হ্যালো বন্ধুরা! আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরও একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি
চিত্রঃ ২৫০ গ্রাম আদার সম্মিলিত স্থির চিত্র।
বন্ধুরা, আর মাত্র দুই দিন পরেই কোরবানি ঈদ। তার ঈদ মানেই তো আমাদের খুশি থাকার কথা। কিন্তু আমরা যারা পরিবারের গার্ডিয়ান বা অভিভাবক আছি, তারা কি চাইলে খুশি থাকতে পারতেছি। মনে হয় না, অন্তত আমি পারতেছি না কিন্তু অন্যদের কথা আমি বলতে পারব না। মোটামুটি ভাবে আমরা সবাই জানি যে ঈদুল আযহার ঈদে আমাদের ইনকামের বড় একটা অংশ খরচ হয়ে যায় কোরবানির জন্য। আমরা যারা মধ্যবিত্ত আছি কোরবানি দেওয়ার পর সাংসারিক খরচ করার জন্য যেমন আর কোন অর্থ সঞ্চয় থাকে না। আবার আমাদের মধ্যে অনেকে আছি যারা অনেক কষ্ট করে কোরবানি দেই।
চিত্রঃ আদার খন্ডিত চিত্র।
বন্ধুরা ছেড়ে দে মা কাইন্দা বাঁচি এই শিরোনামটি দেওয়ার অর্থ হচ্ছে এই, আজ আমার অফিসের শেষ দিন ছিল, তাই ভাবলাম আমাদের এলাকার থেকে বরিশালে যেহেতু সবকিছুর দাম একটু কম, তাই কিছু সদায় বরিশাল থেকে নেয়াই যায়। তাই আমি অফিসের কাজ শেষ করে চারটার দিকে একটু বাজারে দিকে বের হলাম, বাজার বলতে অফিসের সামনেই রাস্তার দুই পাশে মোটামুটি সব কিছুই পাওয়া যায়।
কাঁচা মরিচ, রসুন তো আমাকে বাড়ি থেকে যেসব জিনিসের লিস্ট দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল জিরা, আদা,কাঁচামরিচ, রসুন এর সাথে আরো অন্যান্য কিছু জিনিস। তো আমি দোকানে গিয়ে প্রথম পোলাউর চাল কিনলাম, পোলাউয়ের চালটা মোটামুটি আগের দামই আছে, ১০০গ্রাম জিরার দাম চাইলো একশ টাকা, জিরা দামটা আমার জানা ছিল না তাই আমি কিছু বলতে পারলাম না, কিন্তু পাশে থেকে এক মুরুব্বী বললো যে জিরা কয়েকদিন আগেও ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ছিল সেই জিরা আজকে ১০০০ টাকা কেজি হয়ে গেছে।
যাইহোক ১০০ টাকা দিয়ে ১০০ গ্রাম জিরা নিয়ে নিলাম। এবার আসলাম এই কোরবানির মূল আকর্ষণ আদা কিনতে। আদার দাম শুনে তো চোখ কপালে উঠলো। ৪০০ টাকা কেজি। সেটাও মানা যেত, কিন্তু দেয়াটা কত কাল বিকালেই ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা দাম চাইলো সেই আধা এক রাতের ব্যবধানে কিভাবে কেজিতে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা বেড়ে যায়। দুঃখ কষ্ট আর খুব নিয়ে চলে আসলাম যে আদাই কিনবো না। এবার আসলাম কাঁচামরিচের কাছে, যে কাঁচা মরিচের পোয়া গতকালকে চাইলো ৪৫ টাকা সেই কাঁচামরিচ আজকে ৮০ টাকা।
চিত্রঃ কয়েকটি আদায় ছবি।
সেটাও বাজারে নাই। এখান থেকেও কষ্ট নিয়ে চলে আসলাম, বিরত থাকলাম কাঁচা মরিচ কেনা থেকে। কিন্তু বউ যে বলছে আদা লাগবে এবং আমিও বুঝতে পারতেছি যেহেতু কোরবানির সামনে আদা অবশ্যই লাগবে। আবার নেমে পড়লাম আঁধার সন্ধানে, কয়েকবার ঘোরাঘুরি করার পর দেখলাম একটি ভ্যানে, হুজুর করে একটি লোক দুই ধরনের আধা নিয়ে বসে আছে। জিজ্ঞেস করলাম আদা কত বলল একটার দাম ৪০০ টাকা আরেকটা দাম ৩০০ টাকা। অবশেষে আমি ৩০০ টাকা দামের এক পা আধা নিয়ে মনের খুশিতে দেখতে দেখতে অফিসে এসে খুব যত্ন করে ব্যাগে রাখলাম।
এখন আমার কথা হচ্ছে আমার দেশটা আসলে কে চালায়। একদিনের ব্যবধানে একটি পন্য যদি ১০০-১৫০ টাকা বেড়ে যায়, তাহলে আমার মতো মানুষগুলো কিভাবে খেয়ে পড়ে থাকবে। এমনটা ও না যে বাজারে এসব পন্য নাই। অবশ্যই এইভাবে দাম বাড়ার পিছনে একটি অশুভ শক্তি কাজ করছে, অবশ্যই সরকারকে এই দিকে খেয়াল রেখে শক্তিশালী বাজার মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। তাহলেই আমার মতো মানুষেরা দু মুঠো খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারবে। তা না হলে সব খানেই বলতে হবে - ছেড়ে দে মা কাইন্দা বাঁচি। ধন্যবাদ সবাইকে।
পোস্টের সাথে সম্পর্কিত যা যাঃ |
---|
ডিভাইস | Techo provoir 4 |
---|---|
ক্যামেরা | 13MQUAD |
ক্যামেরায় | @azizulmiah |
লোকেশন | বরিশাল |