আসসালামু আলাইকুম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম। |
---|
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। বন্ধুরা আজকের পোস্টেটি হচ্ছে শপিং সম্পর্কিত একটি পোস্ট। |
---|
ছেলের আবদার বলে কথা, তাছাড়া ওর পায়জামা পাঞ্জাবি যে লাগবে এটা ও সত্য। তো আমি দুপুরের খাবার খেয়ে অল্প সময় বিশ্রাম নিয়ে মার্কেটে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কিন্তু তার আগে ভাবতেছি যে কোথায় যাব? মিরপুর ১ নাম্বার নাকি মিরপুর ১১ নাম্বার নান্নু মার্কেটে যাব। মিরপুর ১ নাম্বার আমার কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নাই এবং ঐ মার্কেটের দাম সম্পর্কে ও আমার কোন ধারণা নাই।
তবে মিরপুর ১১ নাম্বার নান্নু মার্কেট থেকে আমি অনেকবার শপিং করেছি। সেখানকার প্রাইস রেট সম্পর্কে আমার ভালো ধারণা আছে। তাছাড়া আমার ওয়াইফ সব সময়ই ১১ নাম্বার নান্নু মার্কেট থেকেইকেনাকাটা করে। সুতরাং ১১ নাম্বার নান্নু মার্কেট এর পাঞ্জাবি মার্কেট সম্পর্কে অনেক স্বচ্ছ ধারণা আছে। তবে এখানে শুধু যে নিন্ম এবং মধ্য শ্রেণীর মানুষ ই আসে এরকম নয়। এখানে অনেক ভালো ভালো মানুষ ও মার্কেট করতে আসে। তাই আমরা অনেক চিন্তা করে বাসার সামনে থেকে একটা রিকশা নিয়ে সরাসরি মিরপুর ১১ তেই যাই। এরপর আমরা সোজা পাঞ্জাবীর দোকানে চলে যাই।
এখানের দোকানগুলো খুব বড় না, টিনের চালা অথবা উপরে ছাদ দেওয়া রাস্তার পাশে দিয়ে একসাথে অনেক দোকান বসে। এখানে সব বয়সের এবং মোটামুটি একটা সুলভ মুল্যে ভালো মানের পাঞ্জাবী পাওয়া যায়। আমরা কয়েকটি দোকান দেখলাম
কিন্তু পছন্দ মতো কোন পাঞ্জাবী পেলাম না। বাচ্চাদের পাঞ্জাবী অনেক কালারফুল এবং ডিজাইনের করে, যেগুলো মূলত আমার কাছে মোটে ও ভালো লাগে না।
আমি চাচ্ছিলাম একটু হালকা কালার অথবা এক কালারের মধ্যে। কারণ খুব বেশি কালারফুল জিনিস আমার মোটেই ভালো লাগে না। এবং আমি বা আমারা যে জিনিসটা নিহানকে পছন্দ করে কিনে দিব নিহান কিন্তু সেটাই পছন্দ করে।
আমরা একের পর এক দোকান দেখেই যাচ্ছি কিন্তু পছন্দ মতো কোন পাঞ্জাবী পাচ্ছি না। অনেক ঘুরাঘুরি করে শেষ পর্যন্ত আমাদের আর এদিন পাঞ্জাবী কেনাই হয়নি। তবে যেহেতু পাঞ্জাবী কিনতে পারি নাই, সেহেতু বাধ্য হয়ে এক জোড়া জুতা কিনে দিয়েছিলাম নাম নিহানকে। আর নিহানের আম্মু কিছু কসমেটিকস কিনে এনেছিল। এখানে যে শুধু পাঞ্জাবী পাওয়া যায় এমনটিই না, এই নান্নু মার্কেট এ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় সব কিছুই পাওয়া যায়। এই নান্নু মার্কেট এর যাতায়াত পথ ও অনেক সহজ। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকই এখানে কেনাকাটা করতে আসে।
বাপরে!দোকানটাকে তো ছোট হলেও বেশ ভালোই ভ্যারাইটি আছে।যাই হোক তবে বাচ্চাদের তো আর সবরকম জিনিসের মানায় না। এটাই সমস্যা।অন্তত একেবারে খালি হাতে না ফিরে ওকে যে একটা জুতো কিনে দিয়েছেন আর বৌদি যে কিছু কসমেটিক্স কিনে নিয়েছে সেটা বেশ ভালো হয়েছে। নয়তো আপনার ছেলের মনটা খারাপ হয়ে যেত।পরে না হয় অন্য কোন দোকান থেকে একটা আপনার পছন্দ মতো,সাথে ওর ও পছন্দমত পাঞ্জাবি কিনে দিলেই হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit