কয়েকদিন আগে বাড়িতে গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল ভালোবাসার মানুষদের কাছে কিছুটা সময় কাটানো। বাসায় গিয়ে ৫ দিন ছিলাম। এই পাঁচ দিন যে কেমন করে চলে গেল তা বোঝাই গেল না। বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরা ঘুরি, পরিবারের মানুষদের সাথে সময় কাটানো এবং বড় ভাইদের সঙ্গে আড্ডা দেয়া- সব মিলিয়ে ভালোই কাটলো এবারের ছুটি।
ছুটি কাটিয়ে এবার বগুড়ায় ফেরার পালা। ছুটি বিষয়টা উপভোগ করার মতো হলেও, বেশি দিন ছুটি কাটালে এক ঘেয়েমি চলে আসে। বলা হয়ে থাকে সাধের অল্পই ভালো। ঠিক তেমনি আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো অল্প সময়ের জন্যই হয়। পরিবারের সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে বাড়ি থেকে বেরোলাম। আমার বেরিয়ে আসার সাথে সাথে আমার মাও আমার সঙ্গে আসলো। মা চাচ্ছিল আমি আরো কিছুটা দিন বাড়িতে থেকে যাই। কিন্তু পড়াশোনার চাপের জন্য আমার বগুড়া যাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গাড়িতে ওঠার পর মা বললো- সাবধানে যেও,যুগ যামানা ভালো নয়,ঠিক মত খাবার খেও । বগুড়া যাওয়ার সময় আমারও খুব খারাপ লাগছিল। রাস্তার মধ্যে গাড়িতে থাকা কালিন সময়ে বাড়িতে কাটানো স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভাসতে লাগলো। বিশেষ করে মায়ের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছিল। সব ছেলে মেয়ের জন্য সব সময় তিনি চিন্তায় থাকেন। এসব স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভাসতে ভাসতে চলে আসলাম বগুড়া শহরে। তারপর রিক্সা নিয়ে মেসে গেলাম।
বাবা মা এত কষ্ট করে আমাকে বাইরে পড়াচ্ছেন। তাদের প্রতিদান এর জন্ম হলেও ভালোভাবে পড়াশোনা করা উচিত। তাদের হাড়ভাঙ্গা খাটুনির টাকা দিয়ে আমার পড়াশুনার খরচ বহন করছেন। যাতে ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারি। পরিবারের সবার মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।