য "ডোপ টেস্ট" করাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে

in hive-129948 •  2 years ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২৬ ই এপ্রিল, বুধবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ডোপ টেস্টের প্রয়োজন হয়েছিলো তাই কুষ্টিয়ার সদর হাসপাতালে করাতে গেছিলাম ডোপ টেস্ট করাতে। আমি প্রায় সাত থেকে আট মাস আগে মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য লার্নার করে রেখেছিলাম তারপরে লিখিত, মৌখিক, এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষাগুলো দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। অনেকদিন ধরে এই ডোপ টেস্ট করানোর জন্য চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালেডোপ টেস্ট করা বন্ধ থাকায় দেরি হয়ে যাচ্ছিল।

তাই এবার ঈদ এসে ভাবলাম যেভাবেই হোক ডোপ টেস্ট করায় ড্রাইভিং লাইসেন্সটা সম্পন্ন করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ভালো একটি নিয়ম করেছে যে সকল পেশাদার ড্রাইভারদের লাইসেন্স করার পূর্বে ডোপ টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া লাইসেন্স সম্পন্ন হবে না। অতিরিক্ত দুর্ঘটেরানোর জন্যই বাংলাদেশ সরকারের বিআরটিএ অধিদপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করে পেশাদার মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সিদ্ধান্তটা খুবই ভালো একটি সিদ্ধান্ত।

কভার ফটো

GridArt_20230426_131100569.jpg

কয়েকটি ছবিকে একসাথে সংযুক্ত করে সুন্দর একটি ষ কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



20230426_083532.jpg

আজকে সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়েই সারে আটটার দিকে বাড়ি থেকে বের হলাম। সকালের মিষ্টি রোদ আর বাতাস খুবই সুন্দর লাগছিল মাঠের ভেতর দিয়ে আমাদের গ্রাম্য একটি রাস্তা বয়ে গেছে সেই রাস্তা দিয়ে গুটি গুটি পায় হাঁটতে থাকলাম মেইন রোডে যাওয়ার জন্য। মেইন রোডে যেতে মোটামুটি পাঁচ মিনিট সময় লাগে হেঁটে যেতে। মেইন রোডে না গেলে ভ্যান অথবা অটো পাওয়া যায় না। তারপর মেইন রোডে গিয়ে ভ্যানে উঠে ট্রেনে কুষ্টিয়া যাওয়ার জন্য স্টেশনে গেলাম। শাটল ট্রেনের রাইট টাইম নয়টা দশের দিকে। নয়টার ভেতরে ই আমি স্টেশনে পৌঁছে গেছিলাম।

20230426_091018.jpg

স্টেশনে যাওয়ার পরেই কাউন্টার থেকে শাটল ট্রেনের টিকিট ক্রয় করে নিলাম‌। খোকসা থেকে কুষ্টিয়া শাটল ট্রেনের টিকিটের মূল্য মাত্র ৬ টাকা। যদিও শাটল থেকে প্রচুর পরিমাণে বের হয়। কিন্তু বর্তমান বাজারে ৬ টাকা দিয়ে খোকসা থেকে কুষ্টিয়া যাওয়াটা একটু আচার্য বটে।

20230426_091157.jpg

শাটল টেন রাইট টাইমেই আমাদের খোকসা স্টেশনে এসে পৌঁছে গেল। আগেই জানতাম ট্রেনে বেশ ভালোই বিয়ে হবে কারণ সবেমাত্র কয়েকদিন হলো ঈদ শেষ হয়েছে। ভীরের ভেতর ট্রেনে উঠার সময় একটু সাবধানে উঠতে হয়। কারণ পকেটমার বা চোরের অভাব নেই ট্রেনের ভেতরে। তাই সাবধানে ভ্রমণ করাটা জরুরি।

20230426_095007.jpg

কুষ্টিয়া স্টেশনে আসতে মোটামুটি ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগলো। ট্রেন থেকে নেমে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের যাওয়ার জন্য অটোতে উঠলাম। অটোতে করে ১৫ টাকা ভাড়া নিল সদর হাসপাতালের সামনে নামায় দিল। হাসপাতালের সামনে নেমে দোকান থেকে জল আর গ্লুকোজ কিনলাম কারণ ডোপ টেস্ট করানোর আগে জল জাতীয় খাবার খাওয়ার দরকার আছে।

