হ্যালো ,আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যগণ সকলে কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি বেশ কয়েকদিন যাবৎ ই নিয়মিত পোস্ট করতে পারতেছি না আমার কিছু পারিবারিক কারণে। মূলত খুবই ব্যস্ত ছিলাম কয়েকদিন যে পোস্ট করার কথা মাথা থেকেই চলে গেসিলো।সারাদিন থাকতাম দৌড়াদৌড়ির উপর, আর রাতে কাজ শেষ করে বাসায় আসতাম এগারোটা বারোটার দিকে। এসে খেয়ে শুইয়েই ঘুমিয়ে যেতাম ।সাথে সাথে ছিল ঢাকা টু ময়মনসিংহ নিয়মিত জার্নি, শরীরে ক্লান্তি যেন কিছুদিন সাথে আঠার মত লেগে ছিল। যাই হোক বেশ অনেক কষ্ট করার পর যে কাজ নিয়ে এত দৌড়াদৌড়ি করছি তা মোটামুটি সম্পন্ন হওয়ার পথেই।মাঝে বেশ কয়েকদিন ভার্সিটির ক্লাসও মিস দিতে হয়েছে কাজের চাপে কারণে।
সেই কাজ শেষ করে আবার ভার্সিটির ক্লাসে নিয়মিত হয়ে উঠেছি।তবে এখন ভার্সিটিতে নিয়মিত পরীক্ষা, সাথে সাথে প্রত্যেক কোর্সের এসাইনমেন্ট জমা দিতে হচ্ছে।আজ দুইটা ক্লাস ছিল, তার মাঝে একটা ছিল ল্যাব ক্লাস। গত দুই তিনদিন যা গরম পড়ছিলো আমরা সবাই তো ভাবলাম আজকে হয়ত ক্লাসগুলো অনলাইনে নিবে।কিন্তু ল্যাব থাকায় তা করা হয় নাই।তবে সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আবহাওয়ার তাপমাত্রা কমে গেছে।আজকে সকালে ভার্সিটি যাওয়ার পথি মধ্যে পুরো ধুলাবালির ঝড়ের মাঝে পরে গেসিলাম। নতুন বাজার থেকে আমাদের ভার্সিটি যাওয়ার রাস্তায় কাজ চলতেছে বলে রাস্তায় আরও বালির পরিমাণ বেশি ছিল । আমরা তিনবন্ধু রিকশা দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি অনেক বাতাস এবং সামনের রাস্তা পুরো বালি দিয়ে ছেয়ে গেছে। কিছুই দেখা যাচ্ছে না বালির কারণে। রিকশা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে, তারপর আবার যাত্রা শুরু করি। কিন্তু সেই ঝড় থামলেও বাতাসের সাথে সাথে বালি আসতেই থাকে। ব্যাগ দিয়ে মুখ চোখ ঢাকি, তবে তাতেও বালি চোখের মাঝে ডুকে যায়। শরীল বিশেষ করে চুলগুলো মনে হচ্ছিলো যেন আঠার মত হয়ে গেছে এমন পরিমাণে বালি গেছে চুলের মাঝে।
সেই সময় মোবাইল বের করার সময় সুযোগ কিছুই পাই নাই।তবে হালকা ঝড় থামার পর একটা কোন ভাবে ব্যাগের চিপা দিয়ে এই একটা ছবি তুলতে পড়েছিলাম। ছবিতে দেখতেই পারতেছেন বালিতে পুরো চারদিক সাদা হয়ে গেছে।তবে অমরা ভাবছিলাম খুব হয়ত ভারী বৃষ্টি হবে , কিন্তু তেমন বৃষ্টি হয় নাই। হালকা বৃষ্টি হয়েছে।তবে সেই প্রচণ্ড গরম আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে গেছে। সারাদিনই আজকে আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে ছিল। আজকের মত এমন বলতে গেলে বালি ঝড়ের আমি কখনো সম্মুখীন হয়নি। মোবাইলে বিভিন্ন জায়গার ভিডিও দেখেছি কিন্তু আজকে তা নিজ চোখে দেখেছি। ভার্সিটি যেয়ে দেখি সারা শরীল বালিয়ে পুরো কালো প্যান্ট সাদা হয়ে গেছে। মুখে তো বালির ম্যাকআপ হয়ে গেছিলো পুরো।
