সুপার ওয়েডিং || বাংলা নাটকের রিভিউ

in hive-129948 •  7 months ago 

সুপার ওয়েডিং বাংলা নাটকের রিভিউ

হ্যালো বন্ধুরা।
সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আবার একটি বাংলা নাটককে রিভিও করার চেষ্টা করেছি ও আপনাদের সাথে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

image.png

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া

বেশ কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম কিছু রোমান্টিক নাটক দেখবো। কেননা সম্প্রতি যেসব নাটক গুলো দেখছিলাম সেগুলো তেমন রোমান্টিক ছিল না। আর এনিতেও নাটক দেখা অনেক কমে গিয়েছে আমার। প্রচুর ব্যস্ততার মধ্যে তেমন বেশি একটা সময় কুলিয়ে উঠতে পারি না। তবে গতকাল রাতে এই সুপার ওয়েডিং নাটকটি দেখলাম সত্যিই দারুন ছিল। এই নাটকটি অনেক রোমান্টিক এবং বেশ ফানিও ছিল। যাই হোক , আশা করছি আজকে এই নাটকটার রিভিউ আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
নাটকের নামসুপার ওয়েডিং
প্লাটফর্মইউটিউব
পরিচালকতৌফিকুল ইসলাম
অভিনয়ে মুশফিক আর ফারহান, সাদিয়া আয়মান ও আরো অনেকেই।
প্রকাশিতএপ্রিল ৪ , ২০২৪
সময়৫১.৪১ মিনিট
নাটকের মূল কাহিনী শুরু
নাটকের শুরুতে আমরা দেখি যে সেজান অর্থাৎ এই নাটকের মেইন নায়ক তার বড় ভাই এর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আশা এবং নিশাদের বাড়িতে এসেছে। সেখানে তারা মিজান অর্থাৎ সেজান এর বড় ভাই এবং নিশার বড় বোন আশার বিয়ে নিয়ে কথা বলছিলো। আর নিশা হচ্ছে এই নাটকের নায়িকা। কথা বলা শেষে যখন পাত্রীকে আনা হয় সেখানে তখন সেজান পাত্রীর ছোট বোনকে খুব ভালো লেগে যায়। এতটাই পছন্দ হয় যে সে সেখানে পাত্রীর সম্পর্কে কিছু না জিজ্ঞেস করে পাত্রীর বোনের সম্পর্কে সব কিছু জিজ্ঞেস করতে শুরু করে। তারপর সিন শিফট হয়ে যায় নিশাদের বাড়ির ছাদের উপরে। সেখানে নিশা তার ফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলার সময় হটাৎ দেখতে পায় সেজান চলে এসেছে আর সেজান একটু নেটওয়ার্ক না থাকার ভান করে নিশার থেকে ফোনটি নিয়ে তার নম্বর রেখে দেয়।


image.png

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া

image.png

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া

তারপর দুপুরে খাবার সময় মিজান এবং সেজানদের বাবা বেশ মজা করছিলেন , সত্যিই এই পার্টটা বেশ ভালো লেগেছে। রুই মাছকে ইলিশ মাছ , গরুর মাংসকে খাসির মাংস ইত্যাদি সব উল্টা পাল্টা কথা বলছিলেন। তারপর খাবার শেষে সেজান এবং নিশা একা ছাদের উপরে বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটায়। তারপর বিকেলে সেজান ওরা আর তাদের বাসায় ফিরতে পারেনি রাস্তায় গন্ডগোল থাকার কারণে তাই সেই রাতটা তারা নিশাদের বাড়িতেই কাটিয়েছিলো। তারপর সন্ধ্যার সময় নিশা এবং সেজান প্ল্যান করে তারা তাদের ভাই এবং বোনকে রাজি করবে একে অপরকে বিয়ে করার জন্য।