20230426_101445.jpg

তারপর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে একবারে জরুরী বিভাগের সামনে চলে গেলাম। তার পাশে এখান থেকে আমার এক পরিচিত দাদা কে ফোন দিলাম সে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে থাকতো জরুরী বিভাগে। তারপর সেই দাদা ফোন ধরে প্যাথলজি আগে যেতে বলল। সেখানে গিয়ে দেখিয়ে দাদার বর্তমান অবস্থান প্যাথলজি বিভাগ। আর আমার ডোপ টেস্টের জন্য ইউরিন সংগ্রহ করে প্যাথলজি বিভাগ।

20230426_125904.jpg

তারপর দাদার সাথে একটু কথা বললাম। তারপর কুষ্টিয়ার বিআরটিএ অফিস থেকে যে ডোপ টেস্ট করানোর জন্য অ্যাপ্লিকেশন দিয়েছিল স্মারক নাম্বার সহ সেটা জমা দিলাম। জমা দেওয়ার পরে ডোপ টেস্ট করানোর জন্য সরকারি ফি ৯০০ টাকা দেয়া লাগলো।

20230426_143749.jpg

তারপর টাকা জমা দেয়ার পর সরকারি এ রিসিটটা দিল। তারপর প্যাথলজি থেকে দিলীপ দাদা একটি কাঁচের টিউব হাতে ধরিয়ে দিল ইউরিন আনার জন্য। আমি বাথরুম থেকে ইউরিন এনে দাদার কাছে জমা দিয়ে দিলাম। আর দাদা বলল যে কালকে সকাল ৯ টার দিকে রিপোর্ট হয়ে যাবে। কালকে সকাল ৯ঃ০০ টায় দিকে রিপোর্টটা নেয়ার সময় এই রিসিটটা জমা দেয়া লাগবে। তাই আমি আজকে কুষ্টিয়াতে আমার পিসি মনির বাসায় থেকে কালকে রিপোর্ট নিয়ে বিআরটি তে জমা দিয়ে তারপরে বাড়ি যাবো।



পোস্টের ছবির বিবরন

ক্যামেরাম্যান@aongkon
ডিভাইসস্যামসাং জে-৭ প্রো
ক্যামেরা১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ২৬ ই এপ্রিল
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

অল্প টাকা এবং স্বস্তিতে ভ্রমণ করতে হলে ট্রেন ভ্রমণ সবচেয়ে উত্তম।ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ডোপ টেস্ট করাতে কুষ্টিয়া যাওয়ার বিষয়টি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আশা করি আপনি ড্রপ টেষ্ট রিপোর্ট নেগেটিভ পাবেন।

  ·  2 years ago (edited)

হ্যাঁ ভাই আমিও আশা করি ডোপ টেস্ট রিপোর্ট অবশ্যই নেগেটিভ আসবে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

ট্রেনের ভাড়া যে এত কম তা আমার জানা ছিল না। যা হোক আপনার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ডোপ টেস্ট করতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ একটা কথা ঠিক বলেছেন ট্রেনে ওঠার সময় খুবই সাবধানে থাকতে হয় কারণ পকেটমাররা চারিদিকে ঘোরাঘুরি করে। আর ঈদের সময় তো একটু বেশি ভিড় থাকে তাই একটু বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যাই হোক আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো আশা করি আপনার টেস্টের রিপোর্টগুলো সব পজেটিভ আসবে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

  ·  2 years ago (edited)

হ্যাঁ ভাই ট্রেনের ভাড়া খুবই সামান্য। আমি আশা করি অবশ্যই ডোপ টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে। ভাই ডোপ টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসা মানে ভালো আর পজেটিভ আশা মানে খারাপ। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

