ডাই পোস্ট: পাকুড় গাছের পাতা দিয়ে মাথার মুকুট তৈরি।

in hive-129948 •  8 months ago 
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001

আজ ২৪ জুন ২০২৪ ইং: রোজ সোমবার ।

বাংলায় ১০ আষাঢ় ১৪৩১ খ্রিষ্টাব্দ।


কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি এমন একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব যেটা দেখে আপনাদের অবশ্যই ছোট বেলার সেই স্মৃতির কথা মনে পড়ে যাবে। ছোটবেলায় আমরা নানা রকম জিনিস দিয়ে নানা রকম খেলনা ও অন্যান্য জিনিস তৈরি করতাম।

ডিউটি শেষ করে বাসাই যাওয়ার পথে চোখে পড়লো পুকড় গাছ। কাছের মাঝামাঝি জায়গায় দেখলাম অনেক ডালপালা বের হয়েছে আর ডালে প্রচুর পাতা। পাতা দেখে হঠাৎ করেই মাথাই আসলো যে ছোট কালে এই গাছের পাতা দিয়ে মাথার মুকুট তৈরি করতাম। হাতের কাছে পাতা পাওয়া যায় না তাছাড়া বানানো সেই রকম ইচ্ছা না থাজার কারনে আর এই সব জিনিস বানানো হয় না। যাই হোক আজ হাতের কাছে পেয়েছি আর সময় আছে তাই ভাবলাম কয়েকটি পাতা নিয়ে যায় মুকুট তৈরি করা যাবে। যেমন ভাবনা তেমই কাজ পাতা নিয়ে বাড়ি এসে মুকুট তৈরি করতে শুরু করে দিলাম। আজ সেই মুকুট আমি কিভাবে তৈরি করলাম আর দেখতে কেমন হয়েছে সেটাই আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে।

ফাইনাল লুক

IMG_20240624_121556.jpg

IMG_20240624_121608.jpg

IMG_20240624_121527.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণ
পাকুড় গাছের পাতা
কাঠি

IMG_20240624_121155.jpg


প্রথম ধাপ

প্রথমে আমি পাকুড়ের পাতা গুলা থেকে সমান সাইজের পাতা বেঁছে নিয়েছি। এরপর দুইটা পাতা একটি আরেকটির উপর মাঝামাঝি অবস্থায় রাখলাম।

দ্বিতীয় ধাপ

এরপর আমি একটি চিকন কাঠি দিয়ে দুইটি পাতার মাঝ বরাবর একটি ফুটো করে নিয়েছি। ফুটো করে নেওয়ার পর প্রথমে যে পাতা নিয়েছিলাম সেই পাতার বোটা অপর পাতার উপর দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছি।

তৃতীয় ধাপ

IMG_20240624_121356.jpg

এভাবে পর্যায়ে ক্রমে আমি একের পর এক পাকুড়ের পাতা একটির সাথে আরেকটি গেথে নিয়েছি। এভাবে মোটামুটি অর্ধেক করে পাতা গেথে নিতে হবে।

চতুর্থ ধাপ

IMG_20240624_121421.jpg

এরপর মাথার সামনের দিকে যে অংশটি থাকবে সেই অংশে সুন্দর একটি পাতা গেথে নিয়েছি। যাতে মুকুটটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।

পঞ্চম ধাপ

IMG_20240624_121445.jpg

এরপর মুকুটের বাকি অংশ সেই আগের মতো করে গেথে নিয়েছি। মুকুটটি মাথার মাপে গেথে নিয়ে হবে।

ষষ্ঠ ধাপ

IMG_20240624_121527.jpg

সম্পূর্ণ ভাবে মুকুটটি গাথা হয়ে গেলে এবার আমি মুকুটটির দুই মাথা একসাথে করে একই ভাবে গেথে নিয়েছি। আর এভাবেই আমি পাকুড় গাছ দিয়ে মাথার মুকুট তৈরি করে ফেললাম।


