রেসিপি পোস্ট: ঘ্যাটকলের পাতা দিয়ে মজাদার বড়া রেসিপি।

in hive-129948 •  4 days ago 
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001

আজ ০৩ জুলাই ২০২৪ ইং: রোজ মঙ্গলবার ।

বাংলায় ১৯ আষাঢ় ১৪৩১ খ্রিষ্টাব্দ।

আরবি ২৬ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫ হি:।

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে রেসিপিটা শেয়ার করবো আমার মনে হয় না আজ পর্যন্ত কেউ এই রেসিপি তৈরি করেছে বা খেয়েছে। কম বেশি সবাই নানা রকম বড়া খেয়ে থাকবেন কিন্তু আমার মনে হয় না কেউ আজ পর্যন্ত ঘ্যাটকলের পাতার তৈরি বড়া খেয়েছে। আজকে আমি ঘ্যাটকলের পাতা দিয়ে বড়া তৈরি করে দেখাবো। আশা করি আমার তৈরি রেসিপিটা আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।


ফাইনাল লুক

IMG_20240702_203108.jpg

IMG_20240703_020139.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণ
ঘ্যাটকল পাতা
আটা
বেসন
গুড়া মরিচ
হলুদ
ধনিয়া গুড়া
লবন

IMG_20240701_171819.jpg

প্রথম ধাপ

IMG_20240701_171855.jpg

IMG_20240701_174349.jpg

প্রথমে আমি সব গুকা উপকরণ একটি পরিষ্কার পাত্রে রেখে অল্প পরিমান দিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে সব গুলা উপকরণ গুলিয়ে একটা গোলা তৈরি করে নিয়েছি। খেয়াল রাখতে হবে যেনো আটার গোলা বেশি পাতলা না হয়ে যায়। একটু বেশি ঘন হলে কোন সমস্যা নেয় তবে পাতলা করা যাবে না।

দ্বিতীয় ধাপ

IMG_20240701_172038.jpg

IMG_20240701_172057.jpg

এরপর আমি একটি পাত্রে ঘ্যাটকলের পাতা নিয়ে এর উপর আটার গুলা নিয়ে ভালো করে পাতার উপর সুন্দর করে গোলা লাগিয়ে নিয়েছি। গোলা লাগানোর পর পাতা সুন্দর করে ভাঁজ করে নিয়েছি।

তৃতীয় ধাপ

IMG_20240701_172150.jpg

IMG_20240701_172229.jpg

এবার একটা কড়াই নিয়ে তার ভেতর অল্প পরিমান তেল দিয়ে তেলটা গরম হলে ঘ্যাটকলের পাতা গুলা তেলে ছেড়ে দিয়েছি। অবশ্যই চুলার আঁচ মিডিয়াম পর্যায়ে রাখতে হবে। বেশি তাপে ভাঁজা যাবে না।

চতুর্থ ধাপ

IMG_20240701_172827.jpg

এবার আমি ঘ্যাটকের বড়া গুলা উল্টে পাল্টিয়ে সুন্দর করে ভেজে নিয়েছি। চুলার জ্বাল কম রেখে সেগুলা ভেঁজে নিয়েছি। বেশি তাপে ভাঁজলে হবে না। সেক্ষেত্রে বড়া গুলো খুব দ্রুত পুড়ে যাবে এবং ভেতরে কাঁচা থেকে যাবে।

পঞ্চম ধাপ

IMG_20240701_172807.jpg

বড়ার রঙ বাদামী বর্ণে ধারন করলে সেগুলা চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে। বেশি ভাঁজা যাবে না বেশি ভাঁজতে গেলে পাতা গুলা পুড়ে যাবে। খেতে তখন ভালো লাগবে না। আর এভাবেই আমি ঘ্যাটকলের পাতা দিয়ে মজাদার বড়া তৈরি করে নিয়েছি।


পোস্টের ধরনরেসিপি পোস্ট
ডিভাইসরেডমি নোট ০৮
লোকেশনপাবনা


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগির গোফা গ্রামে বাস করি। সবুজ শ্যামলে ঘেরা আমাদের গ্রামটি দেখতে খুবই সুন্দর। আমি একজন সরকারি চাকরিজীবি। আমি চাটমোহর ফায়ার ষ্টেশনে কর্মরত আছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমি আমার পরিবারে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বসবাস করি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার করা পোস্টটি দেখার জন্য। সবার জন্য দোয়া রইলো সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিনদের। যারা আমাকে শুরু থেকে সাপোর্ট করছে। আবারও ধন্যবাদ যানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের সকল কর্মরত সদস্যদের। লেখার ভেতর ভুল ত্রুটি হতে পরে। সেক্ষেত্রে আপনাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । দোয়া করি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।


