জেনারেল রাইটিং):- শৈশবে বাবার সাথে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার গল্প।

শুভ রাত্রি,

আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশাকরি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো):-শৈশবে বাবার সাথে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার গল্প। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আসলে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তেমনি আমার ও ছোট বেলায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরার একটি গল্প মনে পড়ে গেলো। তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আসলে আমি যখন ছোট ছিলাম। তো তখন দেখতাম আব্বু বিভিন্ন জায়গায় টিকেট কেটে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতো। টিকেটের সময় ছিলো একদিন এক রাত তারা বড়শি দিয়ে মাছ ধরতো।

তবে এই টিকেট কেটে মাছ ধরা দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগতো। এজন্য একদিন আমি আব্বুর সাথে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য বায়না ধরলাম। তবে রাতে মাছ ধরার জন্য আব্বু আমাকে নিতে রাজি হলোনা। তারপর আমি বললাম ঠিক আছে তাহলে দিনের বেলা নিয়ে যেতে হবে। এরপর আব্বু বললো ঠিক আছে তুমি এখন ঘুমাও দিনের বেলায় তোমাকে নিয়ে যাবো। এরপর আমি ঘুমিয়ে পরি তবে পরের দিন মাছের প্রজেক্ট আমাদের বাসার একটু কাছে থাকার জন্য। সকালে একাই চলে গিয়েছে সেই মাছের প্রজেক্ট এ।

আসলে গিয়ে দেখি অনেক মানুষ এক সাথে পুরো মাছের প্রজেক্ট এর চারি পাশে বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতেছে। আসলে এই দৃশ্যটা দেখতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিলো। আর একটু পর পর একক জন বড়শিতে বড় বড় মাছ ধরতেছে। এরপর আমি অনেকক্ষন ধরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মাছ ধরা উপভোগ করলাম। তারপর আমি আব্বুর কাছে গিয়ে বললাম আমিও মাছ ধরবো। তখন আব্বু আমাকে ছোট একটি বড়শি দিয়ে এক পাশে বসিয়ে দিলো। তবে আমি তেমন মাছ ধরতে পারি না।

এরকম ভাবে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। কিন্তু আমি একটাও মাছ ধরতে পারলাম না। তবে দেখতে পেলাম কিছুক্ষণের মধ্যেই আব্বুর বড়শিতে অনেক বড় একটা মাছ ধরা পরেছে। এবং মাছটি অনেক ছুটাছুটি করতেছে বড়শি ছিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর অনেকক্ষণ ছুটাছুটি করার পর আব্বু অবশেষে মাছটিকে উপরে তুলে আনতে সক্ষম হলো। এবং মাছটিকে দেখে আমি ভীষণ খুশি হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ মাছটি ছিলো অনেক বড় একটা কার্ফু মাছ। তাছাড়া এই কার্ফু মাছ আমার ভীষণ পছন্দের একটি মাছ ছিলো।

এরপর বিকেল পর্যন্ত আব্বু মাছ ধরে ছিলো। আর সেই দিন আমরা অনেক মাছ পেয়েছিলাম। এরপর থেকে আমার মাছ ধরতে অনেক বেশি আগ্রহ বেড়ে যায়। এবং এরপর আব্বুর সাথে বিভিন্ন জায়গায় মাছ ধরার জন্য গিয়েছি। আসলে বাজারের কেনা মাছের থেকে নিজেরা মাছ ধরে খাওয়ার মধ্যে আলাদা একটা অনুভুতি কাজ করে। আর আমরা বাজারের কিনা মাছ খুবই কম খেতাম। বেশির ভাগ সময় আব্বু বড়শি দিয়ে অনেক মাছ ধরে আনতো। এখনো মাঝে মাঝে আমি বড়শি দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করি। আর বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে যখন বড়শিতে মাছ আটকা পরে তখন অনেক বেশি ভালো লাগে।

যাই হোক এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময় এই কামনাই করি।

পোস্টের বিবরণ

আমি আসাদুল ইসলাম। আমার স্টিমিট একাউন্ট হচ্ছে @asadul-islam. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি বর্তমান চাকরির পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করছি। নিজের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরার জন্য। আমি বর্তমান ঢাকা উত্তরাতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমি বিবাহিত আমার দু'টো ছোট ছোট মেয়ে আছে। নিজের সাধ্যমত কাজ করার চেষ্টা করছি। আশাকরি এভাবেই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ ❣️