ধন্যবাদ সবাইকে।


পোস্টের ধরনডাই পোস্ট
তৈরিকারকমোঃ আশিকুর রহমান
ডিভাইসরেডমি নোট ১১
লোকেশনপাবনা


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগির গোফা গ্রামে বাস করি। সবুজ শ্যামলে ঘেরা আমাদের গ্রামটি দেখতে খুবই সুন্দর। আমি একজন সরকারি চাকরিজীবি। আমি চাটমোহর ফায়ার ষ্টেশনে কর্মরত আছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমি আমার পরিবারে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বসবাস করি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার করা পোস্টটি দেখার জন্য। সবার জন্য দোয়া রইলো সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিনদের। যারা আমাকে শুরু থেকে সাপোর্ট করছে। আবারও ধন্যবাদ যানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের সকল কর্মরত সদস্যদের। লেখার ভেতর ভুল ত্রুটি হতে পরে। সেক্ষেত্রে আপনাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । দোয়া করি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।


১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।



Logo.png

Banner_New.png

20230619_1852241.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনেকদিন পর দেখতে পারলাম এটা। ২০০৫ সালের একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল আজকের এই পোস্ট দেখে। অবশ্যই চেষ্টা করবো ঘটনাটা শেয়ার করার। যাই হোক অনেক অনেক ভালো লাগলো দেখে। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার পোস্ট দেখে আপনার পুরনো দিনের একটি ঘটনা মনে পড়ে গেছে এইটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। ঘটনাটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই

ভালোই হয়েছে ডিউটি থেকে আসার সময় পাকুর পাতা নিয়ে এসেছেন।আসলেই ছোটবেলায় কত কি না করেছি।যাই হোক আপনার পাকুর পাতা দিয়ে বেশ সুন্দর একটি মুকুট তৈরি করেছেন।বাচ্চাদের বেশ পছন্দ হবে।ধন্যবাদ

জ্বি আপু অনেক দিন থেকেই ভাবছিলাম তৈরি করব কিন্তু সময়ের জন্য হয়ে ওঠে না। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর করে আমার পোস্টে মতামত শেয়ার করার জন্য।

পাকুড় গাছের পাতা দিয়ে খুব সুন্দর মাথার মুকুট তৈরি করেছেন। এ ধরনের মুকুট গুলো ছোট বাচ্চারা মাথায় দিয়ে আনন্দ করে। ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এত সুন্দর দক্ষতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট গঠন মূলক অভিমত ব্যক্ত করার জন্য।

মুকুট পড়ানোর পর তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে কোন জঙ্গলের রাজা। হিহিহি….....
পাকুড় গাছের পাতা দিয়ে খুব সুন্দর মুকুট তৈরি করেছেন। দেখতে বেশ ভালোই লাগছে। মুকুট তৈরির ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপনাকে

জ্বি আপু তাকে আমি উগান্ডার একজন গোল থেকে কুড়িয়ে নিয়ে এসেছি। হা হা হা। ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান অভিমত ব্যক্ত করার জন্য।

আপনার হাতের কাজ দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।পাতা দিয়ে অনেক সুন্দর জিনিস তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। পাতার তৈরি করা এই মুকুট দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর লাগছে।

আমার হায়ের কাজ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন জেনে অনেক খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ গঠন মূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।

পাতা দিয়ে তৈরি করা মুকুট খুবই সুন্দর হয়েছে। আপনার আইডিয়াটা দারুন ছিল ভাইয়া। এই ধরনের মুকুট কখনো দেখিনি। তবে অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান অভিমত ব্যক্ত করার জন্য। ছোট বেলায় এমন মুকুট কত বানিয়েছি। তখন তো নিজেকে রাজা ভাবতাম।