image.png

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া

image.png

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া

তখন তারা গিয়ে তাদের ভাই এবং বোনকে বুঝতে শুরু করে যে তারা দুই জন বেশ সুখে থাকতে পারবে বিয়ে করলে , তারা অনেক ভালো। যদি তারা বিয়েতে রাজি না হয় তাহলে নিশাই সেজান এর বড় ভাইকে বিয়ে করে নিবে আবার সেজান ও তার ভাইকে বলছিলো , সে যদি আশা কে বিয়ে না করে তাহলে সেজানই গিয়ে তাকে বিয়ে করে ফেলবে। তারপর সেই রাতেই সেইযে দুপুরে নেটওয়ার্ক সমস্যার অজুহাত দিয়ে নিশার নম্বর নিয়েছিল সেই নম্বর থেকে রাতের বেলা কল করে নিশাকে ডেকে বেশ সুন্দর সময় কাটায়। নিশা যদিও একদম পুরোপুরি সেজান এর প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়নি কিন্তু নিশা মনে মনে সেজানকে ভালোবাসতে শুরু করে।


image.png

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া

image.png

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া

তারপর দিন তাদের যাওয়ার সময় হলে সবাই সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসে। এখন মিজান এর ডিসিশন এর পালা। তারপর একটা সময় মিজান তার বাবাকে ডিসিশন জানাতে গিয়ে বললো যে সে নাকি আশাকে নয় বরং নিশাকে বিয়ে করবে , কেননা ঐদিন রাতে সেজান বলেছিলো আশাকে তার খুবই ভালো লেগেছে যদি মিজান বিয়ে না করে তাহলে সেজানই আশা কে বিয়ে করে নিবে। এই কথা শুনার পর সেজান এর অবস্থা তো খারাপ হয়ে যায় , সে করতে চেয়েছিলো একটা এখন হয়ে যাচ্ছে পুরো উল্টো। আর ঠিক একই কাহিনী ঘটে যায় মেয়ের বাড়িতেও। আশা বলছে নিশার সাথে মিজান এর বিয়ে দিয়ে দিতে কেননা ঐদিন রাতে নিশা বলেছিলো যদি আশা মিজানকে বিয়ে না করে তাহলে নিশাই মিজানকে বিয়ে করে নিবে। এখন সেজান এবং নিশা দুইজনই ফেঁসে গেলো। করতে চেয়েছিলো অন্য কিছু আর এখন হয়ে যাচ্ছে পুরো উল্টো।


image.png

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া

image.png

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া

একটা সময় তারা অনেক চেষ্টা করার পরও তাদের ভাই এবং বোনকে বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছিলো। আবার তার মধ্যে নিশা একটা সময় মানাই করে দিয়েছিলো মিজানকে বিয়ে করার কথা। কিন্তু এখন তো কিছু করার নেই , তাদের বাবা কথা গিয়ে দিয়েছে তার দুই মেয়েকেই বিয়ে দিবে। নিশাকে মিজান এর কাছে আর আশাকে সেজান এর কাছে। তারপর সব কিছু শেষে বিয়ের আগে আগে সেজান এর একটা বন্ধু এসে আশা এবং মিজানকে বোঝায় যে বড় ভাই যদি বউ এর ছোট বোনোর জামাই হয় তাহলে বেপারটা খুবই অসম্মানজনক হবে মিজান এর জন্য এবং আশাকেও একই কথা বুঝানোর পর তারা ব্যাপারটাকে সত্যি সত্যি বুঝতে পারে। তারপর তারা সিদ্ধান্তে পরিবর্তন করে যে মিজান বিয়ে করবে আশাকে এবং সেজান বিয়ে করবে নিশাকে। আর এভাবেই করেই নাটকটি শেষ হয়। যদিও আমার কথার মধ্যে তেমন বেশি একটা রোমান্টিক না লাগলেও আপনারা এই নাটকটি দেখতে আসতে পারেন। বেশ ভালো লাগবে আপনাদের ।


image.png

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া

image.png

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া

ব্যক্তিগত মতামত
সত্যি বলতে এটা বেশ সুন্দরও রোমান্টিক একটা নাটক ছিল। রোমান্টিক হওয়ার পাশা পাশি বেশ হাস্যকর কিছু সিনও ছিল সেখানে। সত্যি বলতে অসাধারণ একটা নাটক। আপনারা চাইলে নাটকটি দেখতে পারেন।



নাটকটির ইউটিউব লিংক

ব্যক্তিগত রেটিং
9/10

সমাপ্ত

1.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

_

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নাটক রিভিউ। আসলে আপু আর জে ফারহান এর নাটক আমার কাছে সেই ভালো লাগে। আপনার প্রশ্নের মাধ্যমে আজকে আর জে ফারহানের এই নাটকটি দেখতে খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ নাটকটি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ‌।

আপু আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। আমার কাছে নাটক দেখা থেকে বর্তমানে রিভিউ পড়তে খুব ভালো লাগে। মুশফিকুর ফারহান আর সাদিয়া আয়মানের নাটক দেখতে সব সময় ভালো লাগে। তাদের অভিনয় খুব সুন্দর হয়েছে। নাটকটির রিভিউ পড়ে বুঝতে পেরেছি খুবই রোমান্টিক প্রেমের গল্প। সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।

আপু আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। আমার কাছে সাদিয়া আয়মানে নাটক গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আর ফারহানের নাটক তো আরো বেশি ভালো লাগে। তারা দুজনেই তাদের সবগুলো নাটকে অনেক বেশি সুন্দর অভিনয় করে। এই নাটকটায় রোমান্টিক সিনের পাশাপাশি হাস্যকর ব্যাপার ছিল, যেগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে পড়তে পেরে। আমি সময় পেলে নাটকটা দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।

আপু আজ আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন। এই নাটকটি যদিও আমার দেখা হয়নি তবে আপনার নাটকের রিভিউ টি দেখে বুঝতে পারলাম নাটকটা বেশ রোমান্টিক। এমনিতেই আমার ফারহান ও সাদিয়ার নাটক খুব ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

একসময় বাংলা নাটক প্রচুর দেখতাম। কিন্তু এখন তো নাটক দেখার সময়-ই পাই না। যাইহোক ফারহান এবং সাদিয়া আয়মানের অভিনয় আমার খুব ভালো লাগে। তাছাড়া রোমান্টিক নাটক বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ। ফারহানের বড় ভাই এবং সাদিয়া আয়মানের বড় বোনের মিলন হয়েছে, পাশাপাশি ফারহান এবং সাদিয়া আয়মানের মিলন হয়েছে তাহলে। মোটকথা এই নাটকের হ্যাপি এন্ডিং হয়েছে, এটা জেনে আরও বেশি ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দরভাবে এই নাটকের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

ভালোলাগার খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। নাটক রিভিউ পড়তে বেশ ভালো লাগে। আর এই রিভিউ এর মধ্য দিয়ে না জানা না দেখা একটি নাটক সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি এ নাটকটা আমার কিন্তু দেখা ছিল না। আপনার মাধ্যমে বেশ কিছু দেখার সুযোগ হলো পরবর্তীতে চেষ্টা করো সম্পূর্ণ দেখে নেওয়ার।

আমার কাছে নাটক দেখতে এবং নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তে দুটোই খুব ভালো লাগে। নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়া হলে নাটক তো আর দেখাই লাগেনা। কারণ পুরো কাহিনীটা রিভিউর মাধ্যমে সহজেই জেনে নেওয়া যায়। আপনি আজকে ফারহান এবং সাদিয়া আয়মানের সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন যেটার পুরো কাহিনী দারুন ছিল। নাটকের শেষের মুহূর্তটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তাদের দুজনের মিলন খুব ভালোভাবেই হয়েছে। নাটকের শেষে নায়ক নায়িকার মিল হলে খুব ভালো লাগে।