নতুন সেমিস্টার শুরু||

হ্যালো ,আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যগণ সকলে কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আজ দীর্ঘদিন পর পোস্ট করতেছি। নিজের কিছু কারণে পোস্ট করার জন্য মনস্থির করতে পারি নাই।মন ভালো না থাকলে কিছুই ভালো লাগে না । সেটা যাই হোক না কেনো, সেই কাজে মন বসানো খুবই কষ্টকর বলে আমি মনে করি।আমি যখন খুবই ঝামেলার মাঝে থাকেন তখন দেখবেন চারদিক থেকে যেনো কোথা থেকে আরও নানান ঝামেলা এসে হাজির হচ্ছে। তখন আপনি কোনটা রেখে কোনটা আগে সামাল দিবেন তাই ঠিক করতে উঠতে পারবেন না।আমিও কিছুটা এমন পরিস্থিতির মাঝে ছিলাম। যাই হোক সেই সব জঞ্জাল ঝেড়ে ফেলে আবার নিয়মিত পোস্ট করার চেষ্টা করবো। কিছুদিন আগেই আমার প্রথমবর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে।এরপর আটদিন মনে হয় বন্ধ ছিল। খুবই স্বল্প সময় ছুটি পাই আমরা। সেই ছুটি খুবই দ্রুত শেষ হয়ে যায়। গতকাল থেকে আবার নতুন সেমিস্টার শুরু হয়ে যায় আমাদের। আবারও সেই যান্ত্রিক জীবনে ফিরে আসতেই হয়।

যেহেতু এইবার সেমিস্টার ব্রেকের সময় খুবই কম ছিল , তাই সবাই খুব দ্রুতই ঢাকা চলে আসি।সবাই আবার নতুন উদ্যমে ক্লাসে ফিরে যাই। সবার মুখে একই কথা ছিল , এই সেমিস্টারের ছুটি এত কম ছিল যে বাড়িতে যেতে আসতেই মনে হলো সময় শেষ হয়ে গেলো। যাই হোক বাস্তবতাকে স্বীকার করে আবার নতুন ক্লাসে ফিরে যাই। প্রথম দিন আমার তিনটা ক্লাস ছিল। সকাল এগারোটা থেকে একটা, সেটা শেষ হয় বারোটা পঞ্চাশে। এরপর একঘণ্টার ব্রেক ছিল এরপর টানা সাড়ে চারটা পর্যন্ত ক্লাস ছিল।

প্রথম দিন নতুন নতুন টিচারদের সাথে সবাই পরিচিত হই। প্রথম দিন দেখে সকল টিচাররা অল্পই পড়িয়েছে।সব জায়গায় হয়ত এমনই হয়।প্রথম দিন পরিচয় পর্বই হয়।সবাই সবার পরিচয় দেয় টিচারকে। টিচার সবার উদ্দেশ্যে উপদেশ মূলক কথাবার্তা বলেন। কিছুদিন ব্রেকের পর আবার ক্লাস করে তাও আবার সকাল থেকে টানা ক্লাস ক্লাস করে সবাই আমার একটু ক্লান্ত হয়ে যাই। সাড়ে চারটায় ক্লাস শেষ হয়, ক্লাস শেষে বন্ধুরা মিলে আমরা আমাদের ভার্সিটির গ্যালারীতে বসে আড্ডা দেই। এরপর সবাই আবার বাসার উদ্দেশে রওনা দেই। বিকেলের দিকে ভার্সিটি থেকে আসতে আরও বেশি কষ্ট হয়। কেননা এই সময় অফিসও শেষ হয় এবং রাস্তায় ব্যাপক জ্যাম পরে। সেই জ্যাম ঠেলে বাসায় আসতে আসতে বেশ অনেক সময় লাগে।

এটাই জীবন কিছুদিন নিজ বাড়ির শান্তি উপভোগ করার পর আবার যান্ত্রিক জীবনে ফিরে আসতে হয়।এই যান্ত্রিক জীবনকেই নিজের জীবনের পরম বন্ধু বানিয়ে নিতে হয়। এইভাবেই যান্ত্রিক জীবনকে সঙ্গে নিয়েই হয়ত জীবনের একদিন সমাপ্তি ঘটবে।
সবাই ভালো থাকবেন।সবাই বেশি বেশি গাছ লাগানোর চেষ্টা করবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।