১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।



Logo.png

Banner_New.png

20230619_1852241.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

এই ঘ্যাটকলের পাতা দিয়ে তো দেখছি সহজেই বড়া রেসিপি তৈরি করা যায়। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে ভিন্ন ধরনের এই বড়া রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

জ্বি ভাই ঘ্যাটকলের পাতা দিয়ে খুব সহজে বড়া তৈরি করা যায় এবং এটি খেতে খুবই সুস্বাদু। ধন্যবাদ ভাই গঠন মূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।

ঘ্যাটকলের পাতা দিয়ে মজাদার বড়া রেসিপি তৈরি করার দারুন পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এর আগে আমি এই পাতা দিয়ে কোন সময় এমন বড়া তৈরি করে খাইনি। আর এই কারণটার জন্যই আপনার তৈরি করা রেসিপিটা আমার কাছে ইউনিক রেসিপি বলে মনে হয়েছে।

আমাদের গ্রামের কেউই এই ঘ্যাটকল জিনিসটা চেনে না। তবে এই পাতার বড়া খেতে বেশ দারুন লাগে। আপনার কাছে রেসিপিটা ইউনিক লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম।

বড়া আমার ভীষণ পছন্দের যে কোন কিছুর বড়া খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।আপনি চমৎকার সুন্দর করে মুচমুচে বড়া রেসিপি করেছেন এবং আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ভীষণ লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপিটি। ধাপে ধাপে বড়া তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর গুছিয়ে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু এই বড়া আমার জিবনের প্রথম বানিয়ে খেলাম। এতটা সুস্বাদু হবে ভাবতে পারি নাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান অভিমত ব্যক্ত করার জন্য।

ঘ্যাটকলের পাতা দিয়ে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের বড়া রেসিপি খাওয়া হয়নি। তবে আপনার তৈরি করা ঘ্যাটকলের পাতা দিয়ে মজাদার বড়া রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে বড়া রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।

জ্বি ভাই খুবই মজা হয়েছিলো। আমিও বিশ্বাস কর‍তে পারছিলাম না যে খেতে এতটা স্বাদ হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই মূল্যবান কিছু কথা তুলে ধরার জন্য।

ঘ্যাটকলের পাতা বলতে যে কোনো পাতা রয়েছে তা সত্যিই জানা ছিল না। এই পাতার নাম আমি প্রথম শুনলাম। তবে যেকোনো জিনিসের বড়া খেতে আমি খুব পছন্দ করি। যদিও ঘ্যাটকলের পাতার বড়া কখনও খাওয়া হয়নি তবে আপনার বড়া রেসিপি দেখে বুঝতে পেরেছি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আপু আমিও আমার জিবনের প্রথম এই পাতা দিয়ে বড়া তৈরি করে খেলাম। খেতে যে এত সুস্বাদু হবে আমি ভাবতেই পারিনি। ধন্যবাদ মূল্যবান অভিমত ব্যক্ত করার জন্য।

যেকোনো ধরনের বড়াই গরম গরম সস দিয়ে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তবে এই পাতাটা আসলে চিনিনা আর এই পাতা দিয়ে খুব সুন্দর বড়া তৈরি করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ।

আমিও চিনতাম না আপু এই পাতা দিয়ে তরকারি হোক বা বড়া যেটাই করা হোক না কেন খেতে ভিষণ স্বাদ হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

যে কোন ধরনের বড়া খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি দেখতেছি ভিন্নরকম বড়ার রেসিপি করেছেন।ঘ্যাটকলের পাতা দিয়ে মজার বড়া রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। এই ধরনের বড়া রেসিপি গুলো বারবার খেতে আমার মন চায়। সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

বড়া খেতে কম বেশি সবাই অনেক পছন্দ করে। আমিও বড়া খেতে অনেক পছন্দ করি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু গঠন মূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।

আজ প্রথমবার এই পাতার নাম শুনলাম, বড়া খাওয়া তো পরের কথা। যাই হোক এভাবে কুমড়ো পাতা দিয়ে বড়া দেখেছিলাম, কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার কাছ থেকে নতুন একটা রেসিপি শিখে নিলাম। যদিও পাতাগুলো আমার চেনা লাগছে না। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

বাড়ির আশেপাশে যদি ঝোপঝাড় থাকে তাহলে একটু খুঁজে দেখতে পারেন। অনেক মজাদার খাবার আমিও জিবনে প্রথম খেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান অভিমত শেয়ার করার জন্য।