কিছুদিন আগে আমিও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে গিয়েছিলাম আমার পায়ের সমস্যার জন্য। অবশ্য তার নিকটস্থ ডায়াবেটিস সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছিলাম। যাইহোক আপনি বিশেষ কারণে কুষ্টিয়া শহরে এসেছিলেন আপনার দাদুর সাথে এবং তার পরীক্ষা করিয়েছেন। সস্তায় ট্রেন ভ্রমণ করতে পেরেছেন জেনে খুশি হলাম

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ডোপ টেস্ট করাতে এসেছিলাম ভাই। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই ‌।

এই পর্যন্ত আমি কখনো ট্রেন ভ্রমণ করিনি। যাইহোক আমার মনে হয় বাংলাদেশের সরকার এই আইটি করেছে ভালো হয়েছে। কারণ লাইসেন্স নিতে হলে ডোপ টেস্ট করাতে হবে। অনেক সময় অনেক ধরনের বিপদ হয়ে থাকে। এই টেস্ট গুলো যদি করানো থাকে তাহলে অনেক সুবিধা হয়। আপনি অন্যান্য পরীক্ষা সব পাশ করেছেন। আশা করি কালকে রিপোর্ট পাওয়ার পর খুব তাড়াতাড়ি আপনার লাইসেন্স হয়ে যাবে। আপনার অনুভূতি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

এখন ঈদের সময় এই কারণে সব জায়গাতে একটু যান জট থাকবে। ট্রেনে উঠে একটু সাবধানে ছিলেন ভালোই করলেন। তবে এখন সরকারে যে ডোপ টেস্ট চালু করেছে খুব ভালো করলো। কারণ যে কোন লাইসেন্স দেওয়ার আগে এসব জিনিস গুলো খেয়াল করলে ভালো। মানুষের আপদ বিপদের কোন গ্যারান্টি নেই। তবে আপনার মত আমিও একমত ডোপ টেস্টের চালু হওয়াতে ভালো হলো। তবে কোন কিছু পেতে হলে একটু কষ্টতে হয়। সব জায়গাতে আপনি ভালো করেছেন। এইবার ডোপ টেস্ট আশা করি পজেটিভ আসবে। অনেক সুন্দর করে পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু ডোপ টেস্ট পজিটিভ আসলে তো সমস্যা। আমার ডোপ টেস্টের রেজাল্ট পেয়ে গেছি নেগেটিভ এসেছে। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

আমার তো মনে হয় আপনার একসাথে দুটো কাজ হয়ে যাচ্ছে, ডোপ টেস্টের রেজাল্ট নেওয়ার পাশাপাশি পিসির বাড়িতে ঘোরাঘুরি । হিহিহিহি। ড্রাইভিং লাইসেন্সটা ঠিকঠাকভাবে করে নিচ্ছেন এটা এদিক দিয়ে ভালো। আমি আলসেমি করে করি নি। এখন আফসোস লাগে। একটা কথা জানার ছিল ভাই, সবাই বলে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে নাকি দালাল ধরে টাকা দিয়ে করতে হয়। আপনার বেলাতেও কি এরকম কিছু হচ্ছে?

হ্যাঁ দাদা একবারে দুটো কাজ হচ্ছে। দালাল ধরার ইচ্ছা ছিল না বলেই তো আজ এক বছর ধরে অন্তত ১৫ বার ঘুরেছি বিআরটিএ অফিসে। এতটা পরিমাণ ঘুরা লাগছে যে এখন আমার কাছে বিরক্ত লাগছে। ঘুরতে ঘুরতে দালাল যে টাকা চায় তার থেকে বেশি খরচ পড়ে যায়। দালাল ধরলে দুই মাসের ভেতরেই হয়ে যায় আমার মনে হয় এত ঝামেলা করার থেকে দালাল ধরে করাই ভালো।

এই দেশে এসব লিগ্যাল ভাবে কাজ হয় না ভাই, কেন কষ্ট করতে গেছেন মিছেমিছি। যাই হোক ভালো ভাবে সব হোক এটাই চাওয়া।

লিট্যাল ভাবে করতে যেয়েই তো ইলিগ্যাল ভাবে কত টাকা দিলাম। আপনি যেভাবেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যান ইলিগ্যাল ভাবে টাকা দেওয়ায় লাগবে। আর এসব আমাদেরকে মেনে নিতেই হবে।