হ্যালো, সবাইকে আমার নমস্কার, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি ভাল আছেন। কামনা করি আপনারা সবাই যেন ভাল থাকেন। আমি এই প্লাটফর্মে কাজ শুরুর আগে আমার পরিচয়টি আপনাদেরকে দিতে চাই। এছাড়াও বর্তমান সময়ের অত্যন্ত সুনাম ধন্য আমার বাংলা ব্লগে লেখার ও নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করছি।
আমার পরিচয়
আমার নাম আশীষ বড়ুয়া আমার ইউজার আইডি-@asishbarua. সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা অপরূপ সৌন্দর্য মন্ডিত আমার এই বাংলাদেশ। আর এই বাংলাদেশে আমার জন্ম। আমার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানায়। আমার বর্তমান বয়স ৪১। আমার পরিবারের জনবল ৪ জন এবং আমার স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। আমি ডিগ্রী পাস, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। এছাড়াও বর্তমানে স্টিমিট এ লেখা-লেখি করছি।
আমি ছোটকাল থেকেই অনলাইনে কাজ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু কিভাবে শুরু করব তা জানতাম না। ধীরে ধীরে আমি অনলাইনে আসলাম, বিভিন্ন সাইটের সাথে পরিচিত হলাম এবং একসময় আমার এই প্রিয় স্টিমিট সম্পর্কে জানলাম। স্টিমিট তথা আমার বাংলা ব্লগে কাজ করার জন্য অনেক নিয়ম কানুন আছে তা আমি আগে জানতাম না। কিভাবে একটি ভালো মানের পোস্ট তৈরি করা যায়, কি লিখতে হয় তা আমি এখান থেকে শিখলাম। এখানে সততার সাথে কাজ করা হয়।
আমার ভালো লাগে
আমার নিজের ফসলের জমিতে চাষাবাদ করতে খুব ভাল লাগে, এছাড়াও পরিবারের গৃহস্থালি কাজে সাহায্য করতে এবং ধর্মীয় জীবন যাপন করতে আমার খুব ভালো লাগে।
আমার প্রিয় খেলা
আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল। আমি একজন ভালো মানের ডিফেন্ডার। তাই অন্যান্য খেলার চাইতে ফুটবল খেলে আমি বেশি আনন্দ পায়।
আমার আবেগ ও পছন্দ
আমার বাড়ি গ্রামে, তাই আমি গ্রামে থাকতেই বেশি উপভোগ করি। যেমন গ্রামের নদীর তীরে বয়ে যাওয়া ঠাণ্ডা ফুরফুরে বাতাস। বৃষ্টি পড়ার সময় টিনের চালের রিমঝিম শব্দ। গায়ে কাদা মেখে ফুটবল খেলার আনন্দটাই আলাদা। গ্রামের এই আনন্দ অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা
আমি লকডাউন এর সময় বন্ধুদের কাছে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন সম্পর্কে শুনেছিলাম, যা কিনা একটি ডিজিটাল কারেন্সি। এটি বিভিন্ন জটিল সব অ্যালগোরিদম, ব্লক, ক্রিপ্টোগ্রাফি অনুসরণ করে বানাতে হয়। এর ব্যবহার শুধু ভার্চুয়াল দুনিয়াতে। এই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা খুবই কম, যা আমাদের জানা প্রয়োজন।
আমি স্টিমিট সম্পর্কে কিভাবে জানলাম।
আমি মার্চ মাসের শুরুর দিকে ইউটিউব দেখতে দেখতে হঠাৎ একদিন স্টিমিট সম্পর্কে একটি ভিডিও দেখি। এবং আমার খুব ভালো লাগলো ভিডিওটি। এরপর পর আমি আরো কয়েকটি ভিডিও দেখি। ভিডিও দেখে আমি জানলাম যে স্টিমিটে বিভিন্ন লেখালেখি করা যায় এবং এর পাশাপাশি এটা থেকে ইনকাম করা যায়। এরপর আমি স্টিমিটে এপ্রিলের শুরুর দিকে যোগদান করি। স্টিমিটে যোগদানের পর আমি আমার বাংলা ব্লগ সম্পর্কে জানতে পারি। যেখানে বাংলা ভাষায় লেখা যায়। তাই এটি দেখার পর আমার আরও বেশি ভালো লাগলো যে, আমার মাতৃভাষায় আমি এখানে লিখতে পারবো। আর আমি ইতিমধ্যেই আমার বাংলা ব্লগ ডিসকর্ডে যোগদান করেছি এবং সেখান থেকে জানতে পারলাম আমি কার মাধ্যমে বাংলা ব্লগ সম্পর্কে জেনেছি তারা রেফারেন্স দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু আমার কোন রেফারেন্স নেই। আমি ইউটিউব দেখেই স্টিমিটে যোগদান করেছি এবং এখন আমার বাংলা ব্লগে যোগদান করার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমার খুব ইচ্ছা আমি এই প্লাটফর্মে যোগদান করব, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল নিয়ম মেনে পোস্ট করব এবং আপনাদের দেয়া নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করব।
উপসংহার।
আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল রোল মেনে আমার পরিচয় পর্ব প্রকাশ করেছি। আশা করি আমার বাংলা ব্লগে আমাকে ভেরিফাইড করবেন। আমাকে আমার বাংলা ব্লগে লেখা-লেখি করার সুযোগ করে দেবেন। আমার পরিচয়পর্ব পোষ্টে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে আমাকে মন্তব্যে জানাবেন। আমি অবশ্যই তা সংশোধন করে দেবো। পরিশেষে আমার বাংলা ব্লগের সকল সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটরগণ এবং ইউজার বৃন্দ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি।
আমার বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আর আপনার পরিচয় পর্ব জেনে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে আপনার পরিচয় পর্ব উপস্থাপন করেছেন। আশা করি আপনি আমাদের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে কাজ করেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহহ চট্টগ্রামের একজন ফেমিলি মেম্বার পেলাম। খুব সুন্দর হয়েছে ভাই আপনার পরিচিত মূলক পোস্টি।আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।এগিয়ে যান নিজের কাজ দিয়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit