আমার আজকের পোস্ট || নেশা (শেষ খন্ড):

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা!



চলে এলাম "নেশা" গল্পের শেষ খন্ড শেয়ার করার জন্য। গত পর্বের ধারাবাহিকতায় আজকের পর্বের শুরু।

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। বন্ধুরা, আজকে আবার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। বন্ধুরা "নেশা" গল্পের ২য় বা শেষ খন্ড নিয়ে আমার আজকের পোস্টে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
image.png

Copyright free image source:pixels


চলুন বন্ধুরা তাহলে শুরু করা যাকঃ


-------এই সব অনলাইনে গেম খেলার জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এমন কোন কাজ নাই যা করতে পারে না। অনলাইনে গেম খেলতে হলে প্রথমত যে জিনিসটা দরকার সেটি হচ্ছে একটি স্মার্ট ফোন, শুধু স্মার্ট ফোন হলেই হবে না সেই স্মার্ট ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার জন্য দেওয়ার জন্য দরকার টাকা।

এই স্মাটফোন কেনা এবং এই ইন্টারনেটের টাকা যোগান দেওয়ার মতো ফ্যামিলি হয়তো অনেক আছে কিন্তু কিছু কিছু ফ্যামিলি এমন আছে যাদের দিন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের ফ্যামিলির ছেলারা ও ওই সব বন্ধু সার্কেলের সাথে মিশে অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে।

তারপর তারা তাদের ফ্যামিলির কাছে গিয়ে স্মার্টফোন কেনার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এক সময় বাবা-মা বাধ্য হয়ে মোবাইল ফোন কিনে দেয় কিন্তু মোবাইল কিনে দিয়েই স্বস্তি পাওয়া যায় না। এরপর শুরু হয় মোবাইলে ইন্টারনেট নেওয়ার জন্য চাপ। নিয়মিত সেটা ও দিতে হয়। কিন্তু এক সময় বাবা-মা যখন আর টাকা দিতে অপারগ তখনই শুরু হয় যন্ত্রণা। ছেলে বাসার এটা ভাংগে, এটা ফালায়, নিজের শরীরের উপর নিজে নির্যাতন চালায়। সংসারে শুরু অশান্তি আর অশান্তি। হয়তো বা এমন ও হতে পারে যে অনলাইনে গেম খেলার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে আমাদের সন্তানেরা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।

শুধু কি তাই এই অনলাইনে গেম খেলে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে কেউ কেউ হয়তো মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারে, কারো চোখে সমস্যা হয়ে যেতে পারে। সোজা কথা অনলাইন গেমে আসক্ত হলে ব্যক্তি, পরিবার তথা সমাজকে দূর্বিসহ করে ফেলতে পারে। এমন ঘটনা ও আমি শুনেছি যে এইসব খেলায় আসক্ত হয়ে ছেলে-মেয়েরা মা-বাবার গায়ে ও হাত তুলতে দ্বিধা করে না।

তাই আমাদের সকল পিতা-মাতারই উচিৎ আমাদের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের প্রতি যত্নবান হওয়া, এরা কোথায় যায় বা কি করে বা কাদের সাথে মিশে সে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যদি ও আমরা আমাদের সন্তান প্রয়োজনে তাদের হাতে স্মার্ট ফোন দেই, তখন আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিৎ যে সন্তানেরা তাদের মোবাইল ফোন কোন কাজে ব্যবহার করে বা কাদের সাথে কথা ইত্যাদি ইত্যাদি।

image.png

Copyright free image source:pixels

তাই সকল অভিভাবকদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ যে আমরা অবশ্যই আমাদের সন্তানদেরকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসটা দিব, তবে খেয়াল রাখবো যে তারা সেই জিনিসটাকে ব্যবহার করে। ধন্যবাদ সবাইকে।


HFcFmHBiAeR2oP8xXotf9GhVZ2UVLfizAkm26SLD9Ksq63dTYvrrycGbUPAEdikxGD2cqVMH8heE8DJW36AaZjZ4fD6Yt6w5ks6jyrVJqR...SPKhpaGF3R77N6UCcw6tHuYvyw7YjLACEvtraNkFm1AbXaoof2ZWppk6CphcwuiCL9iHDNMmYZX8Bq4y4gXniUDWXhBKVWevHte3V4qsJQhXhen8d6ttKVvadL.png

আমি আজিজুল মিয়াঁ, আমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। আমি জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে ম্যানেজার পদে কর্মরত আছি। লিখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ছোট বেলা থেকেই কম-বেশি লেখা-লেখি করতাম। লেখা-লেখির পাশা-পাশি আমি ঘুরতে এবং খেলা-ধুলা করতে অনেক পছন্দ করি। সময় পেলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। অতিরিক্ত কথা বলা এবং মিথ্যা কথা বলা আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি।

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7jpbMNKdA1Swxiey857mvDu4v9YQGGGa7u8o3aSuH2T9hohoCpGA4xjXECnmqJUuaGBR4n9tutUQsJX8FzZckBvZL (1).png

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeSsa63mzHQexuvWRDgxAQmHZjMKhFaYGe2ubQmiC33SnsVy3TGA7BbZJiqfXWxLCKhiShcGVU.png

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNz8uuU7jNdUdZcqn6h7peG3CH7HW4Dj4EnjdfKn9T6S1nX92sULZRaFUhpFmzY87Rh7WVkoNuC.png

5zGozCj1raAPxR2gxtAcC4PqrgwoJ7g4fhsaZBQiGiZqD8hpYQsVChctAgy2kS9mV6SZsMEvTo3JtHG1SaGTiVSZZvj1Cg7LApcJj7E7w6...xqohobR55AqvLPXjzPqinZxCCFYysfbwamCx1yYp3py1hevyBzxkMvXqSeLmVUJLnzYpDruY5pBwnAN3sJb5ntBM7ndcPvAMjSex58XEWXtasSNpzGQAySX6HL.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

নেশা গল্পের শেষ পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমি আপনার এই গল্পের আরো কয়েকটি পর্ব পড়েছি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি বর্তমান সময়ে কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে । আপনি ঠিকই বলেছেন সকল বাবা-মায়ের উচিত তাদের ছেলে মেয়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া । কোমলমতি ছেলে মেয়েরা যাতে মোবাইলের প্রতি অধিক আসক্ত না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া। বর্তমান হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির যুগ । তারা মোবাইল ব্যবহার করবে এইটাই স্বাভাবিক তবে কোন ভাবে মোবাইল যেন তাদের জীবনে সর্বনাশা না ডেকে আনতে পারে । পোস্টের মাধ্যমে এত সুন্দর অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

আসলেই অনলাইন গেম মোটেও ভালো নয় ৷ অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে অনেকেই অনেক কিছু করছে ৷ যারা অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত তারা নিজেও ক্ষতি করছে সাথে পরিবারেরও ৷ এ জন্য আগেভাগেই অনলাইন গেম থেকে নিজেকে এবং পরিজনদের দূরে রাখার প্রয়োজন ৷ যাই হোক , আপনার লেখা নেশা গল্পের শেষ খন্ড পড়ে অনেক ভালো লগলো ৷ দারুণ লিখেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷

ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।

ভাইয়া খুব ‍সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। মোবাইল আর গেইম খেলার নেশায় পড়ে কত হাজার হাজার স্টুডেন্ট যে জড়ে যাচ্ছে তার কোন হিসাব নেই। পাশাপাশি মানুষিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।