হ্যালো ,আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যগণ সকলেই কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছি।বেশ অনেকদিন হয়ে গেছে আমি কোনো পোস্ট করি নাই। আসলে পারিবারিক একটু সমস্যার কারণে নিজের মন মানসিকতা কোনটাই ভালো ছিল না।কিছু যে পোস্ট করব সেই জন্য মনটাকে স্থির করতে পারতেছিলাম না।তবে আজকে থেকে আবার নিয়মিত পোস্ট করার চেষ্টা করবো।
বেশ অনেকদিন বাসা থেকে বের হই না। তবে কিছুদিন আগে এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম রবীন্দ্র সরোবরের উদ্দেশে। আমার বাসা থেকে রবীন্দ্র সরোবর বেশ দূরেই। প্রায় এক ঘন্টার মত সময় লাগে যেতে । চিন্তা করলাম সন্ধ্যার দিকে যাবো।পরে আবার মাইন্ড চেঞ্জ করলাম।বললাম বিকেলের দিকেই যাই।তাই বিকেল বেলা বাসা থেকে বের হয়ে রিকশা দিয়ে যাই শেওরাপাড়া। সেখানে নেমে আবার বাসে উঠি খামার বাড়ি যাওয়ার জন্য। আমার বন্ধুকে খামার বাড়ি দাঁড়াতে বলছিলাম।সে সেখানে আমার আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। বাস থেকে নেমে বন্ধুকে সাথে নিয়ে রওনা দেই সরোবরের দিকে। আমার দুই জন জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে হেটে হেটে একটা সময় রিকশা নিয়ে সরোবর পৌঁছাই।
রবীন্দ্র সরোবরের গিয়েই দেখি অনেক মানুষ। আমরা ভাবলাম আজকে কোনো প্রোগ্রাম আছে হয়ত।পরে বুজতে পারলাম বাংলাদেশে আন্দোলন চলা কালীন সময়ে যারা শহীদ হয়েছেন, সেই শহীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হবে। শুনে আমারও খুব খুশি হয়ে গেলাম। ভাবলাম আমরা একটা ভালো দিনেই এসেছি। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম সন্ধ্যা সাতটার দিকে। আর মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়েছিল ৮.৪০ এ। এই সময়ের মাঝে আমরা বসে চা খাই , গল্পগুজব করি।
এই সময় সবাই একত্রিত হয়নি।সবাই সবার মত বসে আড্ডা দিচ্ছিল।তবে সেখানে বড় ছোট সবাই উপস্থিত ছিল। পরিবেশটা উপভোগ করার মত ছিল।কিছু ভাইয়েরা বসে গানের আসর জমিয়ে ফেলেছিল। তারপর রাত ৮.৩০ এর দিকে সবাই একত্রিত হয়। আমাদের মত অনেকই জানতোনা বিধায় অনেকই মোমবাতি আনি নাই । সেখানে দোকানগুলোতে অনেক খুঁজেও কোন মোমবাতি পাই নাই।সবাই বলে মামা , যা ছিল সব শেষ।তবে আর কিই বা করার। অনেকের মত আমরাও মোমবাতি ছাড়া সবার সাথে দাঁড়ায়।অনেকই অনেক বক্তব্য দেয়। তারপর সবাই শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করি।
মোমবাতি প্রজ্বলন অনুষ্ঠান শেষে সবাই মিলে দেশত্ববোধক গান গেয়ে গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ করে দেয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষেও অনেকই বসে নানান ধরনের গান ধরে এবং সাথে অনেকই মিলে আমরা গান গাই। সকলের অংশগ্রহণে বিশাল এক গানের আসর এর মত হয়ে যায় জায়গাটি। মনে হচ্ছিল যেন আমি কোন গানের অনুষ্ঠান দেখতে এসেছি। রাত দশটার দিকে বাসার উদ্দেশে রওনা দেই।রাত ছিল বলে রাস্তায় তেমন জ্যাম ছিল না। আধঘন্টার মাঝেই বাসায় চলে আসি। যত সময় রবীন্দ্র সরোবরে ছিলাম ততক্ষণ পুরো সময়গুলো খুবই ভালো কেটেছে। এতদিন পর এইদিনটি আমার মনটাকে একটু ভালো করছে। দিনটি আমার জন্য খুব দরকার ছিল।
সকলেই সকলের জন্য দোয়া করবেন।সবাই ভালো থাকবেন।সবাই বেশি বেশি গাছ লাগানোর চেষ্টা করবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
আমি আরাফাত হাসান সৌনক। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টেরএকজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি।আমি আমার পরিবারকে খুব ভালোবাসি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit