হ্যালো ,আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যগণ সকলে কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।তবে বেশ কয়েকদিন যাবৎ হলো শরীল মন কোনটাই ভালো নেই।বলতে পারেন হয়ত বন্যার জন্য। বন্যার জন্যও সাথে সাথে পারিবারিক কিছু কারণে। আবার সাথে আমার বন্ধু ত্রাণ দিতে গিয়ে আসার পথে খুব মারাত্মক ভাবে এক্সিডেন্ট করে।খুব কপাল ভালো ছিল বলে কেউ মারা যায় নি। ওরা ১৪ জনের একটা টিম গিয়েছিল ওদের ভার্সিটি থেকে। তাদের যা যা দায়িত্ব ছিল সবই তারা ভালো ভাবেই করতে পেরেছে কিন্তু আসার পথে গত মঙ্গলবার রাত ১.৪০ এর দিকে এক পিকআপের সাথে আর একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।আমার বন্ধুদের সাথে থাকা বন্ধুদের ভাষ্য মতে এক্সিডেন্ট হওয়ার সাথে সাথেই ও অজ্ঞান হয়ে যায়।একটা সময় ওরা ভাবসিল আমার বন্ধুর হয়ত বুকের পাঁজরের প্রায় সব হার ভেঙে গেছে।
হয়ত তাদের ভালো কাজের কারণে তারা হয়ত এইবারের মত বেঁচে গেছে। গাড়ির সামনের বডি পুরো চেপ্টা হয়ে গেছে । সামনে থাকা দুইজন সাথে ড্রাইভার খুব মারাত্মক ভাবে আহত হয়।যে ভাবে গাড়িটির বডি চেপ্টা হয়েছিল তারা ভাবসে হয়ত তাদের পা কেটে তাদের ৩ জনকে বের করতে হবে। যাই হোক আল্লাহর রহমতে আরেকটি গাড়ি যাওয়ার সময় তা লক্ষ্য করে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করে। ঐ গারিতে চেইন আটকে দ্বিতীয় গাড়ি দিয়ে জুড়ে টান দেয় এতে গাড়িটির সামনের বডি একটু খুলে যায়। এতে তাদের বের করে নেয়া হয়।
আমার বন্ধু থেকে উত্তরা। আমার বাসা মিরপুর। আমার বন্ধুর রুম মেট আমাকে রাতে কল দিয়ে জানায় ভাই এই অবস্থা। তারাও জানতে পারে প্রায় ৩ টার দিকে।আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করি , বলি যে আমরা কয়েকজন রওনা দেই এম্বুলেন্স নিয়ে।কিন্তু তারা মানা করে, বলে আমরা হালকা ট্রিটমেন্ট নিয়েছে এবং এম্বুলেন্স ম্যানেজ হয়েছে , আমরা উত্তরার দিকে রওনা দিচ্ছি।মানুষ যে বলে , বিপদ আসলে সব জায়গা দিয়েই আসে কথাটা আসলেই সত্যি। এত রাতে কুমিল্লা থেকে আসতেই বা আর কত সময় লাগে।কিন্তু রাস্তায় এত জ্যাম ছিল যে , তারা উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে আসে প্রায় সকাল এগারোটার দিকে। হাসপাতাল সবার বন্ধুবান্ধবে পুরো ভরে গেসিলো।এত জন স্টুডেন্ট তাদের সকল ভার্সিটির বন্ধুবান্ধব সকলেই হসপিটালে চলে এসেছিল।
কিন্তু যাই হোক কেউই খুব বেশি মারাত্মক আহত হয়নি।তবে একজন মাথায় খুব আঘাত পেয়েছে।তাকে পুরো ১ মাসের বেড রেস্ট দিয়েছে।শুধু বাথরুমে যাওয়া আর গুসল, খাওয়া ছাড়া বাকি সব সময় তাকে শুয়েই থাকতে হবে , এটাই নাকি তার মেইন মেডিসিন। আমার বন্ধুর ও সাতদিনের বেড রেস্ট দিয়েছে।সে বুকে খুব আঘাত পেয়েছে। নিঃশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো। আমরা কয়জন মিলে সারারাত হাসপাতালে ছিলাম। বন্ধুর বাবা নেই, সে পরিবারের বড় ছেলে।তাই সেই মুহূর্তে তার মাকে জানাতে বারণ করেছিল।আজকে সে রিলিজ পেয়েছে।সে এখন মোটামুটি সুস্থ।তবে তাকে নিয়মিত মেডিসিন এবং একটা ব্যায়াম করতে দিয়েছে। বলেছে বুকে ব্যথা থাকবে মেডিসিন খাওয়ার পরও।তবে মাস খানেক গেলে আসতে আসতে ঠিক হয়ে যাবে। যাই হোক আমার বন্ধু এবং তার সাথে যারা ছিল তাঁদের যে বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি এইটাই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।এই কয়েকদিন যাবৎ শুধু হাসপাতালেই দৌড়ের উপর ছিলাম। কয়েকদিন নিজের এবং আমাদের আরো বন্ধুবান্ধব দের উপর দিয়ে যা গেছে তা বলার মত না।এই কয়েকদিন কোন পোস্টও করতে পারি নাই।এত কিছুর ভিতর পোস্ট করার কথা মাথায় থাকারও কথা না।
সবাই ভালো থাকবেন। সকলে নিরাপদে চলাচল করার চেষ্টা করবেন।সবাই বেশি বেশি গাছ লাগানোর চেষ্টা করবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
আমি আরাফাত হাসান সৌনক। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টেরএকজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি।আমি আমার পরিবারকে খুব ভালোবাসি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit