"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-৫৪ || তারা গোলাপ ও ডালিয়া ফুল সহ নানা রকম নকশী পিঠার রেসিপি।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।

আজ ১৮ মার্চ ২০২৪ ইং রোজ সোমবার :।

বাংলায় ০৪ ফাল্গুন১৪৩০খ্রিষ্টাব্দ।

আরবি ০৭ রমজান ১৪৪৫ হি:।

🍂 আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্য বৃন্দ......... কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। আমাদের মাঝে এখন রমজান মাস চলছে। আর এই মাসটি আমাদের জন্য অনেক ফজিলত পূর্ণ মাস। আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের গুনা মাফ করেন। আমরা আল্লাহর কাছে বেশি বেশি করে ক্ষমা চাই তিনি যেনো আমাদের জীবনের সকল গুলা মাফ করে দেন।(আমিন)..

🌿 স্টিমিট ক্যারিয়ার শুরু করার পর থেকে নিজের চোখে অনেক প্রতিযোগিতা আয়োজন হতে দেখেছি। কিন্তু কোন বারই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার সুযোগ করতে পারিনি। তবে এবার আমি প্রথম বারের মতো প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে চলেছি। প্রতিবারই অনেক সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। কিন্তু এই বারের প্রতিযোগিতা আমার কাছে অনেক ইন্টারেস্টিং বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।

🧇 🥟 পিঠা তৈরির প্রথম দিকে আমি অনেকটা স্নায়বিক দূর্বলতা অনুভব করেছিলাম। কারন এই ধরনের কাজ এর আগে কখনো করা হয়নি। আমার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলো না।

🥨 কাজের প্রথম দিকে আমি মনে করেছিলাম আমি হয়তো এই কাজ করতে পারবো না। ডো প্রস্তুত করার পর আমি কাজের হাল ছেরে দিয়েছিলাম। রোজা থেকে এই কাজ করতে আমি খুবই বিরক্ত অনুভব করেছিলাম। কিন্তু মনের ভেতর তৈরি হওয়া প্রচন্ড জেদ আমাকে এই কাজ সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করেছে।

ফাইনাল লুক

প্রয়োজনীয় উপকরণ
আটা
একটি ডিম
লবন
চিনি

১ নং ধাপ

প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্রে ডিম ভেঙ্গে নিয়েছি এরপর পরিমান মতো চিনি দিয়ে অনেক ক্ষন ধরে নাড়াচাড়া করে নিয়েছে। খুব সুন্দর করে নাড়াচাড়া করে নিয়ে হবে যেনো চিনি আর ডিম সুন্দর ভাবে মিশে যায়। বেশ কিছু ক্ষন নাড়াচাড়া করার পর ডিম আর চিনির মিশ্রণটি সুন্দর ভাবে মিশে যাবে।

২ নং ধাপ

এরপর স্বাদমতো লবণ দিয়ে আমারও কিছু ক্ষনের জন্য নাড়াচাড়া করে নিয়েছি। এক পর্যায়ে দেখা যাবে ডিম ও চিনির মিশ্রণটি ফুলে গেছে এবং এর রঙ পরিবর্তন হয়ে সাদা হয়ে গেছে।

৩ নং ধাপ

এরপর অল্প অল্প করে আটা দিয়ে সুন্দর ভাবে নাড়াচাড়া করে ডিমের মিশ্রণের সাথে মিশিয়ে নিয়েছি। খেয়াল রাখতে হবে যেনো দলা বেধে না যায়। এরপর পরিমান মতো আটা দিয়ে খুব ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছি।

৪ নং ধাপ

এরপর হাত দিয়ে আটার খামিরটি খুব ভালো ভাবে মেখে নিয়েছি। খুব শক্ত বা নরম করা যাবে না। মধ্যম পর্যায় রেখে আটার খামিরটি তৈরি করে নিয়েছি যাতে করে পিঠা তৈরি করতে সহজ হয়।

৫ নং ধাপ

এবার একটি গোল করে রুটি বেলে নিয়েছি। তারপর ছুরি দিয়ে কয়েকটি অংশে ভাগ করে নিয়েছি।

৬ নং ধাপ

এরপর কাটা চামচ দিয়ে কেটে নেওয়া অংশ গুলাতে চাপ দিয়ে ডিজাইন করে নিয়েছি। তারপর প্রতিটি কেটে অংশের মাথা দুই আংগুল দিয়ে চেপে ফুলের আকার করে নিয়েছি।

৭ নং ধাপ

এরপর আরও একটি রুটি বেলে নিয়ে। গ্লাস দিয়ে ছোট ছোট করে গোল করে কেটে নিয়েছি। কেটে নেওয়া ছোট টুকরো গুলা ছুরি দিয়ে অর্ধেক করে কেটে কাটা চামস দিয়ে চাপ দিয়ে পূর্বের ন্যায় ডিজাইন করে নিয়েছি। এরপর সেগুলা দিয়ে কয়েকটি গোলাপ তৈরি করে নিয়েছি।

৮ নং ধাপ

গোলাপ ফুল তৈরি করে নেওয়া হয়ে গেলে সেটা আগের তৈরি ফুলের উপর বসিয়ে দিয়েছি। এভাবেই তৈরি করেছি তারা গোলাপ পিঠা। ফলাফল কেমন হয়েছে সেটা আপনারা ছবিতেই দেখতে পারছেন।

৯ নং ধাপ

এরপর একটি রুটি বেলে সেখান থেকে তিন রকম মাপের তিনটি ছোট রুটি কেটে নিয়েছি। এর পর ছুরি দিয়ে কয়েকটি অংশে কেটে কাটা চামচ দিয়ে কেটে নেওয়া অংশ গুলাতে ডিজাইন করে নিয়েছি। দুই আঙ্গুল দিয়ে মাথাগুলো হালকা করে চেপে ডিজাইন করে নিয়েছি। এরপর বড় থেকে ছোট একের পর এক সাজিয়ে নিয়েছি। একটি লবঙ্গ মাঝখানে বসিয়ে দিয়েছি। এভাবেই তৈরি করলাম ডালিয়া ফুলের আকৃতির নকশী পিঠা।

১০ নং ধাপ

এরপর এক টুকরো রুটি বেলে লম্বা চার কোনা করে কেটে নিয়েছি। চারটি কোনা ছুরি দিয়ে কেটে প্রতিটি কোনা তুলে মাঝখান বরাবর করে লাগিয়ে দিয়েছি। শেষ পর্যায়ে একটি লবঙ্গ মাঝখানে বসিয়ে দিয়েছি। এভাবেই তৈরি করেছি চরকি পিঠা। এছাড়া আমি অনেক গুলা নকশী পিঠা তৈরি করেছি।

১১ নং ধাপ

১২ নং ধাপ

পিঠাগুলো সম্পূর্ণ তৈরি করা হয়ে গেলে এবার ভেজে নেওয়ার পালা। আমি একটি কড়াইতে তেল দিয়ে নিয়েছি। চুলার আঁচ একেবারে কম রেখে পিঠাগুলো তেলের ভেতর ছেড়ে দিয়ে সুন্দরভাবে ভেজে নিয়েছি। চুলার জ্বালের পরিমাণ বেশি হলে পিঠাগুলো খুব দ্রুত লালচে হয়ে যাবে কিন্তু পিঠার ভিতরে কাছে কাঁচা থেকে যাবে। তাই আমি অল্প আঁচে ভাজার চেষ্টা করেছি। যদিও বেশ কিছু পিঠা আমার বেশি ভাজা হয়ে গিয়েছিলো। এইভাবেই আমি নকশি পিঠা তৈরি করেছি ।

১৩ নং ধাপ

পোস্টের ধরন	প্রতিযোগিতা পোস্ট
তৈরিকারক	মোঃ আশিকুর রহমান
ডিভাইস	রেডমি নোট ১১
লোকেশন	পাবনা

আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার করা পোস্টটি দেখার জন্য। সবার জন্য দোয়া রইলো সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিনদের। যারা আমাকে শুরু থেকে সাপোর্ট করছে। আবারও ধন্যবাদ যানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের সকল কর্মরত সদস্যদের। লেখার ভেতর ভুল ত্রুটি হতে পরে। সেক্ষেত্রে আপনাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । দোয়া করি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।

_{Posted using SteemPro Mobile}