সবুজেই বাস, সবুজেই প্রশান্তির নিঃশ্বাস 🍀☘️🌿

হ্যালো প্রিয় কমিউনিটির বন্ধুগণ,

সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা বরাবরের মতো ভালোই আছেন আর পরম করুণাময়ের কৃপায় সুস্থ সাবলীল একটি প্রাণময় জীবনযাপন করছেন ৷ সবার সুস্থতা ও শান্তির বার্তা জ্ঞাপন করে আজকের ব্লগ শুরু করছি।

Src

পৃথিবীর আসল রং সবুজ, আর জীবনের প্রতিচ্ছবিও কিন্তু এই সবুজের মাঝেই। ছেটবেলায় একটি প্রশ্ন মন থেকে জেগে উঠতো, আচ্ছা বেশিরভাগ গাছপালা যা এই প্রায় গোলাকার ধরনীতে আছে তাদের অবয়ব সবুজাভ কেন, লাল, নীল বা চটকদার যেকোন রঙে রাঙানো নয় কেন ?

এ প্রশ্নের উত্তর ছোটবেলায় আগ্রহভরে বেশ কৌতুহলের সৃষ্টি করতো, কিন্তু ধীরে ধীরে বয়স বাড়ার সাথে সাথে তা নিবৃত হয়ে যায় অনেকটাই। মনের মধ্যে উঁকি দেওয়া প্রশ্নটির উত্তর খুঁজেছি প্রতিনিয়ত বহুবার, বহুদিন, একটি উত্তর পেয়ে মনমতো না হলে অন্যটিতে। কখনে দর্শনে, কখনো বুদ্ধিবৃত্তিক ঝাঁপিতে, কখনো সাধারণ ধারণা কি তা বলতে চায়।

শেষমেশ নিজের মতো করে একটি যুক্তি দাঁড় করিয়ে দিলাম।

প্রকৃতির একটি নিয়ম আছে। আর সবুজের মাঝেই উদ্ভিদ তার প্রকৃত রূপ খুঁজে পায়। সবুজের মাঝে লুকিয়ে আছে জীব প্রজাতির জীবন রহস্য, তা কিভাবে বেড়ে চলে আর পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সহায়তা করে। সবুজের মাঝে একটি সময় বিবর্তনের নিয়তি খেলায় জীব ও প্রাণীকূল নিজেদের মধ্যে একটি অকৃত্রিম বন্ধন গড়িয়ে নিতে পেরেছে।

আমরা প্রায় সময় একটি কথা, একটি শব্দ প্রায় বলি, তা কথায় কিংবা লেখনীতে প্রয়োগ করে যাই। তা হলো, অকৃত্রিম, অকৃত্রিম বন্ধু, অকৃত্রিম ভালোবাসা, অকৃত্রিম বন্ধন ইত্যাদি। যা স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক তা-ই তো অকৃত্রিম, তার বিপরীতে কৃত্রিম বা অস্বাভাবিক। তাই নয় কি ?

Src

এবার আসি মূল প্রসঙ্গে। একটি দেশের মোট আয়তনের নূন্যতম ২৫ ভাগ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, জীব ও প্রাণীকূলের মধ্যকার ভারসাম্য ও বন্ধন দৃঢ় -অটুট রাখার চেষ্টা করে চলে। তার কম হলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়, যার থেকে খুব সহজে উত্তরণ লাভ করা যায় না। তবে উপায় খুঁজে বের করতে হলে অনেক দিকে সংস্কারের প্রয়োজন পড়ে।

পরিবেশকে অনেক সময় আমরা নিজেরাই খারাপ পরিণতির দিকে নিয়ে যাই, কিছু বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ না করাতে আর অধিকাংশ সময় নিজেদের স্বার্থ-সিদ্ধির কথা চিন্তা করে। পরিবেশ সুরক্ষার কথা সবাই চিন্তা করে না, বরং তার বিপরীতে যখন স্বার্থ চিন্তা ও নিজের সুবিধা হাসিলের কথা উঠে আসে তখনই দেখা যায়, সামষ্টিক উন্নতি ব্যহত হয়, সর্বোপরি সবাই ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

এখন আগস্ট মাস চলছে, অথচ গত দুদিন তিনদিন আগেকার শুরু হওয়া অল্প বিরতি দিয়ে আবার একটানা ঝম ঝম, ঝুপঝুপ অবিরল ধারায় স্বাভাবিক কাজকর্ম, ছুটে চলাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। এমনিতে অসময়ের এই দিনে এসে প্রথমত, ছাতা হাতে বের হওয়া যায় না, নইলে সর্বনাশ। দ্বিতীয়ত, কাঁচা রাস্তা কিংবা পাকা রাস্তা দুটোতেই পানি জমে সয়লাব।

তারপর একটু এক পা দু পা করে বাড়ির বাইরে যাওয়ার পরই দেখতে দেখতে কোথা থেকে একটি চার চাকা ওয়ালা গাড়ি এসে কাদার ওপর দিয়ে চালিয়ে দিলে, যারপর নাই ত্বরিত ভিজে গেলুম। অমনি মনে হলো চালককে গালাগাল দেই, কিন্তু তাতে তো পইপই লাভ হবে না। সর্বনাশের তেলেবেগুন, 😃

বর্ষার এ দীর্ঘ সময়ের লম্বা কুটুম হয়ে থাকাটা সহ্য হলো না, তাই কিছুটা বিরক্ত হলাম। চিরাচরিত নিয়মে হওয়া বাংলার ঋতুপ্রকৃতিতে তাহলে জট বেঁধে গেল। শরতের মরসুম কোথায়, তার স্থলে বর্ষা এসে তাবেদারী শুরু করে দিয়েছে।

Src

গরমের সময়ও তেমন। কিছুকাল আগের চৈত্রের দাবদাহের কথা বোধহয় আপনাদের মনে আছে বেশ। শহরাঞ্চলে যে দিকটায় অট্টালিকা ফ্ল্যাট বাড়িতে ঠাসা সেখানে মানুষ নিজেদের বারান্দায় কিংবা ছাদে লাগিয়েছে গাছ। ঋতুপ্রকৃতির অস্বাভাবিকতা সেভাবেই কমে যেতে থাকলো আর অন্তত পরিবেশটা রক্ষা পেতে পারলো।

আশা করি আমরা পরিবেশের ওপর যত্নশীল হবো আর এভাবেই টিকে থাকবে জীব ও প্রাণীকূলের মধ্যকার একটি ভারসাম্য। এভাবেই দেশ ও জাতি এগিয়ে যেতে থাকবে।

ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ ।

১০% সাই-ফক্স ও ৫% এবিবি-স্কুল বেনিফিশিয়ারি