পাকুরের গাছের পাতা দিয়ে চমৎকার একটি মাথার মুকুট বানিয়েছেন ভাইয়া বেশ ভালো লাগছে দেখতে। আসলে ছোটবেলায় আমরা কত কি বানাতাম গাছের ডালপালা ফুল দিয়ে। বেশ সুন্দর লাগছে আপনার বানানো মাথার মুকুটটি। ধাপে ধাপে মুকুট তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর ভাবে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মুকুট বানানো পদ্ধতি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

সবারই ছোট বেলার জীবনে এমন অনেক সৃতি আছে আমারা ছোট কালে অনেক কিছুই তৈরি করতাম। আপনার মতামত পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু।

কিছুদিন আগে আমিও বট এর পাতা ব্যবহার করে এমন মুকুট তৈরি করেছিলাম। ছোটবেলায় আমরা যখন খেলা করতাম তখন এই ধরনের মুকুট তৈরি করে রাজা সাজতাম। আপনার পোস্ট দেখার মাধ্যমে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আপনি খুবই সুন্দরভাবে পাতার মতো তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

আপনিও এমন মুকুট তৈরি করেছিলেন জেনে অনেক খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাই গঠন মূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।

আইডিয়া টা তো দারুন পাতা দিয়ে মুকুট তৈরি করেছেন।আসলে এগুলো গ্রামে থাকলে বেশ দেখা যায় বাচ্চারা পাতা দিয়ে অনেক ডাই তৈরি করে খেলা করে।ইউনিক একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।

আইডিয়াটা ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম আপু। ছোট বাচ্চারা এই ধরনের জিনিস তৈরি করে খেলা করে। আমিও ছোট কালে এই ধরনের জিনিস অনেক তৈরি করেছি।

পাকুড় গাছের পাতা দিয়ে মাথার মুকুট তৈরি করে একজনকেতো রাজা বানিয়ে দিলেন। এই গাছগুলো আমাদের এদিকে এভেলেবল রয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ, সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

জ্বি ভাই উগান্ডার রাজা বানিয়ে দিয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই গঠন মূলক অভিমত শেয়ার করার জন্য।

এই পাতার নাম পাকোড় পাতা জানা ছিল না। ছোট বেলায় আমরাও এই পাতা দিয়ে অনেক খেলাধুলা করেছি।‌ আপনি পাকুড় গাছের পাতা দিয়ে মাথার খুব সুন্দর একটি মুকুট তৈরি করেছেন। আপনার এই মুকুট কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ডাই আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

জ্বি আপু এই গাছের নাম পাকুড় গাছ। আমি ছোট কালে বট গাছ মনে করতাম। ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

পাকুড় গাছের পাতা দিয়ে ছোটবেলায় এরকম মাথার মুকুট আমি নিজেও অনেক তৈরি করেছি ভাই। ছোটবেলায় এগুলো তৈরি করে মাথায় পড়ে যখন ঘুরে বেড়াতাম, নিজেকে রাজা মনে হতো। হিহি..🤣 যাইহোক, আপনি খুব সুন্দরভাবে এটি তৈরি পদ্ধতি এখানে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার। আপনার এই সুন্দর ডাই টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আমার মনে হয় ছোটকালে সব ছেলে মেয়েরাই নিজেকে রাজা রানী মনে করতো। আপনার মতামত পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর করে আপনার কিছু মূল্যবান কথা আমার পোস্টে শেয়ার করার জন্য।

পাকুরা গাছের পাতা দিয়ে বেশ সুন্দর মুকুট তৈরি করেছেন আপনি। এই ধরনের মুকুট গুলো ছোট বাচ্চাদের মাথায় দিলে অনেক আনন্দ পাই এবং দেখতে অনেক চমৎকার লাগে। মুকুট তৈরির ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনি ঠিকই বলেছেন বাচ্চারা অনেক আনন্দ পায় ছোটবেলায় আমি অনেক আনন্দ পেতাম। অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর করে গঠন মূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে স্বাগতম জানাই।