আমি মনে করি পৃথিবীতে নিজের পরিচয় নিজেকেই গড়তে হয় । কারো সাথে হিংসা অথবা অহংকার করার মাধ্যমে আর যাই হোক কোনোদিনও বড় মনের মানুষ হওয়া যায়না। একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন , যে মানুষের সফলতায় হিংসা করে সে আল্লাহর নৈকট্য কোনোদিনও অর্জন করতে পারবে না। এবং প্রকৃত অর্থে কোনোদিনও একজন উদার মন এর মালিক হতে পারবে না। আমরা উদার মন বলতে কি বুঝি ? অবশ্যই তাকে হতে হবে নিরঅহংকারী এবং হিংসা মুক্ত মন । এবং তারাই হচ্ছে সমাজের আদর্শ। আমরা তাদেরকেই অনুসরণ করে নিজেদের মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।
সত্যি কথা বলতে এখন এই যুগে এমন উদার মনের মানুষ খুবই কম রয়েছে। সবাই এখন নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। সকলে আছে সকলের জীবন গুছানো নিয়ে। কিন্তু তার মাঝেই আবার কেউ যদি তার থেকে এগিয়ে যায় তখন তারা একে অপরকে হিংসা করতে শুরু করে। আসলে মানুষ যেভাবে একে অন্যের পিছনে পড়েছে সেখানে সকলের সাথে সুসম্পক বজায় রাখা অনেকটাই অসম্ভব। কেননা আপনি অবশ্যই চাইবেন না আপনার শত্রুর সাথে আপনার সুসম্পর্ক বজায় থাকুক । মোট কথা হচ্ছে এখন সময়টা এমন যে আসলে কে ভালো কে খারাপ সেটা বুঝাও বেশ কঠিন। অনেকেই আছে আপনার সামনাসামনি আপনার অনেক প্রশংসা করবে কিন্তু তারাই আবার আপনার প্রতি হিংসা করবে। আপনার ক্ষতি কামনা করবে।
এইগুলো আসলে মানুষের দিন দিন মনুষ্যত্ব লোপ পাওয়ার ইঙ্গিত বহন করে । মানুষ যে আস্তে আস্তে তাদের বিবেক বোধ হারাচ্ছ এইগুলো হচ্ছে তার জলজেন্ত প্রমান। এখন যেভাবে মানুষ তাদের হিংসা অহংকার এর মাত্রাকে বাড়াচ্ছে আর কিছুদিন পর হিংসার বসে আরো হিংস্রাত্মক আচরণ না বসে আমি সেই চিন্তাই করছি। আর এটা অবাক হওয়ার মতো কিছুই না। বেশ অনেক খবরই আমি শুনেই এমন। যাই হোক , এখন সময় এসেছে নিজেদের ঠিক করার। হিংসার মাধ্যমে কাউকেই টেনে নিচে নামানো যাবে না , বরং আমি মনে করি এটা নিজেরই ক্ষতি। নিজের সময় নষ্ট হচ্ছে , আর তার চেয়ে বড় কথা আল্লাহ আমাদের উপর নারাজ হন।
যাই হোক , মূল কথা হচ্ছে আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। মনকে আরো বড় করতে হবে। সকল হিংসা , অহংকার পরিত্যাগ করতে হবে। আজকে এই পর্যন্তই। আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের পোস্টটি ভালো লেগেছে। ধৈর্য সহকারে এতক্ষন অব্দি পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে এখন হিংসাটা সবথেকে বেশি কাজ করে। সব বিষয় নিয়ে এখন মানুষ একে অন্যকে অনেক বেশি হিংসা করে থাকে। মানুষের মধ্যে হিংসা থাকাটা একেবারেই উচিত না। সবার আগে আমাদেরকে আমাদের অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে হবে এটা একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। একে অপরের প্রতি এই হিংসা নিয়ে আপনি পুরো পোস্টটা লিখেছেন। আমার অনেক ভালো লেগেছে আপনার লেখা পোস্টটি পড়তে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান যুগের যে মানুষ তারা সব সময় হিংসা এবং অহংকার নিয়ে বেঁচে থাকে। তবে যারা অহংকার এবং হিংসা করে বড় হয়েছে তারা কখনোই বড় মনের মানুষ নয়। তবে আমাদের সবার উচিত এইরকম হিংসা এবং অহংকার মন থেকে বিরত থাকা।হিংসা এবং অহংকার হচ্ছে পতনের মূল। যাই হোক আপনার পোস্ট টি পড়ে অনেক ভালো লাগল আপু।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একজন ভালো মানুষ হওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে মন থেকে হিংসা, অহংকার দূর করতে হবে এবং মিথ্যা কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এখনকার বেশিরভাগ মানুষ অন্যের সফলতা কিংবা ভালো কিছু দেখলে সেটা মেনে নিতে পারে না। এককথায় বলতে গেলে হিংসা করে। কিন্তু যারা হিংসা করে তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা ঘৃণা করেন। তারা শুধু দুনিয়াতেই না,বরং পরকালেও চরম শাস্তি ভোগ করবেন। যাইহোক আমাদের উচিত মন থেকে হিংসা ও অহংকার দূর করা এবং অন্যের ভালো ভালো কাজকে সাপোর্ট করা। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখনকার মানুষগুলো আসলেই অনেক বেশি স্বার্থপর। তারা আসলে নিজেদের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই বোঝেনা। আর বিশ্বাসের কথা বলতে এখন তো মানুষকে একেবারে বিশ্বাস করা যায় না। তবে আমাদের ভিতর সত্যিই পরিবর্তন আনাটা অত্যন্ত জরুরি। সেটা না হলে সুদূর ভবিষ্যতে অনেক বড় ধরনের ভোগান্তির স্বীকার হতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট টি পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit