আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো মধ্যে যুগের কিছু গৌড় নির্মানের কথা...
প্রথমে বলব - ষাটগম্বুজ মসজিদ ‚ বাগেরহাট -
বাগেরহাট জেলার ‘ ষাটগম্বুজ মসজিদ ’ বাংলার মুসলমান শাসনকালের গৌরব বৃদ্ধি করেছে | খান জাহান আলীর সমাধির তিন মাইল - পশ্চিমে ষাটগম্বুজ মসজিদ অবস্থিত | অবশ্য এর গম্বুজ ষাটটি নয় সাতাত্তরটি | পনেরো শতেকের মাঝামাঝি সময়ে এটি নির্মিত হয়েছিল | তুর্কি সেনাপতি ও ইসলামের একনিষ্ঠ সাধক উলুখ খান জাহান এ মসজিদ নির্মান করেন | এই স্থাপত্য কর্মটি জাতিসংঘের ইউনেস্কো কতৃর্ক বিশ্ব সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে ( ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ) স্বীকৃত হয়েছে
দ্বিতীয়ত হলো - আদিনা মসজিদ , গৌড় -
আদিনা মসজিদ , গৌড় -
সাধীন বাংলার মুসলমান সুলতানদের রাজধানী প্রথমে ছিল গৌড় ‚ পরে পান্ডুয়া এবং এরপর আবার গৌড় | কাজেই এ দুই শহরেই প্রথমে মুসলিম ঐতিহ্যের স্থাপত্য নিদর্শন গড়ে ওঠে ছিল | ১৩৬৯ খ্রিস্টাব্দে সুলতান সিকান্দার শাহ আদিনা মসজিদ` নির্মান করেন | এ মসজিদের উওর পাশে সিকান্দার শাহের কবর নির্মিত হয়েছিল | আদিনা মসজিদ মালদহে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি সিরিয়ার উমাইয়া মসজিদের আদলে তৈরি। এটি তৎকালীন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মসজিদ | মধ্যযুগের রাজা ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির আমলের মসজিদ | এগারো শতক থেকে বাংলায় ইসলাম ধর্ম প্রচার করা জন্য সুফি সাধকগন আসতে থাকেন
তৃতীয়ত হলো - এক লাখি মসজিদ পান্ডুয়া -
এক লাখি মসজিদ ‚পান্ডুয়া | সুলতান জালালউদ্দিনের শাসন কালের উল্লেখযোগ্য কীর্তি পান্ডুয়ার এক লাখি মসজিদ
| এর নির্মাণ কাল ১৪১৮ - ১৪২৩ খ্রিস্টাব্দে | প্রবাদ আছে যে তখন কার দিনে এক লাখি মসজিদে
নামে পরিচিত হয়েছে | এ মসজিদ আসলে একটি কবর | এ সমাধি-সৌধে তাঁকে স্ত্রী- পুএদের সমাহিত করা হয় | একলাখী সমাধিসৌধ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার পান্ডুয়ায় অবস্থিত একটি সমাধিসৌধ
চতুর্থত হলো - ছোট সোনা মসজিদ ‚ গৌড়
গৌড় শহরের দক্ষিণ প্রান্তের বতর্মান ফিরোজাবাদ গ্রামে ‘ছোট সোনা মসজিদ ’ নির্মিত হয়েছে | এ মসজিদটি ছিল আকারে ছোট | তবে এ মসজিদেও সোনালি রঙের গিলটির কারুকার্য ছিল | সম্ভবত এ কারনেই এটি ছোট সোনা মসজিদ নামে পরিচিত | প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় নগরীর উপকণ্ঠে পিরোজপুর গ্রামে এ স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিল, যা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার অধীনে পড়েছে। সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ এর শাসনামলে (১৪৯৪-১৫১৯ খ্রিষ্টাব্দে) ওয়ালি মোহাম্মদ আলি নামে এক ব্যক্তি এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।
পঞ্চম তম হলো - দাখিল দরওয়াজা ‚ গৌড়
মসজিদ ও সমাধি-সৌধ ছাড়াও এ যুগের নির্মিত বিভিন্ন তোরন-কক্ষ ও মিনার মুসলমান বাংলার স্থাপত্য শিল্পের উৎকৃষ্ট নিদর্শন | এদের মধ্যে রুকনউদদিন বরবক শাহ নির্মিত গৌড়ের দাখিল দরওয়াজা ‚ ও আলালউদ্দিন হুসেন শাহের সমাধি - তোরন বিশ্বের উল্লেখযোগ্য | গৌড়ের ফিরোজ মিনার ‚ স্থাপত্য শিল্পের আর একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন | অনেকে মনে করেন যে‚ হাবসি সুলতান সাইফুদ্দিন ফিরোজ শাহ এটি নির্মান করেন |
[ আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আরও ভালো পোস্ট করতে পারি ]
Good Bay
আপনি কমিউনিটি রুলস ভঙ্গ করেছেন। আপনি নিজের ফটো অথবা কঁপিরাইট ফ্রী ফটো ছাড়া আপনার পোষ্টের মধ্যে ব্যবহার করতে পারবেন না।
কমিউনিটির নিয়মাবলী :
https://steemit.com/hive-129948/@rme/last-updated-rules-of-amar-bangla-blog-community-16-aug-22
যে কোন বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে Discord এ যোগাযোগ করুন।
Discord server link: https://discord.gg/ettSreN493
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit