আমাদের এইদিকে কিছুদিন আগে এক ঝড় বয়ে যায়।যা আমরা যারা বাংলাদেশে আছি তারা সবাই টের পেয়েছি।কিন্তু ঝড়ের পর থেকে আবহাওয়া বেশ পরিবর্তন হয়েছে। ঝড়ের পরদিন সারাদিনই বেশ পরিবেশ ঠাণ্ডা ছিল।কিন্তু এরপর থেকেই আবহাওয়ায় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।মাঝে মাঝেই আকাশ মেঘ করছে,কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না।আবার মাঝে মাঝেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যাচ্ছে ।সাথে রৌদ ও আছে।এই রকম আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সারাদিনই এই হঠাৎ গরম আবার হটাৎই ঠাণ্ডা লাগছে।তবে সবচাইতে খারাপ লাগে যখন বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যায়।তখন শুরু হয় যাকে বলে ব্যাপসা গরম।এই সময় ঘরে ,বাইরে কোথাও থেকেও আরাম পাওয়া যায় না। জলবায়ু পরির্তনজনিত কারণে আসলে এমনটা হচ্ছে যা আমরা সবাই জানি।
https://pixabay.com/photos/sky-clouds-backlighting-cloudy-1122414/
এই রকম ভ্যাপসা গরমে শরীল মন কোনো টাই ভালো থাকে না । মেজাজ খিটখিটে থাকি সবসময়।অল্প কিছুতেই রাগ উঠে যায়।তবে সবার ক্ষেত্রেই এমন হয় না।অনেকে আছে যাদের গ্রীষ্ম কাল ভালো লাগে - যাদের বলে সামার লাভার,তাদের কাছে হয়ত এমন পরিবেশে খুব বেশি কষ্ট হয় না।
তবে এমন পরিবেশে সবচাইতে বেশি কষ্ট হয় দিনমজুর দের।যারা সারাদিন ক্ষেতে,মাঠে,বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে তাদের।আমি একজন স্টুডেন্ট।আমি নিজে সপ্তাহে চার দিন ভার্সিটি যায় বাসে জার্নি করে।আমার কাছেও এমন আবহাওয়া থাকলে চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়,শরীল খারাপ লাগে। অল্পতেই শরীলে ক্লান্তি এসে যায়।আর যারা খুলা মাঠে কাজ করে তাদের কতটা কষ্ট হয় তা বলাই বাহুল্য।
এই জলবায়ু মানুষের অনুকূলে আনতে আমাদের উচিত নিজ উদ্দুগে বেশি বেশি গাছ লাগানো।যে যেখানেই জায়গা পাই আমাদের উচিত সেই সেই জায়গায় গাছ লাগিয়ে পরিবেশটা সবুজে ঘিরে ফেলা। তাতে পরিবেশে যেমন কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমবে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়বে সাথে সাথে পাখিদের আবাস স্থল বাড়বে। দৈনন্দিন জীবনে স্বাচ্ছন্দে বসবাসের, চলাফেরার জন্য আমাদের সুস্থ ভাবে বেশি থাকার জন্য আমাদের বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।যত পারা যায় গাছ কাটা থেকে বিরত থাকতে হবে ।তাহলেই হয়ত আমরা সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশ পাবো ।
সবাই ভালো থাকবেন।সবাই বেশি বেশি গাছ লাগানোর চেষ্টা করবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit