ক্রিয়েটিভ রাইটিং: রহস্যময় ভূতের কান্নার বাড়ি।

in hive-129948 •  2 months ago 
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু /আদাব

🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001

০৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

রোজ বৃহস্পতিবার ।


কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি বেশি ভাগ সময় ভৌতিক বিষয় নিয়ে লিখতে থাকি। কারন আমি ভূতের বিশ্বাস না করলেও এই শব্দ থেকে আমি অনেক আনন্দ পাই। যদিও মাঝে মাঝে ভয় পাই তবে ভূতে নয় অন্য কিছুতে। যাই হোক আজকে আমি আপনাদের মাঝে ভূতের রহস্য ঘেরা একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই গল্পটি অনেক ভালো লাগবে।

1000003508.jpg

Source

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

অন্ধকার রাতে একটা ছোট্ট গ্রামে অনেক পুরনো এক বাড়ি ছিল, যার নাম ছিল কান্নার বাড়ি। লোকমুখে প্রচলিত ছিল বাড়িটাতে রাতে কেউ গেলে আর ফিরে আসে না। তবে সাহসী কেউ কেউ চেষ্টা করেছিল কিন্তু তাদেরও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

একদিন গ্রামের তিন বন্ধু রাকিব, সুমন আর অপু ঠিক করল তারা সেই বাড়িতে যাবে। কেউই বিশ্বাস করতে চাইছিল না যে সেখানে কোনো অশরীরী আছে। রাতের বেলায় তারা তিনজন টর্চ নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিল।

বাড়ির সামনে পৌঁছে তারা দেখে পুরো বাড়িটা ধ্বংসস্তূপের মতো চারপাশের গাছগুলো মরা এবং শূন্যতার হাওয়া বইছে। তবু তারা ভিতরে ঢোকার সাহস করল। ঘরে ঢোকার সাথে সাথেই এক অদ্ভুত শীতল অনুভূতি তাদের শরীর বেয়ে উঠল। বাড়ির দরজা নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে গেল।

ঘরটা বেশ পুরনো এবং গন্ধটা খুবই গা শিউরে ওঠার মতো। ঘরের কোনায় একটা পুরনো আয়না ছিল যার ওপরে ধুলার আস্তর জমে ছিল। হঠাৎ অপুর নজর গেল আয়নার দিকে। সেখানে সে দেখল এক অদ্ভুত ছায়ামূর্তি কিন্তু পিছনে কেউ ছিল না। ভয়ে সে চিৎকার করে উঠল কিন্তু তার চিৎকার কেমন যেন ঘরের দেয়ালে আটকে গেল। রাকিব আর সুমন আয়নার দিকে তাকাতেই তাদেরও মনে হলো যে সেখানে কেউ তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।

ঠিক তখনই ঘরের ভেতর থেকে এক হালকা সুরে কান্নার আওয়াজ আসতে লাগল। তিন বন্ধু আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। সুমন দরজা খুলে বেরোবার চেষ্টা করল কিন্তু দরজা যেন আটকে গেল। তখনই একটা ঠান্ডা বাতাস এসে তাদের শরীরের ওপর দিয়ে বয়ে গেল আর সেই বাতাসে ভেসে এল এক ভয়ংকর হাসির শব্দ।

তাদের মাথার ওপর ঝুলে থাকা ছাদ থেকে একটি মূর্তি ঝুলতে শুরু করল। তার চেহারা বিকৃত চোখদুটি লাল আর মুখে ছিল একটি অসহ্য হাসি। সেই মূর্তির হাত তাদের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল তোমরা চলে আসলে... এবার তোমাদের আর ফেরা নেই।

ভয় পেয়ে তারা তিনজন পেছনে দৌড়াতে লাগল কিন্তু তাদের পা যেন জমে গেল মেঝেতে। চারদিকে শুরু হলো অদ্ভুত আওয়াজ কান্না, হাসি আর চিৎকারের মিশ্রণে। হঠাৎ ঘরের সব আলো নিভে গেল। তারপর এক মুহূর্তের জন্য সব নিস্তব্ধ হয়ে গেল।

পরদিন সকালে গ্রামের লোকজন খুঁজে পেল সেই বাড়ির সামনে রাকিব সুমন আর অপুর নিথর দেহ। তাদের চোখ ছিল খোলা আর মুখে জমে থাকা ছিল ভয়ের ছাপ। কেউই আর কোনোদিন সাহস করে "কান্নার বাড়ি"তে যায়নি।


সমাপ্ত


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার লেখাটি পড়ার জন্য। আশা করছি আমার গল্পটা আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে আবার নতুন কোন পোস্টের মাধ্যমে। আল্লাহ হাফেজ।


পোস্টের বিষয়স্বরচিত কবিতা
পোস্টকারীমোঃ আশিকুর রহমান
ডিভাইসগ্যালাক্সি এ ১৫
লোকেশনপাবনা


১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগির গোফা গ্রামে বাস করি। সবুজ শ্যামলে ঘেরা আমাদের গ্রামটি দেখতে খুবই সুন্দর। আমি একজন সরকারি চাকরিজীবি। আমি চাটমোহর ফায়ার ষ্টেশনে কর্মরত আছি। বাইক নিয়ে ঘুরতে, খাওয়া দাওয়া আর ঘুমাতে বেশি পছন্দ করি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমি আমার পরিবারে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বসবাস করি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য। সবার জন্য দোয়া রইলো সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিনদের। যারা আমাকে শুরু থেকে সাপোর্ট করছে। আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের সকল কর্মরত সদস্যদের। লেখার ভেতর ভুল ত্রুটি হতে পরে। সেক্ষেত্রে আপনাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । দোয়া করি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।


Logo.png

Banner.png

1000003224.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

এই রাতের বেলায় আপনার লেখা পোস্ট টি পড়ে বেশ ভয় লাগলো ভাই।তিন বন্ধু প্রথমে বিশ্বাস করেনি সেইখানে কিছু আছে।তাই তারা রহস্য উদঘাটন করার জন্য সেই বাড়িতে যায় এবং সেই রাত টি তাদের জীবনের শেষ রাত হতে যাচ্ছে সেটা কে বা জানতো।কি যে ভয় লাগলো বলে বুঝাইতে পারবো না।তবে অনেক ভালো ও লেগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আমার পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।

ভূত আমি নিজেও বিশ্বাস করি না। তবে আমার কাছে আপনার মত এটা অনেক ভালো লাগে। ভুতের গল্প গুলো পড়তে এবং শুনতে দুটোই আমি খুব পছন্দ করি। ভূতের কান্নার বাড়িটার সম্পর্কে অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তিন বন্ধু সাহস করে যদিও বাড়িটাতে গিয়েছিল, কিন্তু জীবিত অবস্থায় আর ফিরে আসতে পারেনি। এটা ভাবতেই অনেক খারাপ লাগছে। আপনার লেখা এ গল্পটা সত্যি অনেক বেশি ভয়ংকর ছিল।

ভূতের গল্প গুলা দেখতে ও শুনেতে বেশ ভালো লাগে কারন এর ভেতর আলাদা একটি মজা পাওয়া যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু গঠন মূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।

এই ধরনের ভূতের গল্প শুনতে সত্যিই খুব ভালো লাগে, বিশেষ করে যখন বন্ধুরা মিলে কোন ভূতুড়ে জায়গায় যায় এবং সেখানকার বিভিন্ন ভয়ংকর ঘটনার সম্মুখীন হয় তারা। গল্পের প্রথমটা খুব ভালো লাগছিল, তবে একদম শেষের দিকে তিন বন্ধুর মৃত্যুর কথা শুনে অনেকটাই খারাপ লাগলো। কারণ অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে তাদের মৃত হয়ে ফিরে আসতে হল।

জ্বি ভাই আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে কারন কেনো জানি ভূতের কথা শুনলে আমার কেমন ভালো লাগার কাজ করে৷ ধন্যবাদ ভাই যথাযথ মতামত শেয়ার করার জন্য।

ছোটবেলায় এই ভূতের গল্পগুলো শুনতে অনেক ভয় লাগতো৷ তবে এখন শুনলে অনেক ভালো লাগে এবং অনেক মজা পাই৷ আজকে আপনার কাছ থেকে গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগছে৷ ওই বাড়িতে তিন বন্ধু মিলে যাওয়ার পরে বেঁচে ফিরে আসতে পারেনি শুনে খুবই খারাপ লাগছে৷ ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷

আমিও ভাই ছোট বেলায় ভূতের অনেক ভয় পেতাম। তার হলে আর বাহিরে যেতে পারতাম না। তিন বন্ধুর জন্য আমার ও অনেক খারাপ লেগেছে। যদিও তারা অসত্য কিছুর জন্য প্রান হারিয়েছে। ধন্যবাদ ভাই।