এই ছবিটি সকাল বেলার যখন ভার্সিটির সামনে প্রায় চলে আসি ।মনে হচ্ছিলো এই বুঝি বৃষ্টি মুসূলধারে নেমে আসতেছে। কিন্তু যাই হোক ভালো ভাবেই ভার্সিটি পৌঁছাই এবং পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই হালকা বৃষ্টি শুরু হয়।এমন বৃষ্টি বলতে গেলে সারাদিনই ছিল ।তবে আজকে বাতাস ছিল খুবই ঠাণ্ডা, সবাই আজকের আবহাওয়া খুবই উপভোগ করেছে। আর করারই কথা কয়েকদিন যাবত যা গরম পড়ছিল। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আজকের আবহাওয়া খুবই উপভোগ করার মত ছিল এবং মানুষের জীবনে আবার স্বস্তি ফিরে এসেছে । এইরকম গরম যদি আর কিছুদিন থাকতো মানুষ হয়ত বাসার থেকে হাসপাতালে বেশি বর্তি হয়ে থাকতে হতো নানান অসুখে। আমার নিজেরই গরমে বার বার ঠান্ডা পানি এবং ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেতে খেতে গলায় খুসখুসে কাশি এবং ব্যাথাও শুরু হয়েছিল।চা খেয়ে খেয়ে সেই ব্যাথা দূর করেছি। যাই হোক আজকের দিনটির অভিজ্ঞতাও ছিল নতুন। জীবনে এমন ঝড় ঝাপটা আসবেই । সবশেষে সবচাইতে ভালো বিষয় হচ্ছে যে, সেই প্রচণ্ড গরম থেকে আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি। জানিনা তা কয়দিন স্থায়ী থাকবে। আশা করি এই রকম গরম যেন আর না পড়ে এবং আবহাওয়া যেন সবার অনুকূলে থাকে।
সবাই ভালো থাকবেন। সকলে সকলের জন্য দোয়া করবেন।সবাই বেশি বেশি গাছ লাগানোর চেষ্টা করবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের এখান দিয়ে প্রচুর পরিমাণে ঝড় হয়ে গেছে। এখানে অনেকের অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং সকলেরই ছোটখাটো ক্ষতি হয়েছে । অতিরিক্ত গরমের পর বৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহতালা আমাদের পরিবেশটাকে ঠান্ডা করে দিয়েছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি ভাই , অতিরিক্ত গরমের পর বৃষ্টি আল্লাহর নিয়ামত। ঝড় আসলে কারো না কারো ছোট বড় ক্ষতি হয়ই।তবে ঝরে যাদের ক্ষয়, ক্ষতি হয়েছে আল্লাহর যেন তাদের সহায় হয়।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের এখানেও সেদিন ধুলিঝড় হয়েছিলো।বাতাসের সাথে কি পরিমাণ ধুলোবালি তা বলার মতো নয়।এর মধ্যে পুরো বাসা দুলাভাই হয়ে গেলো।অতিরিক্ত গরমের কারণে ঠান্ডা জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর হয়ে যায়।ওইটুকু সময় আরাম লাগলেও পরবর্তী সময় অনেক কষ্টদায়ক হয়ে যায়।ধন্যবাদ ভাইয়া অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য। জ্বি আপু ঐদিনের বাতাসের সাথে প্রচুর পরিমানে বালি ছিল । আর আশেপাশের বাসা বাড়িতে হয়ত বালির ঘরে ডুকে ঘরের অবস্থা বারোটা বাজিয়ে দিসে।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit