আমার স্বরচিত একটি কবিতা-পাটের হাটঃ

in hive-129948 •  2 years ago 
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন? আমি ও ভালো আছি ইনশাআল্লাহ। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে যে কবিতাটি শেয়ার করবো সেটি আমাদের সোনালী আঁশ পাটকে নিয়ে লেখা। কবিতাটি লেখার প্রেক্ষাপট হচ্ছে আমি আজ বাড়ি থেকে ঢাকা ফিরছিলাম, পথিমধ্যে শেখপুর নামক একটি স্থানে রাস্তার পাশে একটি পাটের হাট মিলেছে। যেটা দেখে আমার পাটকে নিয়ে কবিতাটি লেখার ইচ্ছে জাগে। আর সেই ইচ্ছে থেকেই আমি আজকের কবিতাটি লিখি এবং কবিতাটির নাম দেই পাটের হাট। আশা করি সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-
পোষ্ট ক্যাটাগরিঃ কবিতা।
কবিতার শিরোনামঃ পাটের হাট।
তারিখঃ ১৯ শে আশ্বিন ১৪২৯ খ্রিস্টাব্দ(বাংলা)
চিত্রঃ পাটের হাটে পাট বেঁচা কেনার দৃশ্য।
IMG_20221004_065106_364.jpg
IMG_20221004_065114_157.jpg
কবিতার নাম-পাটের হাট
আজিজুল মিয়া@azizulmiah

পাট আমাদের অর্থকারী ফসল
পাটকে বলি সোনালী আঁশ,
পাটের জন্য আজ ও বিশ্ব নন্দিত
আমাদের এই বাংলাদেশ।।


পাটকে বিদেশে রপ্তানি করে
বিদেশি মুদ্রা আসে,
বিদেশি মুদ্রার সুফল পেয়ে আজ
আমাদের দেশেটা হাসে।।

পাটের জন্য বিখ্যাত হলো
ফরিদপুরের জেলা,
এই জেলাতেই বসে প্রতিদিন
পাটের হাটের মেলা।।

পাট পচাঁনোর নানান কৌশল দেখি
নদী-নালা আর খালে,
মা-বোনেরা খুলে পাটের আঁশ
একসাথে সবাই মিলে।।

পাটের গন্ধে খুঁজে পাই আমি
শৈশবের সেই ছোঁয়া,
দেখলেই জুড়ায় মনটা আমার
পাটের সাথে কৃষকের মায়া।।

হাজার কষ্টে কৃষক আমাদের
সোনালী আঁশ ঘরে তুলে,
সোনালী আঁশের সোনালী রুপে
কষ্ট যায় সব ভুলে।।

পাট থেকে পাওয়া পাটখঁড়ি আবার
হচ্ছে শিল্পের ব্যবহার,
জ্বালানি ক্ষেত্রে ও পাটের অবদান
করা যাবে না অস্বীকার।।

দিনে দিনে পাট-শিল্প আমাদের
হয়ে যাচ্ছে শেষ,
পাট-শিল্পেকে বাঁচাতেই হবে
হোক সরকারি নির্দেশ।।

রক্ষা পেলেই পাটের শিল্প
ফিরবে কৃষক মাঠে,
বেঁচবে তারা সোনালী আঁশ
নিয়ে পাটের হাটে।।

আমার পরিচয়
আমি আজিজুল মিয়াঁ, আমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। আমি জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে ম্যানেজার পদে কর্মরত আছি। লিখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ছোট বেলা থেকেই কম-বেশি লেখা-লেখি করতাম। লেখা-লেখির পাশা-পাশি আমি ঘুরতে এবং খেলা-ধুলা করতে অনেক পছন্দ করি। সময় পেলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। অতিরিক্ত কথা বলা এবং মিথ্যা কথা বলা আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি।

কবিতাটি সম্পুর্ণ আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিমত বা ধারণা থেকে লেখা হয়েছে। আমাদের সকলের উচিত আমাদের এই পাট শিল্পেকে রক্ষা করে এর যথাযথ কাজে লাগানো। তাহলেই আমাদের দেশের অর্থনীতি আর ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNz8uuU7jNdUdZcqn6h7peG3CH7HW4Dj4EnjdfKn9T6S1nX92sULZRaFUhpFmzY87Rh7WVkoNuC.png

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iQXhYEttnX1KKh1bDpnfJQ9XE52hBiZnn6J1QrQxWt34Vv6BDtNXArCZWNiRA18nt5eQYaA3Kmg.png

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9rrJ7XyVNTSa1iNMV1HLEdGN9BVzpqr9qD8n9c6Cnsw4ig5kmwCUdZ2cXfBkqCk6bnMVXsU.png

ধন্যবাদ সবাইকে







Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রথমেই বলে আপনার কবিতার নামটি আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগলো। আসলে এই সকল কবিতার বিষয়বস্তুগুলো অসাধারণ হয়। কবিতার নাম এবং কবিতার প্রত্যেকটা লাইন অসাধারণ লিখেছেন। তার মধ্যে কবিতার নামের সাথে যে ছবিটি দিয়েছেন ছবিটা অনেক ভালো লাগলো। আর সত্যিই কৃষকেরা অনেক কষ্টে সোনালী আঁশ গুলো ঘরে তোলে।

ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সোনালী আঁশ বিলুপ্তির পথে। আপনার কবিতাটি পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো। অনেক সুন্দরভাবে কবিতাটি আমাদের মাঝে উপস্থিত করেছেন। আসলে কৃষকেরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল গড়ে তুলে। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য

ধন্যবাদ ভাইয়া, আমার কবিতাটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।